মহিউদ্দিন খান মোহন
প্রকাশ : ২৭ আগস্ট ২০২৫, ১২:০০ এএম
আপডেট : ২৭ আগস্ট ২০২৫, ০৯:০৬ এএম
প্রিন্ট সংস্করণ
যে কথা সে কথা

মূল বই না পড়া বালকদের কথা

মূল বই না পড়া বালকদের কথা

কবি সুনীল গঙ্গোপাধ্যায় তার ‘কেউ কথা রাখেনি’ কবিতায় লিখেছেন—‘মামাবাড়ির মাঝি নাদের আলী বলেছিল, বড় হও দাদা ঠাকুর/ তোমাকে আমি তিন প্রহরের বিল দেখাতে নিয়ে যাবো/ সেখানে পদ্মফুলের মাথায় সাপ আর ভ্রমর খেলা করে!/ নাদের আলী, আমি আর কত বড় হবো? আমার মাথা এই ঘরের ছাদ/ ফুঁড়ে আকাশ স্পর্শ করলে তারপর তিন প্রহরের বিল/ দেখাবে?’ সুনীল বাবুর মামাবাড়ির মাঝি নাদের আলী সত্যি তাকে তিন প্রহরের বিল দেখাতে নিয়ে যাওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল কি না, তা আমাদের জানার কথা নয়। হয়তো সেদিনের ছোট্ট বালককে প্রবোধ দেওয়ার জন্য নাদের আলী ওই কথা বলেছিল। তবে বড় হওয়ার পর বিল দেখতে সে একাই যেতে পারার কথা। নাদের আলীর সাহায্যের দরকার ছিল না। তবে অনুমান করা যায়, মানুষের কথা দিয়ে কথা না রাখার যে প্রবণতা, সুনীল গঙ্গোপাধ্যায় সেটাই বলতে চেয়েছেন তার কবিতায়।

‘বড়’ কে না হতে চায়? ছেলেবেলায় আমরা ভাবতাম কতক্ষণে বাবা-চাচা, নিদেনপক্ষে বড় ভাইদের মতো বড় হব। বড় হওয়ার অনেক সুবিধা। বকুনি দেওয়ার কেউ থাকে না, যেখানে খুশি যাওয়া যায়। কেউ মানা করতে পারে না। এক ধরনের স্বাধীনতার হাতছানি তাই আমাদের উতলা করে তুলত। কিন্তু যখন বড় হলাম, তখন বুঝতে পারলাম, বড় হওয়ার কত ঝামেলা। বড় হলে দায়িত্ব বাড়ে। ছোট থাকতে কারও গাছের আম পেড়ে খেয়ে ফেললে মুরুব্বিরা ‘ছোট মানুষ ভুল করে খেয়ে ফেলেছে’ বলে রেহাই দিয়ে দেন। কাউকে ঢিল ছুড়ে বা লাঠির আঘাতে আহত করলে বলেন, ‘বাচ্চা মানুষ, বুঝে করেনি।’ ব্যস! বেকসুর খালাস। কিন্তু বড় হয়ে সেই একই অপরাধ করলে কেউ ছেড়ে কথা বলে না। তখন মন্তব্য আসে, ‘তুমি তো বাপু কচি খোকাটি নও যে না বলে আম পেড়ে খাবে! এটা একরকম চুরি।’ তখন বেখেয়ালে ছোড়া ঢিল বা লাঠির আঘাতে কেউ আঘাত পেলে শুনতে হয়, ‘এত্ত বড় ডাঙর পোলা, ইচ্ছা করেই ঢিল মেরেছে। সুতরাং শাস্তি প্রাপ্য।’ এ পরিণত বয়সে এসে তাই বুঝতে পারি, বালকবেলায় যে স্বাধীনতা বা সহজে ক্ষমা পাওয়ার সুযোগ আমরা ভোগ করতাম, এখন আর তা পাই না। এখন আমরা আইনকানুন, নিয়মনীতি, বিবেক-বুদ্ধির শৃঙ্খলে আবদ্ধ। একটু এদিক-সেদিক হলে প্রথমেই আক্রমণটা আসে বিবেকের ওপর—‘ওই মিয়া, বয়স তো কম হয় নাই! বিবেক-বুদ্ধি নাই?’ ব্যস, তারপর শুরু হয় কৈফিয়ত নেওয়া। সংসার থেকে সমাজ সর্বত্র এ জবাবদিহির মুখে পড়তে হয়। আসলে ছেলেবেলায় কথাবার্তা-কাজকর্মের ক্ষেত্রে যে ‘ইনডেমনিটি’ থাকে, বড় হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে তা বাতিল হয়ে যায়।

