থাইল্যান্ডের বিভিন্ন এলাকায় ব্যাপক হামলা চালিয়েছে কম্বোডিয়া। কয়েক দফার হামলায় একটি হাসপাতালও ক্ষতিগ্রস্ত হয়। সর্বশেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত দুই দেশের সীমান্তে সংঘাত চলছে। খবর আল জাজিরার।
থাইল্যান্ডের স্বাস্থ্যমন্ত্রী সোমসাক থেপসুথিন বলেছেন, বৃহস্পতিবারের সহিংসতায় ১১ জন থাই বেসামরিক নাগরিক এবং একজন সৈন্য নিহত হয়েছে। থাই সেনাবাহিনী জানিয়েছে, নিহতদের মধ্যে ৮ বছর বয়সী শিশুও রয়েছে। অন্তত ৩টি এলাকায় কম্বোডিয়ার গোলাবর্ষণের শিকার হয়।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী সাংবাদিকদের বলেন, হাসপাতালে আক্রমণসহ কম্বোডিয়ার কর্মকাণ্ডকে যুদ্ধাপরাধ হিসেবে বিবেচনা করা উচিত।
তথ্যমতে, সিসাকেট প্রদেশের কান্থারালাক জেলার বান ফু শহরে সীমান্ত থেকে প্রায় ২০ কিলোমিটার (১২ মাইল) দূরে একটি পেট্রোল স্টেশনে কম্বোডিয়ান সেনাবাহিনীর গোলাবর্ষণে নিহত চারজন বেসামরিক নাগরিক। সুরিন প্রদেশের কাবচিংয়ের জেলা প্রধান সুথিরোট চারোয়েন্থানাসাক রয়টার্স সংবাদ সংস্থাকে জানিয়েছেন, কম্বোডিয়ান গোলাবর্ষণে একটি বাড়িতে আঘাত হানার পর দুজন নিহত হয়েছেন।
তিনি আরও বলেন, জেলা কর্তৃপক্ষ সীমান্তের কাছের ৮৬টি গ্রাম থেকে ৪০,০০০ বেসামরিক নাগরিককে নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নিয়েছে। শিশু, বয়স্ক ও নারীদের অগ্রাধিকার ভিত্তিতে সুরক্ষিত বোমা আশ্রয়কেন্দ্রে আশ্রয় দেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া কিছু থাই বাসিন্দারা কংক্রিটের তৈরি, বালির বস্তা, গাড়ির টায়ার দিয়ে বানানো অস্থায়ী বাংকারে আশ্রয় নিয়েছেন।
এদিকে কম্বোডিয়ার ছোড়া রকেট হামলায় বেসামরিক নাগরিক নিহত হওয়ার পর পাল্টা প্রতিক্রিয়ায় এফ-১৬ যুদ্ধবিমান দিয়ে সীমান্তের ওপারে আঘাত হেনেছে থাইল্যান্ডের সামরিক বাহিনী।
বৃহস্পতিবার ভোরে সীমান্তের বিতর্কিত অঞ্চলে দুই দেশের সেনাদের মধ্যে গোলাগুলির পর পরিস্থিতি চরমে পৌঁছে যায়। থাই সেনাবাহিনী জানিয়েছে, তাদের একটি যুদ্ধবিমান কম্বোডিয়ার ভেতরে ঢুকে গোলাবর্ষণ করেছে এবং সামরিক লক্ষ্যবস্তু ধ্বংস করেছে।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে দেওয়া এক বিবৃতিতে থাই বাহিনী বলেছে, কম্বোডিয়ার ‘স্পেশাল মিলিটারি রিজিয়ন কমান্ডস ৮ ও ৯’-এর ঘাঁটিগুলো ধ্বংস করে দেওয়া হয়েছে।
মন্তব্য করুন