

চট্টগ্রাম বন্দরের ভারী যানবাহনের অতিরিক্ত ওজন বহনের কারণে নগরীর সড়ক অবকাঠামো দ্রুত ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। এতে প্রতি বছর শুধু সড়ক সংস্কার ও রক্ষণাবেক্ষণ খাতেই ৪০০ থেকে ৫০০ কোটি টাকার সমপরিমাণ আর্থিক ক্ষতির মুখে পড়ছে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন (চসিক)।
বন্দর থেকে ন্যায্য হোল্ডিং ট্যাক্স আদায় না হলে এই ক্ষতি পুষিয়ে নেওয়া এবং সড়ক টিকিয়ে রাখা কঠিন হয়ে পড়বে বলে মন্তব্য করেছেন সিটি মেয়র ডা. শাহাদাত হোসেন।
রোববার (২৮ ডিসেম্বর) দুপুরে নগরভবনে স্থানীয় সরকার বিভাগের একটি প্রতিনিধি দলের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় এসব কথা বলেন মেয়র।
সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি বলেন, নগরীর সড়কগুলোর নকশাগত ধারণক্ষমতা সর্বোচ্চ ১০ টন। অথচ চট্টগ্রাম বন্দরের সঙ্গে যুক্ত ভারী লরি ও ট্রাক নিয়মিতভাবে ২০ থেকে ৩৫ টন পর্যন্ত অতিরিক্ত ওজন বহন করে চলাচল করছে। কোনো কোনো যান অনুমোদিত সীমার তিন গুণেরও বেশি ওজন নিয়ে সড়ক ব্যবহার করছে।
মেয়র বলেন, একটি সড়কের স্বাভাবিক আয়ুষ্কাল যেখানে তিন থেকে পাঁচ বছর থাকার কথা, সেখানে অতিরিক্ত ওজন বহনকারী এসব যানবাহনের কারণে সড়ক খুব দ্রুত ভেঙে পড়ছে। ফলে প্রতিবছর বিপুল অর্থ ব্যয় করেও সড়কগুলো টেকসই রাখা যাচ্ছে না।
তিনি জানান, চট্টগ্রাম বন্দর থেকে বর্তমানে যে পরিমাণ হোল্ডিং ট্যাক্স আদায় হচ্ছে, তা প্রকৃত পাওনার তুলনায় অনেক কম। বন্দর বছরে প্রায় ২৬৪ কোটি টাকার কর দেওয়ার কথা থাকলেও বর্তমানে দিচ্ছে মাত্র ৪৫ কোটি টাকা। যৌথ জরিপের মাধ্যমে প্রকৃত কর নির্ধারণের কাজ চলমান রয়েছে। এ ক্ষেত্রে কোনো ধরনের ছাড় দেওয়া হবে না বলে জানান তিনি।
ডা. শাহাদাত হোসেন বলেন, বন্দর থেকে সঠিক পরিমাণে হোল্ডিং ট্যাক্স পাওয়া গেলে সড়ক সংস্কার ও রক্ষণাবেক্ষণ কার্যক্রম যথাযথভাবে করা সম্ভব হবে। এতে নগরীর সড়ক যেমন টেকসই হবে, তেমনি বন্দরের কার্যক্রমও আরও গতিশীল ও সচল হবে।
মতবিনিময় সভায় স্থানীয় সরকার বিভাগের যুগ্মসচিব মোহাম্মদ সামছুল হক, সিনিয়র সহকারী সচিব মো. শওকত ওসমান এবং সহকারী সচিব এস এম হুমায়ুন কবির উপস্থিত ছিলেন। চসিকের বিভিন্ন বিভাগ ও শাখার প্রধানরাও সভায় বক্তব্য দেন।
মন্তব্য করুন