মানুষ ছোট থেকেই বড় হয়। ছেলেবেলায় মুরুব্বিদের কদমবুচি করার পর তারা যখন মাথায় হাত বুলিয়ে বলতেন, ‘দোয়া করি, বড় হও’—তখন মনে অন্যরকম অনুভূতি সৃষ্টি হতো। অদ্ভুত এক প্রশান্তিতে ভরে যেত মন। সে সময় ভাবতাম—হাতে-পায়ে, মানে দৈহিক গড়নে বুঝি বড় হতে বলছেন তারা। প্রকৃতপক্ষে তাদের এ দোয়া ছিল ‘মানুষ’ হিসেবে বড় হওয়ার। কেননা, আকৃতিতে বড় হতে মানুষের কারও দোয়ার দরকার পড়ে না। ওটা প্রাকৃতিক নিয়মেই হয়ে যায়। মানুষের বেড়ে ওঠা, বেঁচে থাকা, এগিয়ে যাওয়ার ক্ষেত্রে কারও দোয়া কোনো কাজে লাগে কি না, তা নিশ্চিত বলা সম্ভব নয়। তবে মানুষের জন্য মানুষের দোয়া সৃষ্টিকর্তা কবুল করেন, বিশ্বাসীরা তাই বিশ্বাস করেন। একজন মানুষের বড় হওয়ার ক্ষেত্রে কারও দোয়া-আশীর্বাদের চেয়ে সঠিক পথে চলার পরামর্শ বেশি প্রয়োজন। একটি সৎ পরামর্শ একজন বিভ্রান্ত মানুষকেও সঠিক পথের সন্ধান দিতে পারে।

কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর তার ‘মানুষ’ প্রবন্ধে বলেছেন, ‘বিশ্ববিধাতা সূর্যকে অগ্নিশিখার মুকুট পরিয়ে যেমন সৌরজগতের অধিরাজ করে দিয়েছেন, তেমনি মানুষকে যে তেজের মুকুট তিনি পরিয়েছেন, দুঃসহ তার দাহ। সেই পরম দুঃখের দ্বারাই তিনি মানুষকে রাজগৌরব দিয়েছেন। তিনি তাকে সহজ জীবন দেন নি। সেইজন্যেই সাধনা করে মানুষকে মানুষ হতে হয়। তরুলতা সহজেই তরুলতা, পশুপক্ষী সহজেই পশুপক্ষী, কিন্তু মানুষ প্রাণপণ চেষ্টায় তবে মানুষ।’ কবিগুরু ‘মানুষ হওয়া’ বলতে বড় হওয়াকে বুঝিয়েছেন। মানুষের মধ্যে তো সেই বড়, যিনি কাজকর্মে নিষ্ঠাবান, মানুষের প্রতি বিশ্বস্ত এবং যার মধ্যে থাকে মনুষ্যত্ব।

