ইউরোপজুড়ে ফিলিস্তিন রাষ্ট্র স্বীকৃতির ঢেউয়ের পরিপ্রেক্ষিতে ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী কেয়ার স্টারমার অভ্যন্তরীণ ও আন্তর্জাতিক চাপের মুখে পড়েছেন। ব্লুমবার্গ জানিয়েছে, স্টারমার সরকারের জ্যেষ্ঠ মন্ত্রীরা—যেমন স্বাস্থ্যমন্ত্রী, বিচারমন্ত্রী ও সংস্কৃতিমন্ত্রী ফিলিস্তিনকে দ্রুত সার্বভৌম রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন। খবর শাফাক নিউজের।
ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল মাখোঁ ফিলিস্তিনকে স্বীকৃতি দেওয়ার ঘোষণা দেওয়ার পর এই চাপ আরও বেড়ে যায়। এরই মধ্যে স্পেন, আয়ারল্যান্ড, নরওয়ে ও স্লোভেনিয়া ফিলিস্তিনকে আনুষ্ঠানিক স্বীকৃতি দিয়েছে।
ব্রিটেন এখনো স্বীকৃতি না দিলেও, সরকারের অভ্যন্তর থেকে চাপ এবং ফরাসি সমর্থনের ফলে নীতিগত পরিবর্তনের আলোচনায় গতি এসেছে।
এর আগে ব্রিটিশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডেভিড ল্যামি হুঁশিয়ারি দিয়েছিলেন, গাজায় যুদ্ধ চলতে থাকলে যুক্তরাজ্য ইসরায়েলের ওপর কূটনৈতিক চাপ বাড়াতে পারে। সম্প্রতি কাতারে হামাস ও ইসরায়েলের মধ্যকার যুদ্ধবিরতির আলোচনা আবার শুরু হয়।
সোমবার ব্রিটেন ২৫টি দেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও এক শীর্ষ ইউরোপীয় ইউনিয়ন কর্মকর্তার সঙ্গে যৌথ বিবৃতি দেয়। বিবৃতিতে গাজায় যুদ্ধ অবসানের দাবি জানানো হয়, ইসরায়েলের বেসামরিক হত্যাযজ্ঞ ও ত্রাণে বাধা দেওয়ার নিন্দা জানানো হয়।
ফিলিস্তিনকে আগে থেকেই স্বীকৃতি দেওয়া আয়ারল্যান্ড ফ্রান্সের সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছে। আয়ারল্যান্ডের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বলেছে, যুদ্ধবিরতি, জিম্মিদের মুক্তি এবং গাজায় মানবিক সহায়তার অবারিত প্রবেশ নিশ্চিত করতে এখনই পদক্ষেপ জরুরি।
স্পেনের প্রধানমন্ত্রী পেদ্রো সানচেজও ফ্রান্সের সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানান। তিনি বলেন, নেতানিয়াহু যা ধ্বংস করতে চাচ্ছেন, তা রক্ষায় আমাদের সবাইকে একসঙ্গে কাজ করতে হবে। দুই রাষ্ট্রভিত্তিক সমাধানই একমাত্র পথ।
ফ্রান্স ও সৌদি আরব যৌথভাবে জাতিসংঘে ২৮ ও ২৯ জুলাই ফিলিস্তিন রাষ্ট্র গঠনের রূপরেখা নিয়ে উচ্চপর্যায়ের এক আন্তর্জাতিক সম্মেলন আয়োজন করছে। মূলত জুনে এ সম্মেলন হওয়ার কথা থাকলেও, ইসরায়েলের ইরানে হামলা ও কয়েকটি আরব দেশের প্রত্যাহারের কারণে তা পিছিয়ে যায়।
তবে যুক্তরাষ্ট্র এই সম্মেলনে অংশ নেবে না বলে জানা গেছে।
মন্তব্য করুন