

দিনাজপুরের খানসামায় এক দশকেরও বেশি সময় আগে সংঘটিত একটি রাজনৈতিক সহিংসতার ঘটনায় কার্যক্রম নিষিদ্ধ ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের এক নেতাকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। জামায়াত নেতার বাড়িতে হামলা, ভাঙচুর, লুটপাট ও চাঁদাবাজির অভিযোগে করা মামলার আসামি হিসেবে তাকে শনিবার (২৭ ডিসেম্বর) রাতে গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেপ্তার আরিফুল ইসলাম উপজেলার খামারপাড়া ইউনিয়নের কায়েমপুর গ্রামের আবদুল আলীমের ছেলে। সে খামারপাড়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের ৬ নম্বর ওয়ার্ডের সাধারণ সম্পাদক।
খানসামা থানা সূত্রে জানা যায়, অভিযান চালিয়ে আরিফুল ইসলামকে আটক করে থানায় আনা হয়। পরে খানসামা থানার মামলা নং ৪/২৫-এর এজাহারভুক্ত আসামি হিসেবে তার বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় আইনগত প্রক্রিয়া সম্পন্ন করা হয়। এরপর পুলিশি প্রহরায় তাকে আদালতে পাঠানো হয়েছে।
মামলার এজাহার ও সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, ২০১৪ সালের ১৫ জানুয়ারি রাতে তৎকালীন আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীরা সংঘবদ্ধভাবে এক জামায়াত নেতার বাড়িতে হামলা চালান। এ সময় বাড়িঘরে ব্যাপক ভাঙচুরের পাশাপাশি নগদ অর্থ ও মূল্যবান সামগ্রী লুট করা হয় বলে অভিযোগ রয়েছে। এছাড়া চাঁদা দিতে অস্বীকৃতি জানালে ভুক্তভোগীকে জোরপূর্বক সাদা কাগজে স্বাক্ষর করানো হয় এবং পরে তাকে থানায় নিয়ে গিয়ে নির্যাতন ও একাধিক মিথ্যা মামলায় জড়ানো হয় বলেও মামলায় উল্লেখ করা হয়েছে। একই ঘটনায় আরও অন্তত ছয় জামায়াত নেতাকর্মীর বাড়িতে হামলা ও লুটপাটের অভিযোগ রয়েছে। মামলাটিতে উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সফিউল আযম চৌধুরী লায়নসহ মোট ২১ জনের নাম উল্লেখ করা হয়েছে। পাশাপাশি অজ্ঞাতনামা আসামি করা হয়েছে আরও ৪০ থেকে ৫০ জনকে।
খানসামা থানার ওসি আব্দুল বাছেত সরদার জানান, আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে ‘ডেভিল হান্ট অপারেশন ফেজ-২’ চলমান। এ অভিযানের আওতায় নিয়মিতভাবে মামলার আসামি ও সন্দেহভাজনদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
মন্তব্য করুন