শুক্রবার, ১৭ মে ২০২৪, ৩ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১
মহসীন হাবিব
প্রকাশ : ১৬ জানুয়ারি ২০২৪, ০৩:৩২ এএম
আপডেট : ১৬ জানুয়ারি ২০২৪, ০২:৩৮ পিএম
প্রিন্ট সংস্করণ

মালদ্বীপের আকাশে দুর্যোগের ঘনঘটা

মালদ্বীপের আকাশে দুর্যোগের ঘনঘটা

আপনি দুর্বল। আপনার ছোট্ট বাড়ির কাছেই যদি ধনী ও শক্তিশালী একজন প্রতিবেশী থাকে, তাহলে অবশ্যই আপনাকে ধনীর সঙ্গে সুসম্পর্ক বজায় রাখতে হবে এবং ধনীর বাড়িয়ে দেওয়া উষ্ণ হাতকে উপেক্ষা করবেন না। এটাই তো নিয়ম। আপনার বাড়ির অনতিদূরে যদি আরও একটি শক্তিশালী লোকের বিশাল বাড়ি থাকে এবং ওই দুই বাড়ির মধ্যে শীতল সম্পর্ক থাকে, তাহলে অবশ্যই আপনার জন্য বিনা কারণে দুই বাড়ির যে কোনো একটির সমর্থক হয়ে ওঠা হবে চরম বোকামি। তারপরও দুই বৃহৎ বাড়ির মনোমালিন্যে যদি একান্তই আপনাকে কোনো পক্ষ নিতে হয়, তখন আপনি তাকাবেন মূল্যবোধের দিকে, অতীত সম্পর্ক ও কৃতজ্ঞতার জায়গাগুলোর দিকে। সেটাকেই সাধারণ জ্ঞান বলে। কিন্তু নতুন সরকারের অধীন মালদ্বীপ এর কোনো ক্রাইটেরিয়া মানছে না। মনে হচ্ছে, ভারতের সঙ্গে পায়ে পাড়া দিয়ে ঝগড়া করতে ব্যস্ত হয়ে উঠেছে অভ্যন্তরীণ কিছু সাময়িক সুবিধা-অসুবিধার বিবেচনায়, যা দীর্ঘমেয়াদে মালদ্বীপকে বাজে পরিস্থিতির দিকে ঠেলে দিতে পারে।

২০২৩ সালের নভেম্বরে নবনির্বাচিত মোহাম্মদ মুইজ্জু সরকার ভারতের বাড়িয়ে দেওয়া বন্ধুত্বের হাত ছেড়ে সরাসরি চীনের কোলে উঠে বসেছে এবং ভারতের সