জুলাই ৩৬ স্মরণে লিখতে গিয়ে মনে পড়ে গেল কবি আলাউদ্দিন আল আজাদের বিখ্যাত ‘স্মৃতিস্তম্ভ’ কবিতার কয়েকটি পঙক্তি। কবি ভাষা আন্দোলনের শহীদদের স্মরণে লিখেছিলেন:
‘এ কোন মৃত্যু? কেউ কি দেখেছে মৃত্যু এমন
শিয়রে যাহার উঠে না কান্না, ঝরে না অশ্রু?
হিমালয় থেকে সাগর অবধি সহসা বরং
সকল বেদনা হয়ে উঠে এক পতাকার রং...।’
কবির এ কবিতার পঙক্তিগুলো ছাত্র-জনতার জুলাই অভ্যুত্থানের শহীদদেরও স্মরণ করিয়ে দেয়। রক্ত, অশ্রু, বেদনা ছাপিয়ে এক রং নিয়ে গত জুলাইয়ে ৩৬ দিনের অভ্যুত্থান পতন ঘটিয়েছিল স্বৈরশাসনের। এ অভ্যুত্থান কোনো আকস্মিক ঘটনা ছিল না, বরং শেখ হাসিনার কর্তৃত্ববাদী শাসনের বিরুদ্ধে ছিল এক অনিবার্য পরিণতি। সব ন্যায়সংগত আন্দোলনেরই একটি পটভূমি থাকে। যে পটভূমি ধরে আন্দোলন এগিয়ে যায়। কখনো আন্দোলন স্তিমিত হয়, আবার আন্দোলন গতি ফিরে পায়। এভাবেই আন্দোলন চূড়ান্ত পর্যায়ের দিকে ধাবিত হয়। একপর্যায়ে তা বিস্ফোরণ ঘটায় সফলতা লাভ করে। টানা ১৫ বছর ক্ষমতায় থাকা স্বৈরাচারী লীগ সরকারের পতনের ক্ষেত্রেও প্রায় অনুরূপ ঘটনা ঘটেছে। গণতন্ত্রকামী রাজনৈতিক দল, জোট, সামাজিক শক্তি এক যুগ ধরে আন্দোলন-সংগ্রামে নিয়োজিত ছিল। কখনো এ আন্দোলন তুঙ্গে উঠেছে, আবার তা গতি হারিয়েছে। অবশেষে আন্দোলন কাঙ্ক্ষিত পথ খুঁজে পায়। চব্বিশের জুলাইয়ে তরুণদের নেতৃত্বে মাত্র ৩৬ দিনের শিক্ষার্থী-জনতার অভ্যুত্থানে শেখ হাসিনা ক্ষমতাচ্যুত হয়ে পালিয়ে ভারতে আশ্রয় নেন। শেখ হাসিনা মাঝেমধ্যেই বলতেন—‘শেখ হাসিনা কখনো পালায় না।’ সেখানে কেন মহাপরাক্রমশালী শেখ হাসিনাকে তার বোন শেখ রেহানা এবং তাদের গুম খুন, লুটপাটের রাজনীতির অন্যতম কুশীলব জেনারেল তারেক সিদ্দিককে (তাদের ঘনিষ্ঠ আত্মীয়ও বটে) সঙ্গে নিয়ে সামরিক বাহিনীর একটি বিশেষ হেলিকপ্টারে ভারতে পালাতে হলো? কেন একই সঙ্গে তার মন্ত্রিসভার প্রায় সব সদস্য, সংসদ সদস্য এবং দলের নেতাদের ভারতসহ বিভিন্ন দেশে পালিয়ে যেতে হলো? শেখ হাসিনার নিজেই এ পরিস্থিতি তৈরি করেছিলেন। স্বৈরশাসন কায়েমের মধ্য দিয়ে তিনি দেশকে ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে যেমন নিয়ে গেছেন, তেমনি নিজের এবং দলের জন্যও বিপর্যয় ডেকে আনেন।
আওয়ামী লীগ সরকারের দুঃশাসনের পাল্লা সবদিক থেকেই ভারী। নির্বাচনী ব্যবস্থা ধ্বংস করে ফেলা হয়েছিল। ধ্বংস করা হয় সংবিধানিক প্রতিষ্ঠান, পুলিশ বাহিনীকে কার্যত দলীয় ক্যাডার বাহিনীতে পরিণত করা হয়। প্রশাসন ও বিচার বিভাগও দলীয়করণের বাইরে ছিল না। অলিগার্ক তৈরি করে কায়েম করা হয় চোরতন্ত্র। নিজস্ব ব্যবসায়িক গোষ্ঠী ব্যাংক থেকে হাজার হাজার কোটি টাকা বিদেশে পাচার করে। ক্রসফায়ারের নামে বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড, গুম, আয়নাঘর তৈরি করে বিরোধীমতের লোকদের অমানবিকভাবে আটক করে রাখা ছিল নিত্যনৈমিত্তিক বিষয়। সর্বোপরি চব্বিশের