ইতিহাসের সেরা নির্বাচন দেওয়ার ওয়াদা প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর ড. ইউনূসের। প্রধান নির্বাচন কমিশনার এ এম এম নাসির উদ্দিনের ইচ্ছা জীবনের একটা শেষ সুকাজ করার। সরকারের নির্দেশনা পেয়ে নির্বাচন আয়োজনে কর্মব্যস্ত তার কমিশন। ডিসেম্বরের প্রথমার্ধেই তপশিল ঘোষণার কথা জানানো হয়েছে। বর্ষপূর্তিতে এসে সরকার থেকে জানানো হয়েছে, তাদের প্রধান এবং শেষ প্রধান কাজ সুষ্ঠু-নিরপেক্ষ নির্বাচন আর টপ প্রায়োরিটি দেশে এনে শেখ হাসিনার বিচার। মোটকথা সরকার এখন তার লাস্ট ইনিংসে।
অন্তর্বর্তী সরকার মনে করছে, তাদের প্রথম পর্ব শেষ ও দ্বিতীয় পর্ব শুরু হয়েছে। দ্বিতীয় পর্বের মূল দায়িত্ব সুষ্ঠু-সুন্দর, প্রশ্নমুক্ত নির্বাচন আয়োজন। কিন্তু প্রশ্নের পর প্রশ্ন শুধু যোগ হচ্ছে। আসছে কথার পিঠে কথা। উটকো কথাও অনেক। জুলাই ঘোষণাপত্রে জনআকাঙ্ক্ষার প্রতিফলন নেই বলে জানিয়েছে গেল ফ্যাসিস্ট হটানো আন্দোলনের বড় অংশীজন জামায়াতে ইসলামী। সরকার একটি দলের কথা শুনছে বলে অভিযোগ তাদের। জুলাই ঘোষণাপত্রকে ‘অপূর্ণাঙ্গ’ আখ্যায়িত করে এটির সংশোধন দাবি করেছেন জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেল মিয়া গোলাম পরওয়ার। এ ঘোষণাপত্রে একটি নির্দিষ্ট দলের চিন্তা-চেতনা প্রকাশ পেয়েছে বলে মন্তব্যও করেছেন তিনি।
তার মতে, বিচারক হত্যা, পিলখানা হত্যাকাণ্ড, শাপলা চত্বরের ঘটনা এবং শিক্ষকদের অবদান—এসবের কিছুই জুলাই ঘোষণাপত্রে অন্তর্ভুক্ত হয়নি। তাই এসব বিষয় অন্তর্ভুক্ত করে ঘোষণাপত্রটি সংশোধন করতে হবে। জুলাই ঘোষণাপত্রে ইসলামপন্থিদের অবদান মূল্যায়িত হয়নি বলেও দাবি গোলাম পরওয়ারের। এদিকে, সংস্কারকাজ অসম্পন্ন রেখে অন্তর্বর্তী সরকার জাতীয় সংসদ নির্বাচন আয়োজনের জন্য মরিয়া হয়ে উঠেছে বলে মনে করছে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ। দলটি জুলাই সনদের আইনি ভিত্তি নিশ্চিত করা ও এর ভিত্তিতে আগামী নির্বাচনের দাবি তাদের।
ফ্যাসিবাদ হটানো আন্দোলনের ফ্রন্টলাইনার বা ফ্রন্টফিগাররা বিগড়ে আছেন আরও আগেই। জুলাই ঘোষণার দিন রাজধানী ঢাকা ছেড়ে তাদের কক্সবাজার ট্যুরে শুধু বার্তা নয়, একটি শঙ্কাও ঘুরছে। এ ব্যাপারে তাদের দল থেকে শোকজ করা হয়েছে। জুলাই ঘোষণাপত্র পাঠের অনুষ্ঠানে ঐক্যের পরিবর্তে বিভাজন, শহীদ ও আহতদের পরিবর্তে কিছু মুষ্টিমেয় গোষ্ঠীর কথা বা মতামত প্রাধান্য পাওয়ায় সেখানে উপস্থিত থাকার প্রয়োজন বোধ করেননি বলে জানিয়েছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) শীর্ষ নেতা হাসনাত আবদুল্লাহ। সেজন্য ৫ আগস্ট ঢাকার বাইরে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন উল্লেখ করে তিনি ফেসবুকে লিখেছেন, ‘এটি ছিল একটা অসম্পূর্ণ জুলাই ঘোষণাপত্রের প্রতি আমার নীরব প্রতিবাদ।’ বৃহস্পতিবার বিকেলে নিজের ফেসবুক পেজে কারণ দর্শানোর নোটিশের জবাব পোস্ট করেছেন হাসনাত আবদুল্লাহ।
