সোহেল সানি
প্রকাশ : ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ০২:৪০ এএম
আপডেট : ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ০৯:৪২ এএম
প্রিন্ট সংস্করণ

জো বাইডেনের ‘সেলফিকলা’

জো বাইডেনের ‘সেলফিকলা’

বাংলাদেশ প্রশ্নে মার্কিন মুল্লুকের হুঁশ ফিরিয়া আসিয়াছে। ইহা দেখিয়া মনটা দেশ ও জাতি প্রফুল্ল হইয়া উঠিয়াছে। অপসারণ ঘটিয়াছে মনটার ওপর জগদ্দল পাথর হইয়া চাপিয়া থাকা আতঙ্ক-আশঙ্কা। ইহাতে মস্তিষ্কের কোষগুলোতে রক্ত সঞ্চালন শুরু হইয়াছে। কারণ বাঙালিরা চক্রান্ত-ষড়যন্ত্র ভীতসন্ত্রস্ত হইয়া অগ্রসরমাণ অভিযাত্রায় বারবার হোঁচট খাইয়া আসিতেছে। সংক্রামক ব্যাধির ন্যায় সেই সকল চক্রান্ত বাঙালিকে আষ্টেপৃষ্ঠে বাঁধিয়া রাখিয়াছে যুগের পর যুগ। মার্কিন প্রেসিডেন্ট সুমতিতে সেই সকল অনিষ্টের অপসারণ ঘটাইয়া নবতর বার্তা দিয়াছে। বাংলাদেশ-যুক্তরাষ্ট্র সম্পর্কের সৌহার্দ্যের নতুন দিগন্ত উন্মোচিত করিয়া দিয়াছে। জো বাইডেনের ‘সেলফি’ তো নহে, এ যেন দ্বিপক্ষীয় সম্প্রীতির আবশ্যকতায়ই শিল্পকলার ন্যায় এক ‘সেলফিকলা’। শাবাশ—জো বাইডেন, সাধুবাদ মার্কিন প্রেসিডেন্ট। বাইডেনের মুখাবয়বে যে হাসির ফল্গুধারা ছড়াইয়া দিয়াছ, তাহার মাঝেই অন্তর্নিহিত এক সমীহবার্তা। যাহা নির্বাচনমুখী গণমানুষের মাঝে প্রবল আশার সঞ্চার করাইয়া দিয়াছে। সত্যাসত্যই বাইডেনের বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীকে লইয়া দেওয়া সেলফিখানা একটি অবিস্মরণীয় বার্তা। যাহার মাঝে অঙ্কুরিত হইয়াছে বাংলাদেশের ভাবাবেগ এবং শেখ হাসিনার প্রতি নিরঙ্কুশ আস্থা। সেলফিখানা নিছক মামুলি বিষয় নহে। ইহা কেবলই আমেরিকার দৃষ্টিগোচরিত এক বাংলাদেশের প্রতিচ্ছায়া। বাইডেনের অকৃপণ হাসিখানায় শেখ হাসিনার হাসিও আছড়াইয়া পড়িয়াছে। বিলম্বে হইলেও বাইডেনের মনোজগতে উপলব্ধ হইয়াছে যে, ‘শেখ হাসিনার মতন করিয়া বাংলাদেশটাকে কেহই ভালোবাসিতে পারিতেছে না, সুতরাং শেখ হাসিনাই তাহার অবশিষ্ট লক্ষ্য পূরণের পথে হাঁটুক। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম হইতে বিশ্ব গণমাধ্যমে মার্কিন প্রেসিডেন্টের এই অভিনব ‘সেলফিকলা’ বাংলাদেশের রাজনীতির ওপর বিরাট ইতিবাচক প্রভাব পড়িয়াছে। দেশ-বিদেশের গণমাধ্যমেও এটি একখানা বিরাট সমাচার এখন। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র হাতের মুঠোয় লইয়া এতদিনকার যে বিএনপি ঘরনার রাজনীতিতে সরীসৃপের ফোঁসফোঁস শব্দ আনাচে-কানাচেতে শোনা যাইত, সেই তাহাদেরও সেলফি-কাণ্ড রাশ টানিয়া ধরিয়াছে। বাইডেন খুব করেই যেন কথিত মিত্রদের তাজ্জবনে পাঠাইয়া দিয়া, তাহাদের কর্ণগহিনে নির্বাচনী বার্তাটাই ঢুকাইয়া দিল। আর নহে অগ্নিসন্ত্রাসে সাধারণ নরনারী হত্যা, আর নহে সংখ্যালঘু ধর্ষণ, আর নহে রাজনৈতিক হত্যা। সর্বোপরি কোনোভাবেই আর নহে ‘পনেরো আগস্টে’র পুনরাবৃত্তি। নহে কোনো আর কোনো ‘একুশে আগস্ট’। আসন্ন নির্বাচনের পূর্বে ইহা শেখ হাসিনার পক্ষে শক্তিসঞ্চারিত একটি অমোঘ মন্ত্র। উন্নয়নের মহাসড়কে প্রদীপ্তি না নিভাইয়া সৌহার্দ্যের সৌন্দর্যেই শেখ হাসিনার পাশে দাঁড়ানোর কথাও উচ্চারিত হয়েছে ওই একঝলক কথোপকথনেই।

মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের এই সম্প্রীতি ও সৌহার্দ্যমূলক আচরণের মূলে অগ্নিমন্ত্রের কাজ হইয়াছে ভারতীয় ক্ষমতাসীন দল বিজেপির বাংলাদেশের পক্ষে বাইডেন প্রশাসনকে দেওয়া সাম্প্রতিক চিঠি। মার্কিন প্রেসিডেন্টকে বাংলাদেশ তথা শেখ হাসিনা প্রশ্নে ভারত প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির ভূমিকা তো রহিয়াছেই। উচ্ছ্বসিত বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। নরেন্দ্র মোদি ও শেখ হাসিনার দ্বিপক্ষীয় বৈঠক এতটাই ফলপ্রসূ হইয়াছে যে, তাহা দুই প্রধানমন্ত্রীর চেহারা সুরাতেই প্রোজ্জ্বল হইয়া উঠিয়াছে। এটা না বুঝিবার আর কারণ নাই যে, বাংলাদেশ সরকারের পক্ষে প্রকারান্তরে ভারত সরকারের মতন মার্কিন প্রশাসনেরও শেখ হাসিনার পক্ষে চূড়ান্ত অবস্থানের এক কূটনৈতিক বার্তা। পূর্বেই বলিয়াছি, বাইডেনের সেলফি এখন বিশ্ব সমাচার। যাহা বিদ্যুৎগতিতে ছড়াইয়া পড়িয়াছে, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম হইতে বিশ্ব গণমাধ্যমে। বাংলাদেশ ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যকার আনুষ্ঠানিক দ্বিপক্ষীয় রুদ্ধদ্বার বৈঠকের কোনো প্রকার প্রয়োজনও নাই। কেননা বাইডেনের ‘সেলফিকলা’ বাংলাদেশের রাজনীতির জন্য বিরাট তাৎপর্যপূর্ণ। বাংলাদেশ প্রশ্নে তথা শেখ হাসিনার বিষয়ে ঘূর্ণায়মান সংশয় ও সন্দেহের অবসান প্রশ্নে দ্বিপক্ষীয় আপস-মীমাংসা সেলফির মাঝেই নিহিত। সর্বোপরি বাংলাদেশের মানুষের রুদ্ধশ্বাসের আনুষ্ঠানিক অবসানের অবিশ্বাস্য কার্যকরণ হইলো বাইডেনের এ সেলফিকলা। নোবেল বিজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূস এ পরিস্থিতি প্রত্যক্ষ করছেন কীভাবে, তাহা তিনিই কেবল জানেন। বাংলাদেশ ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যকার বিশ্বাস-অবিশ্বাসের দ্বন্দ্বের সূত্রধর তো তিনি। বিশ্বময় অবিস্মরণীয় বিচরণ তার। তার সুবিশাল ভাবমূর্তি ফুটিয়া উঠিয়াছে দেড় শতাধিক বিশ্ব ব্যক্তিত্বের শিশুতোষ আবদারে। আসলে বৃদ্ধ হইয়া গেলে নাকি মানুষ শিশু মনোবৃত্তিতে প্রত্যাবর্তন করিয়া বসে। বিবেক বুদ্ধি, বিবেচনা, শিক্ষা লোপ পাইয়া যায়। তাহারা শিশুর মতো অবুঝ হইয়া পড়িয়াছেন কি না, জানা নাই। কিন্তু শিশুর মতোই তাহাদের দাবি। বাংলাদেশ একটি স্বাধীন সার্বভৌম গণপ্রজাতন্ত্রী রাষ্ট্র। ইহার সংবিধান রহিয়াছে, আইন