ইলিয়াস হোসেন
প্রকাশ : ১৯ আগস্ট ২০২৫, ১২:০০ এএম
আপডেট : ১৯ আগস্ট ২০২৫, ০৭:১৬ পিএম
প্রিন্ট সংস্করণ
যে কথা কেউ শোনে না

রাষ্ট্রীয় আচার প্রকৃতির বিচার

রাষ্ট্রীয় আচার প্রকৃতির বিচার

এক গ্রামে এক নদী বয়ে চলত স্বচ্ছ জলধারা নিয়ে। পাহাড়ের পাদদেশে বন-বনানীতে ঘেরা সবুজ গ্রামটি জীববৈচিত্র্যে ভরপুর। সেখানে বাস করত এক নিষ্ঠুর শিকারি। সে নির্বিচারে পশুপাখি শিকার করত। এর ফলে প্রকৃতির ভারসাম্য নষ্ট হচ্ছিল। একদিন, শিকারি একটি মা হরিণ হত্যা করে। হরিণটির চোখের জল দেখে তার মনে কোনো পরিবর্তন আসেনি। রাতে স্বপ্নে দেখে এক সাধু বলছেন, ‘তুমি প্রকৃতির সন্তান, কিন্তু তার ক্ষতি করে চলেছ। এর ফল তোমায় ভোগ করতেই হবে।’ এরপর, শিকারির জীবনে নেমে আসে নানা দুর্যোগ। তার শিকার করা পশুর আত্মারা তাকে তাড়া করে ফেরে। ধীরে ধীরে অসুস্থ হয়ে পড়ে সে। অবশেষে, ভুলের জন্য অনুতপ্ত হয়ে প্রকৃতির কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করে। ক্ষমা পেয়ে সে প্রকৃতির ভারসাম্য রক্ষার গুরুত্ব উপলব্ধি করে। বাকি জীবন পরিবেশ রক্ষায় কাজ করার ব্রত নেয় সে।

এটি একটি সাধারণ নিষ্পাপ শিশুতোষ গল্প। এর মাধ্যমে শিক্ষাজীবনের শুরুতেই ন্যায়নীতি ও দায়িত্ব-কর্তব্য শেখে কোমলমতি শিক্ষার্থীরা। অভিভাবকরা অন্তত তাই আশা করেন। বাস্তবতাও তাই। প্রকৃতি থেকে শিক্ষা নিলে সেটা টেকসই হয়। এর অন্যথা হলে প্রকৃতির বিচারের মুখোমুখি হতে হয় বেশিরভাগ সময়। প্রকৃতি এবং কর্মফলের দর্শন মনে করিয়ে দেয়, প্রতিটি কর্মের একটি প্রতিক্রিয়া আছে। প্রকৃতি কখনো ভুলে যায় না। তার প্রতিশোধ বা প্রতিক্রিয়া মানুষের জীবনধারার ওপর সরাসরি প্রভাব ফেলে। তাই প্রকৃতির প্রতি সম্মান দেখানো এবং সঠিক কর্মপন্থা অবলম্বন করা সবার নৈতিক দায়িত্ব। কিন্তু কয়জনে শোনে এই অমোঘ বাণী। শুনলেও ভুলে যায় অতিলোভী মানুষ নামের প্রাণী। প্রকৃতিগতভাবেই মানুষ কৌতূহলী ও লোভী। জলবায়ু পরিবর্তনের কুফল ভোগ করছে পৃথিবী ও তার নিম্নবিত্ত সন্তানরা। এর জন্য দায়ী উচ্চবিত্তরা বিজ্ঞানীদের সতর্কবাণী কানেই তুলছে না। নিজেদের লোভে সবাইকে নিয়ে একদিন ধ্বংস হবে। পরে পৃথিবীতে আবার প্রাণের সঞ্চার হলে, প্রত্নতাত্ত্বিকরা জানাবে সেটা ছিল মহাপ্রলয় বা কেয়ামত।