২০২৪-এর গণঅভ্যুত্থানের পর ক্ষুদ্র একটি গোষ্ঠী বাংলাদেশ সেনাবাহিনী ও সেনাপ্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামানের বিরুদ্ধে নানারকম বিষোদগারে লিপ্ত রয়েছে। ক্ষুদ্র এ গোষ্ঠীটির সদস্যদের কেউ রয়েছে বিদেশে, কেউ অবস্থান করছে দেশেই। তারা সমাবেশের বক্তৃতায়, ইউটিউবের আলোচনায় সেনাবাহিনী ও সেনাপ্রধানের বিরুদ্ধে চরম ঔদ্ধত্যপূর্ণ মন্তব্য করে চলেছে। তাদের কেউ ক্যান্টনমেন্ট উড়িয়ে দেওয়ার হুমকি দেয়, কেউ আবার খুলে নিতে চায় এর ইট। আবার কেউ সেনাপ্রধানের মাথায় ‘ঘিলু’ নেই বলেও মন্তব্য করছে। অথচ জাতীয় নানা সমস্যা-সংকটে সেনাবাহিনীই আমাদের ভরসার প্রতিষ্ঠান হিসেবে প্রমাণিত। আগে-পরের কথা বাদই দিলাম। গত বছরের ৫ আগস্টের কথাই ধরুন। সেদিন গোটা দেশ ছিল হাসিনা সরকারের বিরুদ্ধে জনবিক্ষোভে অগ্নিগর্ভ। যে পরিস্থিতি সেদিন সৃষ্টি হয়েছিল, তা সামাল দেবে কে—এ প্রশ্ন সচেতন ব্যক্তিদের উদ্বিগ্ন করে তুলেছিল। বাংলাদেশ সেনাবাহিনী ও এর প্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান সেদিন যে দায়িত্বশীল ভূমিকা পালন করেছেন, তা সর্বজন প্রশংসিত। জেনারেল ওয়াকার যদি প্রত্যুৎপন্নমতিত্বের সঙ্গে রাজনৈতিক নেতাদের ডেকে অন্তর্বর্তী সরকার প্রতিষ্ঠার উদ্যোগ না নিতেন, তাহলে দেশের পরিস্থিতি কী দাঁড়াত, তা কল্পনাও করা যায় না। জেনারেল ওয়াকার ও সেনাবাহিনী তাদের সেদিনের ভূমিকার দ্বারা আবারও প্রমাণ করেছেন, সমস্যা-সংকটে সেনাবাহিনী এখনো জনগণের ভরসার শেষ ঠিকানা। সেই নিষ্ঠাবান সেনাবাহিনী ও এর বর্তমান প্রধান সম্পর্কে কতিপয় অর্বাচীন তরুণের ঔদ্ধত্যপূর্ণ উক্তি সংগত কারণেই জনমনে ক্ষোভের সঞ্চার করেছে। বিষয়টি স্পর্শকাতর বিধায় হয়তো প্রকাশ্যে কেউ কোনো প্রতিক্রিয়া দেখাননি। তবে এ ব্যাপারে সেনাবাহিনীর আশ্চর্যরকম নীরবতা সবাইকে বিস্মিত করেছে। তারা ভেবে পাননি, এ বিষয়ে সেনাসদর কেন মুখ খুলছে না।