রহিয়াছে। কার্যবিধি রহিয়াছে। কেহ অপরাধকর্ম সংঘটিত করিলে প্রচলিত আইনে অভিযুক্ত ব্যক্তি বিচারে সোপর্দ হইবেন। এটাই স্বাভাবিক। অপরাধী কি না, তাহার ফয়সালা হইবে নিজস্ব গতিতে চলয়মান বিচারিক আদালতে। কিন্তু বহু নোবেল বিজয়ী বন্ধু সাজিয়া ড. মুহাম্মদ ইউনূসের মামলা স্থগিত করিবার জন্য বাংলাদেশের ওপর চাপ সৃষ্টি করিবার দৃষ্টান্ত স্থাপন করিয়াছেন। তাহারা একটিবারও ভাবিয়া দেখিলেন না যে, এইটা নেহাত নীতিবিরুদ্ধ কাজ। একটি ভিন দেশের প্রশ্নে নীতিবিগর্হিত আচরণ। একটি রাষ্ট্রের ওপর সাম্রাজ্যবাদী আগ্রাসনের নামান্তর। ঔদ্ধত্যমূলক অসংবেদনশীল হস্তক্ষেপ বটে। না জানিয়া, না বুঝিয়া স্রেফ ব্যক্তিপ্রেমে সমষ্টির সর্বনাশ করিবার উদভ্রান্ত নীতি তো মধ্যযুগীয় বর্বরতা। বাংলাদেশের বিচারিক আদালত ড. ইউনূসের মামলা স্থগিতাদেশের দাবির প্রতি শুনানি করিতে গিয়া বিব্রতবোধ করিবেন কি না জানি না, তবে পৃথিবীর অন্য কোনো দেশের বিচারিক আদালত এমন পরিস্থিতির মুখোমুখি হইলে সমুচিত প্রতিউত্তর তাহারা পাইতেন। সাম্প্রতিক ড. ইউনূসের মামলা-মোকদ্দমার আইনি ভিত্তিমূল নিয়া বিভিন্ন মহলে প্রশ্ন ওঠায় অনেক দিন পর সংবিধানের দিকে চোখ রাখিলাম। আর তাতেই কয়েকটি অনুচ্ছেদের ভাষা-পরিভাষার মর্মমূল আঁচ করিতে গিয়া বিস্মিত হইলাম। বাংলাদেশের সংবিধানের ২৭ অনুচ্ছেদে বলা হয়েছে, ‘সকল নাগরিক আইনের দৃষ্টিতে সমান এবং আইনের সমান আশ্রয় লাভের অধিকারী।’ প্রসঙ্গত, জো বাইডেনের প্রতিদ্বন্দ্বী ডোনাল্ড ট্রাম্পকে বিচারিক আদালতের সোপর্দ হইতে দেখিলাম দিন কতক পূর্বে। ঘণ্টা দেড়েক হাজতও খাটিলেন। যুক্তরাষ্ট্রের আইনের শাসন আমাদের জন্য শিক্ষণীয়। আমাদের অন্ধকার চোখে আলোকচ্ছটা ছড়াইয়া দেয় তাহাদের বিচারকার্য। বাইডেন বাংলাদেশকে ভালোবাসিলে আমরাও বাইডেনকে ভালোবাসায় অনুরক্ত করিয়া রাখিব। বাইডেন চক্রাকারে পড়ে ইউনূসীয় কাণ্ডকারখানার জড়াইয়া পড়েন নাই, এটাই বাংলাদেশের মানুষের আশার কথা। এ ব্যাপারটি আমার হৃদয়াবেগে জ্বলজ্বল করিয়া জ্বলিতেছে। বিশেষ করে শেখ হাসিনা প্রশ্নে জো বাইডেন নীতির পরিবর্তন ঘটিয়াছেন, দেখিয়া বাংলাদেশকে এবং বাংলাদেশের মানুষকে নিরাপদ মনে হইতেছে। অপরদিকে বাইডেনের এই প্রাকৃত মনোবৃত্তি প্রতিপক্ষ ডেমোক্র্যাটদেরও চক্ষু খুলিয়া দিক। যাহাতে তাহারা ন্যায়ের পথে হাঁটিবার জন্য বাইডেনের মহত্তম কূটনৈতিক সমীকরণ চলার পথের পাথেয় হইয়া উঠিতে