জুলাইয়ে সংঘটিত হয় গণহত্যা। মধ্য জুলাইয়ে আন্দোলন শুরুর এক সপ্তাহেরও কম সময়ের মধ্যে কমপক্ষে তিন শতাধিক শিশু, কিশোর, তরুণ এবং প্রবীণ নারী-পুরুষকে গুলি করে হত্যা করা হয়। অন্তর্বর্তী সরকারের সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের প্রতিবেদন অনুযায়ী, জুলাই অভ্যুত্থানে নিহতের সংখ্যা ১ হাজার ৫৮২ জন। নারায়ণগঞ্জের ছয় বছরের শিশু রিয়া গোপসহ নিহত শিশু-কিশোরের সংখ্যা দেড় শতাধিক। আহতের সংখ্যা বিশ সহস্রাধিক। গুলিবিদ্ধ কয়েকশ মানুষের হাত কিংবা পা কেটে ফেলা হয়েছে। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ছররা গুলির আঘাতে চিরতরে দৃষ্টি শক্তি হারিয়েছেন আরও কয়েকশ মানুষ। চোখ হারানো এবং হাত-পা হারানো মানুষ এখনো রাজধানীর বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন।
শেখ হাসিনা কেন স্বৈরাচারী হয়ে উঠলেন? তিনি নিজহাতে এ বীজ বপন করেন। এর শুরুটা হয়েছিল তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচনব্যবস্থা বাতিল করার মধ্য দিয়ে। যে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবিতে তিনি আন্দোলন করেছিলেন, ২০০৮ সালের নির্বাচনে জয়ী হয়ে তিন বছর পর সেই ব্যবস্থা বাতিল করে দেন। এর কারণ ছিল রাষ্ট্রক্ষমতাকে চিরস্থায়ী করা। তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা ফিরিয়ে আনার দাবিতে বিএনপিসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দল ও জোট আন্দোলন শুরু করে। ২০১৪ সালের জাতীয় নির্বাচনের প্রাক্কালে বিরোধী দল সারা দেশে প্রবল আন্দোলন গড়ে তোলে। এর আগে পরপর পাঁচটি সিটি করপোরেশন নির্বাচনে বিএনপি বিপুল ভোটে জয়লাভ করে। বিএনপির এই বিজয় সরকারের নীতিনির্ধারকদের হতবাক করে দেয়। আওয়ামী লীগ সরকারের সঙ্গী জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান এরশাদ ২০১৪ সালের নির্বাচনে অংশগ্রহণ না করার ঘোষণা দেন। লীগ সরকার নির্বাচন নিয়ে বিপাকে পড়ে যায়। সরকারকে উদ্ধার করতে ভারত থেকে উড়ে আসেন পররাষ্ট্র সচিব সুজাতা সিং। তিনি বৈঠক করেও এরশাদকে নির্বাচনে যেতে সম্মত করাতে ব্যর্থ হন। পরে গোয়েন্দা সংস্থা (ডিজিএফআই) এরশাদকে অসুস্থ সাজিয়ে সিএমএইচে ভর্তি করিয়ে জাপাকে নির্বাচনে টেনে নেয়। প্রবল আন্দোলনের দিশেহারা সরকার। দলের তদানীন্তন সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম ঘোষণা দেন, আসন্ন নির্বাচন হবে নিয়মরক্ষার নির্বাচন। এই নির্বাচনের তিন মাস পর সব দলের অংশগ্রহণে আরেকটি নির্বাচন আয়োজন করা হবে।