মানুষ প্রকৃতির কাছে বড় অসহায়। শুরুতে শুধু খেয়ে-পরে বাঁচতে চায়। এরপর উপভোগ এবং ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য সম্পদ সংরক্ষণে ব্রতী হয়। ভুলে যায় নিজের প্রকৃতিদত্ত পরিচয়, সীমাবদ্ধতা। বেহিসাবি সম্পদ-সম্মান অর্জনে তর্জন-গর্জন করে দিগ্বিদিক। সম্পদ আহরণে খরচ করে ফেলে জীবনের সুবর্ণ সময়। পরে সে টাকায় ওষুধ কিনে খায়। অথবা অতিরিক্ত সম্পদ অবৈধ বিবেচিত হওয়ায় রাষ্ট্র বুঝে নেয়। অতি চালাকেরটা গোপন আমানতকারী সুযোগ বুঝে খেয়ানত করে। অসৎ রাজনীতিবিদ, দুর্নীতিবাজ আমলা, মন্দ ব্যবসায়ীরা এসব করে থাকেন বেশি বেশি। রাজনৈতিক নেতাদের মূল পুঁজি হলো মানুষের ভালোবাসা, বিশ্বাস। সেটাকে লগ্নি করে মুনাফা আয়ের পর তার আর জনপ্রিয়তার ভিত্তি থাকে না। ধরা পড়ার ভয়ে সম্পদ গচ্ছিত রাখেন স্ত্রী-সন্তান, আত্মীয়স্বজন, বন্ধুবান্ধব এমনকি কর্মচারীদের কাছে। বাংলাদেশের রাজনীতিতে দুর্নীতির বরপুত্র হিসেবে পরিচিত হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ। তার গচ্ছিত টাকা মধ্যপ্রাচ্যের ধনকুবের শেখ থেকে কড়াইল বস্তির শেখা বেগমও মেরে দিয়েছে বলে প্রচারণা আছে। অঢেল সম্পদ ও অভিযোজন বুদ্ধি থাকায় টাকার অভাবে না খেয়ে মারা যাননি এরশাদ। তবে শেষ বয়সে রাজনীতিতে জোকার বয় হিসেবে নিগৃহীত হয়েছেন। যদিও তাতে তার গ্লানিবোধ দেখা যায়নি। অবশ্য স্বৈরাচারী শাসকের কপালে মৃত্যু, নির্বাসন অথবা কারাগার লেখা থাকে। সেখানে ইজ্জতের বিনিময়ে শুধু বেঁচে ছিলেন তিনি। জুলাই অভ্যুত্থানের আগে লম্বা সময় ধরে ফ্যাসিস্ট শাসকের উমেদারি করেছেন। শেখ হাসিনার তুচ্ছ-তাচ্ছিল্য ব্যবহার হজমের মাধ্যমে প্রায়শ্চিত্ত করে গেছেন। প্রকৃতির বিচার থেকে ক্ষমা পাননি তিনি। তার শাসনামলের দায় অস্বীকার করলেও, নূর হোসেনদের কবর জিয়ারতের মাধ্যমে অনুশোচনা প্রকাশের চেষ্টা করেছেন।

কিন্তু তার ওস্তাদ শেখ হাসিনা বায়োলজিক্যাল ফ্যাসিস্ট। অনুশোচনা তো দূরের কথা! পালিয়ে গিয়ে অন্তরালে থেকেও হুমকি-ধমকি দিয়ে যাচ্ছেন অনবরত। তার ফেলে যাওয়া ও পালিয়ে যাওয়া অনুসারীদের একই অবস্থা। আদালতের কাঠগড়ায় দাঁড়াতে দাঁড়াতে ক্লান্ত আওয়ামী লীগ নেতা কামাল মজুমদার রাজনীতি না করার ঘোষণা দিয়েছেন কিছুদিন আগে। অনুশোচনা থেকে এমন সিদ্ধান্ত কি না, তা পরিষ্কার করেননি। বিষণ্ন জুনাইদ আহমেদ পলকের অশ্রুতে লেখা হতাশার ছবিতেও অনুতপ্ত হওয়ার ভাষা স্পষ্ট নয়। আটক পতিত আওয়ামী লীগ নেতা, তাদের সহযোগী আমলা, ব্যবসায়ী ও পেশাজীবীদের পিছমোড়া করে হ্যান্ডকাফ পরিয়ে কারাগার থেকে আদালতে আনা-নেওয়া করা হয়। এ দেখে অনেকে তাদের দুঃখে দুঃখী হয়ে মানবাধিকারের কথা বলেন। মামলার যৌক্তিকতা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন। আসামির বয়স, সামাজিক মর্যাদা নিয়েও সোচ্চার অনেক সুশীল। কিন্তু এ দৃশ্য নতুন নয়। আওয়ামী লীগের স্বৈরশাসনামলেও সম্মানিত লোকদের হামলা-মামলা দিয়ে হয়রানি করা হয়েছে। ক্ষমতা টিকিয়ে রাখতে প্রতিবাদকারীদের গুম-খুন-অপহরণ করা হয়েছে। ফ্যাসিস্ট হাসিনা রাষ্ট্রযন্ত্র ও সামাজিক হারমোনি তছনছ করে দিয়ে পালিয়ে গেছেন। অভিযুক্ত আমলা-পেশাজীবী-ব্যবসায়ীরা পতিত আওয়ামী লীগ সরকারের ওপর দায় চাপিয়ে বাঁচার চেষ্টা করছেন। রাষ্ট্রীয় আচারের অংশ হিসেবে তারা বাধ্য ছিলেন বলে দাবি করছেন। কিন্তু প্রকৃতির বিচার ভুলে ছিলেন। এখনো ঠিক মনে করতে পারছেন না। তাদের অপরাধে লাখ লাখ মানুষের জীবন-সংসার-স্বপ্ন ধ্বংস হয়ে গেছে। জনগণের টাকায় বেতন নিয়ে বাড়তি আয়ের লোভে সরকারের গণবিরোধী আদেশ বাস্তবায়ন করেছেন। লাভের টাকা পাচার করেছেন। কোনো কোনো ক্ষেত্রে অর্থ পাচারের অভিযোগ না এনে তাদের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা হয়েছে। এটা যারা করছেন, তারাও হয়তো একদিন প্রকৃতির বিচারের মুখোমুখি হবেন।