সেখানে হাসনাত লিখেছেন, ‘৪ আগস্ট সন্ধ্যায় জানতে পারি, আমাদের আন্দোলনের আহত এবং নেতৃত্বদানকারী অনেক ভাইবোনকে এই অনুষ্ঠান থেকে সম্পূর্ণভাবে বাদ দেওয়া হয়েছে। এটা আমার কাছে শুধু রাজনৈতিক নয়, নৈতিক ব্যর্থতা বলেই মনে হয়েছে। তাই আমি ব্যক্তিগতভাবে এই অনুষ্ঠানে অংশ না নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিই। যেখানে ঐক্যের পরিবর্তে বিভাজনকে, শহীদ ও আহতদের পরিবর্তে কিছু মুষ্টিমেয় গোষ্ঠীর কথা এবং মতামতকেই প্রাধান্য দেওয়া হয়েছে, সেখানে উপস্থিত থাকার কোনো ইচ্ছা বা প্রয়োজন আমি বোধ করিনি। কাজেই এর পরদিন ঢাকার বাইরে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিই। উদ্দেশ্য ছিল, এই গুরুত্বপূর্ণ সময়টিতে পূর্বে গৃহীত সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনা, সাম্প্রতিক ঘটনাগুলো বোঝার চেষ্টা করা এবং পরবর্তী করণীয় নিয়ে চিন্তা করা।’ বিমানবন্দর থেকে তাদের প্রতিটি পদক্ষেপের ছবি ও ভিডিও করে রাষ্ট্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা গণমাধ্যমের হাতে তুলে দিয়েছে বলে অভিযোগও করেছেন হাসনাত আবদুল্লাহ। নোটিশের জবাবে তিনি লিখেছেন, ‘কিছু গণমাধ্যম ও গোয়েন্দা সংস্থার যোগসাজশে আমাদের প্রতিটি পদক্ষেপকে অপরাধপ্রবণ ও সন্দেহজনক হিসেবে উপস্থাপন করার অপচেষ্টা চালানো হয়েছে। এমনকি গুজব ছড়ানো হয়েছে যে, আমরা পিটার হাসের সঙ্গে গোপন বৈঠকে যাচ্ছি গণতন্ত্রের বিরুদ্ধে গভীর ষড়যন্ত্র করতে। অথচ তিনি তখন বাংলাদেশেই ছিলেন না।’ এনসিপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম সদস্য সচিব তাসনিম জারার বিরুদ্ধে পরিচালিত ‘স্লাট শেমিং’কে (নারীকে হেয় করা) কক্সবাজার সফরের ঘটনার ‘সবচেয়ে দুঃখজনক ও নিন্দনীয়’ দিক বলে উল্লেখ করেছেন হাসনাত আবদুল্লাহ।
জুলাই গণঅভ্যুত্থানের প্রথম বর্ষপূর্তির দিনে কক্সবাজার সফরে যাওয়ার ঘটনায় দলের কারণ দর্শানোর নোটিশের জবাব দিয়েছেন এনসিপির মুখ্য সমন্বয়ক নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারীও। জবাবে তিনি বলেছেন, ‘সাগরপাড়ে বসে আমি গভীরভাবে ভাবতে চেয়েছি গণঅভ্যুত্থান, নাগরিক কমিটি, নাগরিক পার্টির কাঠামো, ভবিষ্যৎ গণপরিষদ এবং একটি নতুন গণতান্ত্রিক সংবিধানের রূপরেখা নিয়ে। আমি এটিকে কোনো অপরাধ মনে করি না, বরং একজন রাজনৈতিক কর্মীর জন্য এটি একটি দায়িত্বশীল মানসিক চর্চা।’
নির্বাচন সামনে রেখে এ ধরনের বিগড়ানো মতিগতি অনেকটা স্টেশন বা জংশনের বাইরে চলতি ট্রেনের চেইন টানার মতো। দেশের সবচেয়ে বড় দল বিএনপির কাছে পরিস্থিতিটি উদ্বেগের। তারপরও যদ্দূর সম্ভব সহিষ্ণুতার পরিচয় দিচ্ছে দলটি। বলছে, যুগপৎ আন্দোলনে থাকা শরিকদের সঙ্গে নিয়েই বিএনপি নির্বাচন করবে। এর বাইরেও যদি কাউকে সঙ্গে নেওয়া যায় তপশিল ঘোষণার আগে বিএনপি তাও ভেবে দেখবে। সংস্কার এবং বিচারের অগ্রগতি দৃশ্যমানও দেখছে দলটি। পাঁচ-সাত