অবশেষে এ ব্যাপারে সেনাপ্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান কথা বলেছেন। গত ১৯ আগস্ট ঢাকা সেনানিবাসে অফিসার্স অ্যাড্রেসে বক্তব্য রাখতে গিয়ে তিনি বলেছেন, ‘এসব মন্তব্যে অখুশি হওয়ার কিছু নেই। যারা এসব করছে তাদের বয়স কম। তারা আমাদের সন্তানের বয়সী। তারা বড় হলে নিজেদের ভুল বুঝতে পারবে। তখন নিজেরাই লজ্জিত হবে।’ (কালবেলা, ২০ আগস্ট, ২০২৫)। এটা বোঝা যাচ্ছে, ইউটিউবার ও কতিপয় অপরিণামদর্শী রাজনৈতিক কর্মীর কথাবার্তাকে সেনাপ্রধান উপেক্ষা করতে চাচ্ছেন। তবে বিষয়টি তিনি হালকাভাবে নিলেও ততটা হালকা নয় বোধহয়। কারণ, এর সঙ্গে আমাদের সেনাবাহিনীর ঐতিহ্য ও ভাবমর্যাদার প্রশ্ন জড়িত। যে সেনাবাহিনী তাদের পেশাদারিত্ব, কর্মদক্ষতা, দেশপ্রেম ও মানবিক গুণাবলির জন্য জাতীয় এবং আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে প্রশংসিত; সেই বাহিনী সম্বন্ধে উদ্ভট-আজগুবি তথ্য প্রচার ও মন্তব্য শুধু অনৈতিকই নয়, রাষ্ট্রদ্রোহ অপরাধ সমতুল্য। তারপরও যেহেতু সেনাপ্রধান তাতে ‘অখুশি’ নন, তাই দেশবাসীরও অসন্তুষ্ট হওয়ার কিছু আছে বলে মনে হয় না।

তবে জেনারেল ওয়াকার তার ‘সন্তান-বয়সী’ ছেলেপুলেগুলো বড় হলে বুঝতে পারবে এবং তখন নিজেরাই লজ্জিত হবে বলে যে আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন, তা কতটা যৌক্তিক; এ নিয়ে প্রশ্ন তোলা বোধকরি অসমীচীন নয়। কেননা, তিনি যাদের ‘কমবয়সী’ বলে ভাবছেন, তারা একেবারে দুধের শিশুও নন। তাদের মধ্যে অনেকেই বিয়েশাদি করে কেউ দেশে, কেউ বিদেশে বসবাস করছেন। কেউ ব্যারিস্টারি পাস করে রাজনৈতিক দলের শীর্ষনেতাও বনে গেছেন। সুতরাং তাদের শিশু কিংবা বালক আখ্যায়িত করে ছাড় দেওয়া কতটা সুবিবেচনাপ্রসূত ভেবে দেখতে হবে। তাদের মধ্যে কেউ কেউ আবার অচিরেই সরকার পরিচালনার সঙ্গে যুক্ত হওয়ারও স্বপ্ন দেখছেন। তাই ‘ওরা বাচ্চা মানুষ, না বুঝে বলে ফেলেছে’—এমন বিবেচনায় ছাড় দেওয়া যায় কি না, ভেবে দেখতে হবে। কেননা, এর কুফল হতে পারে সুদূরপ্রসারী। তাদের দেখাদেখি অন্যরাও যদি সেনাবাহিনী ও সেনাপ্রধান সম্পর্কে আপত্তিকর বক্তব্য-মন্তব্য দিতে শুরু করেন, তখন কিন্তু সমস্যাটি ছোট থাকবে না, হয়ে যাবে অনেক বড়।

দেশবাসী সবাই এটা লক্ষ করে থাকবেন যে, জুলাই গণঅভ্যুত্থানের পর কিছু বাচ্চা ছেলেপিলে নিজেদের হিমালয়সম সুউচ্চ ভাবতে শুরু করে। গত বছর গণআন্দোলন ও গণঅভ্যুত্থানে তারা যে অগ্রণী ভূমিকা পালন করেছে, তা অবশ্যই স্বীকার্য এবং ইতিহাসেও লেখা থাকবে। কিন্তু বেদনাদায়ক ব্যাপার হলো, তারপর থেকে তারা নিজেদের বাংলাদেশ রাষ্ট্রের নিয়ন্ত্রক ভাবতে শুরু করে। সংবিধান, আইনকানুন, নিয়মনীতি কোনো কিছুকেই তোয়াক্কা না করে তাদের ইচ্ছা-অনিচ্ছাকে রাষ্ট্রের ওপর চাপিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করেছে এবং কিছু কিছু ক্ষেত্রে সফলও হয়েছে। রাজনীতির ‘অ আ ক খ’ না পড়া রাজনীতির এসব বালক এমন ঔদ্ধত্য দেখিয়েছে যে, ‘হিরো’ হওয়ার এক বছরের মাথায় তারা ‘জিরো’ হতে বসেছে। তাদের অনেকের বিরুদ্ধে উঠছে অবৈধ আয়ের অভিযোগ। এমনকি নারী কেলেঙ্কারিও বাদ যায়নি।