গণঅভ্যুত্থান-পরবর্তী অন্তর্বর্তী সরকারও চিরকালীন সমালোচনার ঊর্ধ্বে নয়। বরং জনতা বাকস্বাধীনতা ফিরে পাওয়ায় প্রতিনিয়ত নিষ্ঠুর সমালোচনার শিকার হচ্ছে তারা। আক্রান্ত হলেও হাসিনা সরকারের মতো দমননীতি চালাতে পারছে না। এ সুযোগে পেশাদার অপরাধী ও মৌসুমি উগ্র জনতা দেশটাকে বসবাস অযোগ্য করে তুলছে। রাষ্ট্রবিজ্ঞানের জনক অ্যারিস্টটল বলেছেন, ‘একমাত্র স্থিতিশীল রাষ্ট্র যেখানে আইনের সামনে সকল পুরুষ সমান।’ এক বছরেও ট্রমা কাটাতে পারেনি পুলিশ। ফ্যাসিস্টের সহযোগী আমলাদের নিয়েই খুঁড়িয়ে খুঁড়িয়ে চলছে সরকার। সারা দেশের সড়ক যোগাযোগে খানাখন্দ বাড়ছে। রুটিন ওয়ার্কেও উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি নেই। সক্ষমতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। বরং, কোনো কোনো ক্ষেত্রে সমালোচনার জবাব দিতে গিয়ে লেজেগোবরে করে ফেলছেন অনভিজ্ঞ উপদেষ্টারা। সংস্কারের বিশাল কর্মযজ্ঞে তাদের সমন্বয়হীন কর্মকাণ্ডে সরকারের কাণ্ডজ্ঞান নিয়ে প্রায়ই হতাশা জানায় গণঅভ্যুত্থানে অংশ নেওয়া রাজনৈতিক দলগুলো। অনির্বাচিত সরকারের হাতে বেশিদিনের জন্য দেশ নিরাপদ নয়। এমন মন্তব্য জোরালো হচ্ছে রাজনীতির আকাশে বাতাসে। দৃশ্যমান সংস্কার, বিচারের পর নির্বাচনের কথা বলছে জামায়াত ও এনসিপি। এ ব্যাপারে সরকার একমত হলেও ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচনের সম্ভাব্য সময় ঘোষণা করেছে। এ সময়ের মধ্যে দুয়েকটি বিচার হয়তো শেষ হবে। কিন্তু সরকারের প্রকাশিত-অপ্রকাশিত সংস্কারমালা অনেকটা আরব্য রজনীর গল্পের মতো। শেষ হওয়ার লক্ষণ নেই। যদিও সংস্কার ও বিচারকে চলমান প্রক্রিয়া হিসেবে স্বীকার করে সবাই। বিচারে মনোযোগ কম দেখলে উইলিয়াম ই গ্ল্যাডস্টোনকে স্মরণে আনে মানুষ। তিনি বলেছেন, ‘বিচার বিলম্বিত হওয়া মানে ন্যায়বিচার অস্বীকার করা।’