২০১৪ সালের নির্বাচনে দেড় শতাধিক আসনে সরকারি দলের প্রার্থীরা বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হন। স্থাপিত হয় একতরফা নির্বাচনে দৃষ্টান্ত। সরকার তিন মাস পর নির্বাচন আয়োজনের প্রতিশ্রুতি আর রক্ষা করেনি। ২০১৮ সালের নির্বাচনের আগে থেকেই বিএনপিসহ বিরোধী দল ও জোট আন্দোলন জারি রাখে। শেখ হাসিনা গণভবনে বিরোধী দলের নেতাদের আমন্ত্রণ জানিয়ে অবাধ, নিরপেক্ষ ও সুষ্ঠু ভোট করার অঙ্গীকার করেন। কিন্তু শেখ হাসিনা তার অঙ্গীকার সম্পূর্ণরূপে ভঙ্গ করেন। ওই নির্বাচন মধ্যরাতে নির্বাচন হিসেবে পরিচিতি পায়। সম্প্রতি ২০১৮ সালের রাতের ভোটের বিষয়ে চাঞ্চল্যকর তথ্য দিয়েছেন সাবেক আইজিপি চৌধুরী আবদুল্লাহ আল মামুন। পাঁচ পৃষ্ঠার জবানবন্দিতে তিনি জানান, ২০১৮ সালের জাতীয় নির্বাচনের আগের রাতেই ব্যালট বাক্স ভরে রাখার আইডিয়া দিয়েছিলেন তৎকালীন পুলিশ মহাপরিদর্শক আইজিপি জাবেদ পাটোয়ারী। এ ব্যাপারে সরকারের পক্ষ থেকে মাঠপর্যায়ে নির্দেশনা দেওয়া হয়। মহানগর হাকিম আদালতে দেওয়া জবানবন্দিতে সাবেক এ আইজিপি আরও জানান, গুম, নির্যাতন, ক্রসফায়ারের নির্দেশনা দিতেন সাবেক প্রধানমন্ত্রীর সামরিক উপদেষ্টা মেজর জেনারেল (অব.) তারিক সিদ্দিক। কাউকে উঠিয়ে আনা, গুম করার মতো বিষয়গুলো তারিক সিদ্দিক সরাসরি গোয়েন্দা কর্মকর্তাদের মাধ্যমে বাস্তবায়ন করতেন। ২০২৪ সালের ৭ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত হয় ‘ডামি নির্বাচন’। প্রধান বিরোধী দল বিএনপিসহ বিরোধী শিবির এ নির্বাচনও বর্জন করে। একই সঙ্গে দলগুলোর আহ্বানে সাড়া দিয়ে অধিকাংশ ভোটার নির্বাচনে ভোটদানে বিরত থাকেন। আওয়ামী লীগ সরকার নির্বাচনকে কৃত্রিমভাবে ‘প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ’ দেখানোর রাজনৈতিক কৌশল হিসেবে নিজ দলের প্রার্থীদের বিরুদ্ধে প্রায় সব সংসদীয় আসনে দলীয় ‘ডামি’ প্রার্থী দাঁড় করায়। ২০২৪ সালের নির্বাচন ‘ডামি নির্বাচনে’র তকমা পায়। আর এভাবে শেখ হাসিনার তিনটি প্রহসনের নির্বাচনের মাধ্যমে নির্বাচন ব্যবস্থাকে সম্পূর্ণরূপে ধ্বংস করে দেন। ভোটাররা হয়ে পড়ে নির্বাচনবিমুখ। আর কায়েম হয় শেখ হাসিনার নেতৃত্বে স্বৈরতান্ত্রিক শাসনব্যবস্থা।
শেখ হাসিনার আমলের দুর্নীতির চিত্র রূপকথার গল্পকেও হার মানাবে। মন্ত্রিসভার সদস্য, সংসদ সদস্য, দলের কেন্দ্রীয় নেতা, জেলা, থানা পর্যায়ের নেতা, প্রশাসনের শীর্ষ কর্মকর্তা, পুলিশের আইজি থেকে শুরু করে প্রধানমন্ত্রীর বাসভবনের কাজের পিয়ন সবাই দুর্নীতির মাধ্যমে ‘মানি মেকিং মেশিনে’র সন্ধান পেয়ে যান। শেখ হাসিনা সর্বশেষ সংবাদ সম্মেলনে তার পিয়নের দুর্নীতি নিয়ে যে কথা বলেন, তা থেকে লীগ সরকারের আমলের দুর্নীতির বিষবৃক্ষের একটি পরিষ্কার চিত্র পাওয়া যাবে। ওই সংবাদ সম্মেলনে শেখ হাসিনা বলেন, ‘আমার বাসায় কাজ করে গেছে যে পিয়ন, সে এখন ৪০০ কোটি টাকার মালিক। হেলিকপ্টার ছাড়া চলে না। এটি বাস্তব কথা। কী করে বানাল এ টাকা!’ শেখ হাসিনা প্রধানমন্ত্রী পদে থেকে তার পিয়নের এত বড় দুর্নীতির কথা উল্লেখ করেছেন, যা প্রায় সব টিভি চ্যানেলে সরাসরি সম্প্রচারিত হয়। অথচ পিয়নের বিরুদ্ধে তিনি শাস্তি হিসেবে তাকে কাজ থেকে বাদ দেন এবং কার্ড সিজ করেন। ৪০০ কোটি টাকার দুর্নীতির শাস্তির এ নমুনা প্রমাণ করে স্বৈরাচারী সরকারের আমলে রাষ্ট্রের সর্বোচ্চ পর্যায়ে থেকে দুর্নীতিকে কীভাবে আশ্রয়-প্রশ্রয় দেওয়া হয়েছে। সাবেক ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী জাবেদ ও তার পরিবারের নামে বিদেশে ২ হাজার ৩১২ কোটি টাকার সম্পদের তথ্য ফাঁস করে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি)। লন্ডন, দুবাইসহ কয়েকটি দেশে জাবেদের এ সম্পদ রয়েছে। পুলিশের সাবেক আইজি বেনজীর আহমেদের শত শত কোটি টাকা দুর্নীতির খবর বিভিন্ন সংবাদপত্রের প্রধান শিরোনাম হয়েছে। বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ডের দায়ে মার্কিন নিষেধাজ্ঞাপ্রাপ্ত পুলিশের সাবেক এ শীর্ষ কর্মকর্তা রাজধানীর গুলশানে বিলাসবহুল একাধিক ফ্ল্যাট, শত শত বিঘা জমি, রিসোর্টের মালিক। ঢাকা থেকে গোপালগঞ্জ, গাজীপুর থেকে টেকনাফ সর্বত্র তিনি সম্পদের বিস্তার ঘটিয়েছেন। সরকারঘনিষ্ঠ বেশ কয়েকজন ব্যবসায়ী ব্যাংক থেকে হাজার হাজার কোটি টাকা লোপাট করে বিদেশে পাচার করেছেন। বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আহসান এইচ মনসুর এ প্রসঙ্গে একবার বলেছিলেন, ‘শেখ হাসিনার সহযোগী ব্যবসায়ীরা ব্যাংক খাত থেকে ১ হাজার ৭০০ কোটি ডলারের সমপরিমাণ টাকা সরিয়েছেন। রাষ্ট্রীয় মদদে এ মাত্রায় ব্যাংক ডাকাতি বিশ্বের অন্য কোথাও নেই।’ গভর্নর প্রভাবশালী গণমাধ্যম ফিন্যান্সিয়াল টাইমসের সঙ্গে এক সাক্ষাৎকার বলেছিলেন, ‘এস আলম গ্রুপের চেয়ারম্যান সাইফুল আলম ও তার সহযোগীরা ব্যাংক খাত থেকে ১০ বিলিয়ন ডলার লুটপাট করেছেন। প্রতিরক্ষা গোয়েন্দা দপ্তরের (ডিজিএফআই) ওই সময়ের কিছু কর্মকর্তা ব্যাংকের নিয়ন্ত্রণ নিতে এস আলমকে সহায়তা করেন।’ এভাবেই স্বৈরাচারী আমলে সব প্রতিষ্ঠান, সেক্টর ধ্বংস করা হয়।
শেখ হাসিনার রাজনীতি ছিল একমাত্রিক। অর্থাৎ তার একমাত্র এজেন্ডা ছিল, যে কোনো উপায়ে ক্ষমতায় টিকে থাকা। বাংলাদেশের ৫৪ বছরের ইতিহাসে তিনি টানা সর্বাধিক সময় ১৫ বছর ক্ষমতায় ছিলেন, বলা যায় ক্ষমতা আঁকড়ে ছিলেন। তবে শেখ হাসিনা সম্ভবত ভুলে গিয়েছিলেন যে, অন্ধ হলে প্রলয় বন্ধ থাকে না। তার কর্তৃত্ববাদী শাসনের বিরুদ্ধে একসময় আন্দোলনের মহাপ্রলয় সংঘটিত হবে, তা তিনি উপলব্ধি করতে পারেননি। গত জুলাই অভ্যুত্থান শেখ হাসিনার বিদায়ের ঘণ্টা বাজিয়ে দেয়। এর পেছনে সবচেয়ে বড় শক্তি ছিল শিক্ষার্থী-জনতার ঐক্য। তবে এ কথা বলতেই হবে, চব্বিশের জুলাই থেকে পঁচিশের জুলাই—এই এক বছরের মধ্যে স্বৈরাচারবিরোধী লড়াইয়ের শক্তিগুলোর মধ্যে ফাটল ধরেছে। বিভেদ-বিভাজন দিন দিন প্রকট হচ্ছে। প্রশ্ন জাগা স্বাভাবিক, আমরা কি এত কম সময়ের মধ্যেই দুঃশাসনের সেই বছরগুলোর কথা ভুলতে বসেছি? ভুলে যাচ্ছি কি শহীদের আত্মত্যাগের মর্মবার্তা, চোখ হারানো, হাত-পা হারানো আহতদের কথা?
লেখক: জ্যেষ্ঠ সাংবাদিক ও রাজনীতি বিশ্লেষক
মন্তব্য করুন