দ্রোহ ও প্রেমের কবি রফিক আজাদের ‘বালক ভুল করে নেমেছে ভুল জলে’ কবিতার দুটি পঙক্তি— ‘বালক ভুল ক’রে পড়েছে ভুল বই,/ পড়েনি ব্যাকরণ, পড়ে নি মূল বই’ অত্যন্ত তাৎপর্যমণ্ডিত। ব্যাকরণ এবং মূল বই না পড়ে যেমন কেউ প্রকৃত জ্ঞানার্জন করতে পারে না, তেমনি রাজনীতি হোক বা অন্য কোনো বিষয় সম্পর্কে পুরোপুরি জ্ঞান আহরণ না করে তাতে ব্যাপৃত হওয়া সাঁতার না জেনে খরস্রোতা নদীতে ঝাঁপ দেওয়ার শামিল। কতিপয় তরুণের কাজকর্ম-কথাবার্তা সেরকমই মনে হচ্ছে। তাই কবি রফিক আজাদের কবিতাকে স্মরণ করে বলা যায়, বালকরা বোধকরি ভুল করেই ভুল জলে নেমে পড়েছে।

লেখক: সাংবাদিক ও কলাম লেখক

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে রাবি উপাচার্যের সাক্ষাৎ

ফোনের চার্জার যে কারণে সাদা বা কালো রঙের হয়

পরীক্ষামূলকভাবে শুরু হচ্ছে স্বয়ংক্রিয় ট্রাফিক সিগন্যাল

জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ফরম ফিলাপ ফি বৃদ্ধি প্রত্যাহারের দাবি

গুম করলে সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদণ্ড, আইনের খসড়া নীতিগত অনুমোদন

ঘুষ লেনদেনের ভিডিও ভাইরাল, দুই ট্রাফিক পুলিশ ক্লোজড

গাজায় যুদ্ধবিরতি কেন হচ্ছে না, জানাল মিশর

ডাকসু নির্বাচনে সেনা মোতায়েন প্রসঙ্গে প্রধান রিটার্নিং কর্মকর্তার বক্তব্য

কপোতাক্ষ নদীতে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন, লাখ টাকা জরিমানা

ইসির রোডম্যাপে খুশি বিএনপি : মির্জা ফখরুল

১০

বুয়েট শিক্ষার্থীদের ওপর হামলার প্রতিবাদে জবিতে বিক্ষোভ

১১

ঢাকায় চুরির মামলায় আ.লীগ নেতা বরিশালে গ্রেপ্তার

১২

হাসনাত-সারজিসকে আলটিমেটাম, এনসিপিকে বর্জনের হুঁশিয়ারি

১৩

কদমতলীতে বিদেশি পিস্তল-গুলিসহ গ্রেপ্তার ২

১৪

সিলেটে এবার পুকুরের মধ্যে ‘পাথরের খনি’

১৫

শ্রদ্ধাকে প্রকাশ্যে ভালোলাগার কথা জানালেন আমাল

১৬

ঈদে মিলাদুন্নবীর (সা.) ছুটির তারিখ পরিবর্তন

১৭

জবির দুই শিক্ষককে মারধরের ঘটনায় বহিষ্কার ও ক্যাম্পাসে প্রবেশের নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার

১৮

গাজায় ২৩৩ ইমামকে হত্যা, ৮২৮ মসজিদ ধ্বংস

১৯

শিক্ষার্থীদের সঙ্গে সংবেদনশীল আচরণ কাম্য : ববি হাজ্জাজ

২০
X