জগদ্দল পাথরের মতো জেঁকে বসা ফ্যাসিস্টকে সরিয়ে আন্দোলনকারীরা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তী সরকারকে ক্ষমতায় বসায়। তারা পাথরে ফুল ফোটানোর স্বপ্ন দেখায় জাতিকে। কিন্তু এক বছরের মাথায় পাথরই লুট হয়ে যায়। পরিবেশ, প্রকৃতি ও পর্যটকের কাছে এ লঙ্কাকাণ্ড সরকারি তৎপরতা লবডঙ্কা প্রমাণ করেছে। যদিও লুট হওয়া অনেক পাথর উদ্ধার করা হয়েছে। সেগুলো দিয়ে পর্যটন স্পটকে নতুনভাবে ডেকোরেশন করা হয়েছে। তবে কোনো আমলা পাথর রক্ষায় এখনো লোহার খাঁচা বানানোর পরামর্শ দেয়নি। এ লুট ও উদ্ধার নাটকে এমনিতে হাস্যরসের সৃষ্টি হয়েছে। সেখানে সুড়সুড়ি দিয়েছেন স্বয়ং পরিবেশ উপদেষ্টা। তিনি প্রশাসনকে লুটকারীদের পাহারাদার হিসেবে দায়ী করেছেন। মজার বিষয় হলো, তাদের কথায়ই প্রশাসন চলে। উপদেষ্টাদের সম্মিলিত ব্যর্থতাই দ্রুত নির্বাচনের দাবিকে অনিবার্য করে তুলেছে। সাধারণ মানুষ উচ্চকক্ষ-নিম্নকক্ষ বুঝে না। তারা চায়, নিজের অধিকার ভোগ করতে। গাদা গাদা সংস্কারের স্বপ্নে এখন ঘুম নষ্ট করতে চায় না। প্রাচীন দার্শনিক সিসেরো বলেছেন, ‘জনগণের নিরাপত্তাই হচ্ছে সর্বোচ্চ আইন।’

সরকারের প্রগল্‌ভতা, বিএনপির অতি আত্মবিশ্বাস আর পিআর নিয়ে এনসিপি-জামায়াত-চরমোনাই পীরের পেয়ার—রাজনীতিতে নতুন রসায়ন তৈরি করেছে। সমমনা দল ও জনতার চাপ যারা সঠিক পথে ব্যবহার করতে পারবে, তারাই ক্ষমতার রস আস্বাদন করতে পারবে বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা। এরই মধ্যে কোনো কোনো নেতাকর্মীর আচরণে বিএনপিকে ক্ষমতালোভী আওয়ামী লীগের সঙ্গে তুলনা করছে প্রতিদ্বন্দ্বীরা। জামায়াতের গুপ্তনীতি ও প্রচলিত রাজনীতির অনুসারী তকমা লাগায় এনসিপির অঙ্কুরেই বিনষ্ট হওয়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। তবে প্রকৃতির বিচার মনে রাখলে সবার তথা দেশের মঙ্গল।

লেখক: হেড অব নিউজ, আরটিভি

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

বিমানে যাত্রী হয়রানি রোধে সরকারের জরুরি নির্দেশনা

অবৈধ কার্যক্রম প্রতিরোধে সিলেট জেলা পুলিশ অঙ্গীকারবদ্ধ : পুলিশ সুপার

বগুড়ায় সাহিত্য উৎসব শুক্রবার, অংশ নিবে দুই শতাধিক কবি

বিমানবন্দরে যাত্রী হয়রানি রোধে নতুন নির্দেশনা

জুলাই শহীদদের স্মরণে জবিতে গ্রিন ভয়েসের বৃক্ষরোপণ ও সচেতনতামূলক ক্যাম্পেইন

মার্কিন বিনিয়োগকৃত প্রতিষ্ঠানে রুশ হামলা

মালয়েশিয়ার পর চীন সফরে যাবেন নাহিদ

৩১ দফাই হচ্ছে আমাদের জাতীয় সনদ : সুব্রত চৌধুরী

টিসিবির নিয়ন্ত্রণ হারানো ট্রাকচাপায় বৃদ্ধ নিহত

ইতালির প্রধানমন্ত্রীর ঢাকা সফর বাতিল

১০

জেলেনস্কির টার্গেট তুরস্ক, অস্ট্রিয়া ও সুইজারল্যান্ড

১১

শিক্ষকের ওপর হামলা, ক্লাস বর্জন করে বিক্ষোভ

১২

‘আপনাকে গভীরভাবে অনুভব করি প্রতি পদে পদে’

১৩

এইচএসসির ফল প্রকাশের তারিখ নিয়ে প্রচার, শিক্ষা বোর্ডের বক্তব্য

১৪

হাসারাঙ্গাকে ছাড়াই শ্রীলঙ্কা দল ঘোষণা

১৫

ভিক্ষুক পুনর্বাসন প্রকল্পের টাকা নিয়ে উধাও সমাজসেবা কর্মকর্তা

১৬

সিলেটে সাদাপাথর লুট / গোয়েন্দা প্রতিবেদনের সঙ্গে স্থানীয় প্রশাসনের দ্বিমত

১৭

আমাদের আদর্শগত শত্রু বিজেপি, বললেন থালাপতি বিজয়

১৮

৩৮ বছরের শিক্ষকতা শেষে অশ্রুসিক্ত ভালোবাসায় প্রধান শিক্ষককে বিদায়

১৯

পাঠ্যবইয়ে শেখ হাসিনার নাম হবে গণহত্যাকারী : আসিফ মাহমুদ

২০
X