দিন আগেও সরকারের বিষয়ে বিএনপির এমন মতিগতি ছিল না। ছিল সরকারের বিরুদ্ধে আক্রমণাত্মক কথাবার্তা। বিএনপি এখন অত্যন্ত ডিফেন্সিভ-সমঝদার। ফ্যাসিবাদবিরোধী ঐক্য ধরে রাখার আহ্বান জানিয়ে চলছেন বিএনপি নেতারা। এজন্য রাজনৈতিক মতাদর্শের ঊর্ধ্বে উঠে সবাইকে নিয়ে একসঙ্গে কাজ করার আহ্বান জানানো হচ্ছে নিয়মিত। হেফাজত থেকে জমিয়াতুল মোদার্রেছীন নেতাদের সঙ্গেও বিএনপি নেতারা বসছেন, নির্বাচনী আলাপ সারছেন।
ধারণা করা হয়েছিল, প্রধান উপদেষ্টার ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচন ঘোষণার মধ্য দিয়ে ভোটের ট্রেন পুরোদমে ছুটবে। দুর্ভাগ্যজনকভাবে সেখানে এখন বেশ ব্যত্যয়। এর আগে, লন্ডনে তারেক রহমানের সঙ্গে প্রধান উপদেষ্টার বৈঠকের পরও একটি আশা জাগানিয়া আবহ তৈরি হয়। দিন কয়েকের মাঝে সেই বাতারবণটি ছারখার হয়ে যায়। এখন আরেক ক্যারিকেচার। প্রধান উপদেষ্টার ভাষণেও ছিল কিছুটা সংশয়ের কথা। সঙ্গে সতর্কতাও। দেশে মহলবিশেষ নির্বাচন বানচাল করতে চায় বলে সতর্ক করেছেন তিনি। এখন অবস্থা যে জায়গায় এসেছে, এতে নির্বাচনের তপশিল ঘোষণা না হওয়া পর্যন্ত ভজঘট কাটার নমুনা নেই। হয়তো তপশিল ঘোষণার পরও প্রশ্ন উঠবে নির্বাচন আসলে হবে তো? নির্বাচন হওয়ার পরের প্রশ্ন হতে পারে, ফল ঘোষণা হবে তো? ফল ঘোষণার পরবর্তী প্রশ্ন উঠতে পারে, ক্ষমতা হস্তান্তর হবে?
রাজনীতির নানা সমীকরণে বাস্তবতার এ সন্ধিক্ষণে উল্লেখ করতে হয় তপশিল পেছানোর দৃষ্টান্ত এ দেশে আছে। ২০০৮ সালের ২৯ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত নবম সংসদ নির্বাচনের আগে এরকম নানা নাটকীয়তা ঘটেছে। সময় ও প্রেক্ষিত বদলালেও দেশের বর্তমান পরিস্থিতির সঙ্গে নবম সংসদ নির্বাচন-পূর্ববর্তী পরিস্থিতির কিছুটা মিল রয়েছে। রাজনীতিতে পূর্বানুমানের ঘটনা থাকে। ধারণাতীত ঘটনাও আছে। ৫ আগস্টের রাজনৈতিক পরিবর্তন সেরকমই একটি ঘটনা। সেখানে আগামী বছরের ফেব্রুয়ারিতে জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগপর্যন্ত কী ঘটে, এখনো পরিষ্কার নয়। সামনের নির্বাচনে না যাওয়ার মতো ঘোষণা দিয়ে বসার পক্ষও যে নেই, তা কে জানে! তাই নির্বাচন হলেই সব ঠিক হয়ে যাবে, তা বলার অবস্থা নেই। নির্বাচন না হলে কার লাভ, কার ক্ষতি সেই আলোচনা তো আছেই।
এসব আলোচনা, উৎকণ্ঠার মাঝে নির্বাচনটি ঐতিহাসিক, প্রশ্নমুক্ত, অবাধ, সুষ্ঠু করার অভিপ্রায় কতটা সম্ভব হবে—এ ভাবনা থেকে যাচ্ছে। দেশ স্বাধীনের পর ’৭৩ থেকে ’৮৮ পর্যন্ত নির্বাচনগুলোর নানা ত্রুটি-বিচ্যুতি, দখলবাজির পর ’৯১-তে তখনকার অন্তর্বর্তী সরকারপ্রধান বিচারপতি সাহাবুদ্দীনের সুষ্ঠু নির্বাচনের সদিচ্ছা নিয়েও এমন ভাবনা ও সংশয় ছিল। উৎকণ্ঠা ছিল তখনকার প্রধান নির্বাচন কমিশনার বিচারপতি রউফেরও। অবাক-বিস্ময়করভাবে বাংলাদেশের ইতিহাসে সুষ্ঠু-অংশমূলক নির্বাচনের নজির তৈরি হয় ’৯১-তে। এরপর ’৯৬, ২০০১ এমনকি ’০৮ পর্যন্ত সেই ধারার