পারে। শেখ হাসিনার প্রথম মেয়াদের শাসনামলেই তৎকালীন মার্কিন প্রেসিডেন্ট বিল ক্লিনটন বাংলাদেশ সফর করতে আসিয়া ত্রিশ লাখ শহীদের প্রতি শ্রদ্ধা প্রদর্শন করিতে ছুটে গিয়াছিলেন সাভার স্মৃতিসৌধে। সেই বিল ক্লিনটনের সহযাত্রী ফার্স্টলেডি হিলারি ক্লিনটনের বন্ধু সাজিয়া অর্থনীতির বদলে শান্তিতে নোবেল ছিনাইয়া আনা ড. মুহাম্মদ ইউনূস স্মৃতিসৌধ চত্বরে পা রাখেননি। তিনি নিজেকে কখনো বাঙালি বলিয়া অভিষিক্ত করিয়াছেন, এমন তথ্য-উপাত্ত ঘাঁটাঘাঁটি করিয়া আমি ক্লান্ত-শ্রান্ত হইয়া পড়িয়াছি। কিন্তু পাই নাই। আজব এক মানুষ তিনি। মাতৃগর্ভ হইতে মাতৃভূমিতে ভূমিষ্ঠ হইবার পর প্রথম ‘মা’ বলে যে বন্দনা তা নিশ্চয়ই করিয়াছিলেন। কিন্তু সেই মায়ের ভাষা বাংলা আন্তর্জাতিক মাতৃভাষার সুমহান মর্যাদা অর্জন করিলেও আজ অবধি ড. ইউনূস শহীদ মিনার চত্বরে শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধার্ঘ্যে শির নত করেননি। ২০০৭ সালে ওয়ান ইলেভেন সংঘটিত করে তৎকালীন সেনাপ্রধান মঈন উ আহমেদ ড. ইউনূসকে প্রধান উপদেষ্টা করিবার জন্য অনুরোধ করিয়াছিলেন কিন্তু তাহা নাকচ করিয়া দিয়া ড. ইউনূস রাজনৈতিক দল গঠনের অভিলাষ ব্যক্ত করিয়া ব্যর্থ হইয়াছিলেন। সেনাবাহিনী প্রধান মঈন উ আহমেদ বঙ্গবন্ধুকে ধারণ করে বলিয়াছিলেন—আমরা কেমন একটা অর্থব জাতি যে আজও জাতির পিতা ঠিক করিতে পারি নাই। আর সেই মঈন উ আহমেদের পছন্দের ড. ইউনূস বঙ্গবন্ধুর মাজার জিয়ারত করা দূরে থাক, জীবনে একটিবারের জন্যও কোনো ভাষণ বক্তৃতায় তার নামটি পর্যন্ত উচ্চারণ করেন নাই। সেই ইউনূসের যখন বাংলাদেশের সংবিধান আইনের আওতায় বিচারকার্য চলিতেছে, তখন বিশ্বের সুপ্রিম কোর্টের প্রতিষ্ঠাতা ও যুক্তরাষ্ট্র সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি জন মার্শালের কথা বড় বেশি করিয়া মনে পড়িতেছে। যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা ও তাহার পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিলারি ক্লিনটন ড. ইউনূসের বিচার স্থগিতকরণের দাবি জানাইলেন। এমনকি নোবেল বিজয়ীরা সেই দাবির দাবিদার। কী অদ্ভুত বিশ্বের শক্তিধর রাষ্ট্রের বিশ্ব গণতন্ত্র। জন মার্শালের সেই অবিস্মরণীয় উক্তিটি—‘কোনো ব্যক্তি প্রতিপক্ষ ব্যক্তির ওপর অধিকার প্রয়োগের পূর্বে শতবার ভেবে নিন, আপনি অধিকার প্রয়োগ করতে গিয়ে প্রতিপক্ষ ব্যক্তিরই অধিকার হরণ না করে বসেন।’