কিছু ছোঁয়া থাকে। ২০১৪ থেকে বরবাদ হতে হতে ’১৮ এবং সর্বশেষ ’২৪ সালে এসে নির্বাচন হয়ে ওঠে তামাশা-মশকরার এক-একটি বায়োস্কোপ। এর পরিণতিতে দেশে অনিবার্য নতুন প্রেক্ষাপট। দেশের নির্বাচন ছারখার করা ফ্যাসিস্টকুলের পতন, পলায়ন। এখন অন্তর্বর্তী সরকারের একটি ঐতিহাসিক নির্বাচন আয়োজনের পালা। প্রধান নির্বাচন কমিশনারের জীবনের শেষ ইচ্ছা একটি ইতিহাস তৈরি করা। তারা চাইলেই তা সম্ভব? তাদের চাওয়ার ওপরই সব নির্ভর করে? প্রশ্ন বড় কঠিন। জবাব আরও কঠিন, নিষ্পত্তিহীন।
এ নিয়ে উৎসুকমহলে অন্তহীন জিজ্ঞাসা। রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে কার্যকর ঐক্য এখনো আসেনি। ফ্যাসিস্ট পতন হলেও বিদায় নেয়নি। গত অর্ধশতাধিক বছরে ভোটের বহু মডেল প্রদর্শন হয়েছে বাংলাদেশে। এখানে গণতন্ত্রের বহু মারপ্যাঁচ। একদলীয়, দ্বিদলীয়, কয়েকদলীয়, বহুদলীয় ইত্যাদি। ভোট আর নির্বাচনেরও এন্তার রকমফের! নামও অনেক। সুষ্ঠু নির্বাচন, নিরপেক্ষ নির্বাচন, অবাধ নির্বাচন, অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন। ভোটেরও নানা নাম-চিহ্ন। ভোট ক্যু, মিডিয়া ক্যু, বাক্স লুটের ভোট, হ্যাঁ-না ভোট। সূক্ষ্ম কারচুপি, স্থূল কারচুপিরও নানান কলসাইন। মাগুরা, মিরপুর, ১৫ ফেব্রুয়ারি, বিনা ভোট, রাতের ভোট ইত্যাদি। এখন সামনে অপেক্ষা করছে কোন মডেল, তা অপেক্ষা করে দেখার বিষয়। স্বাধীন দেশে ১৯৭৩ সালে প্রথম নির্বাচনেই আচানক মডেল দেখেছে মানুষ। ব্যালট বাক্স লুট থেকে শুরু করে দলের প্রায় সব প্রার্থীকে জয়ী ঘোষণার নির্বাচনের ওই মডেল ভোটের জন্য আজীবন সংগ্রামী বঙ্গবন্ধুর ইমেজে চরম আঘাত হানে। খাসপছন্দের খন্দকার মোশতাককে (পরবর্তী নাম খুনি মোশতাক) জয়ী দেখাতে ব্যালট বাক্স কুমিল্লা থেকে ঢাকা এনে অধিকতর সঠিক ফলাফল দেওয়ার ঘটনা ব্যাপক আলোচিত-সমালোচিত।
এরপর রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের আমলে হ্যাঁ-না ভোট, আওয়ামী লীগকে নৌকা-মই ইত্যাদি চার ভাগে সিট বণ্টনসহ নানা মডেল শো। এ শোতে আরও নতুনত্ব আসে জেনারেল এরশাদ জমানায়। নির্বাচনের এ সিরিজ মডেল শোতে প্রথম ব্যতিক্রম আসে এরশাদ পতনের পর ’৯১-তে বিচারপতি সাহাবুদ্দীনের তত্ত্বাবধায়ক সরকার আমলে। স্বাধীন দেশে প্রথম স্বাধীন নির্বাচনের স্বাদ পায় মানুষ। তারপর বিচারপতি হাবিবুর রহমান, লতিফুর রহমান, ফখরুদ্দীনদের তত্ত্বাবধায়ক জমানায় নির্বাচনের মোটামুটি একটি মডেল চলতে থাকে। এরপর শুরু হয় বাংলাদেশে নির্বাচনী নাশকতা। হতে হতে ২০১৮ সালে এসে দিনের ভোট রাতে সেরে ফেলার নতুন মডেল গড়ার অভিযোগ। এর আগে, ২০১৪ সালে বিনাভোটেই ১৫৪ জনকে জয়ী ঘোষণার রেকর্ড। এবার ভোটের ট্রেনের চলতি পথে ভাঙাচোরা নানা ড্রেন ও ব্রেনের ক্রিয়াকর্মের কারণে সামনে কোন মডেল বা রেকর্ড বা কী ঘটনা অপেক্ষা করছে—এ জিজ্ঞাসা থেকেই যাচ্ছে।
লেখক: সাংবাদিক-কলামিস্ট, ডেপুটি হেড অব নিউজ, বাংলাভিশন
মন্তব্য করুন