লেখক : সিনিয়র সাংবাদিক, কলামিস্ট ও ইতিহাস গবেষক

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

বাসস্ট্যান্ডের আধিপত্য নিয়ে সংঘর্ষ, আহত ৬

পারমাণবিক পদক্ষেপ নিয়ে যা জানাল ইরান

খেলনা পিস্তল নিয়ে দোকানিকে হুমকি, এলাকায় চাঞ্চল্য

জনস্বাস্থ্য শিক্ষাকে উপেক্ষা করে ভেক্টর বাহিত রোগ প্রতিরোধ অসম্ভব

গাজা-ইরান-ইউক্রেন সব যুদ্ধের দায় কি ট্রাম্পের?

ইরানের নতুন আইআরজিসি প্রধান পাকপুর

মায়ের অসুস্থতায় দেশে ফিরলেন গম্ভীর, ইংল্যান্ডে ফেরা অনিশ্চিত

১৪৪ ধারা জারির মধ্যেই বিএনপির বিক্ষোভ

সাকিবের সঙ্গে দেশের ক্রিকেট নিয়ে আলোচনা হয়েছে মিরাজের

ইরানে আবার ভয়ংকর হামলা চালাল ইসরায়েল

১০

মায়ের কাছে ফিরলেন সমু চৌধুরী 

১১

কুড়িগ্রামের স্বাস্থ্য বিভাগকে জরুরি নির্দেশনা প্রশাসনের

১২

বৈঠকের পর ড. ইউনূস ও তারেক রহমানের যৌথ বিবৃতি

১৩

ভোট নিয়ে ড. ইউনূসকে যে প্রস্তাব দিলেন তারেক রহমান

১৪

ক্লাব বিশ্বকাপে ট্রাম্পের অভিবাসন সংস্থা! উদ্বোধনী ম্যাচে নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বেগ

১৫

ভোটের তারিখ শিগগিরই ঘোষণা করবে ইসি : খলিলুর রহমান

১৬

জমির টাকা আত্মসাৎ করতে অন্তঃসত্ত্বা বোনকে মেরে ফেলল তারা

১৭

বৈঠক শেষে হাসিমুখে বের হলেন তারেক রহমান

১৮

ঢাকা-বরিশাল মহাসড়কে দুর্ঘটনা, ছয় কিলোমিটারজুড়ে যানজট

১৯

ইরানে হামলার বিষয়ে আগেই জানতেন ট্রাম্প

২০
X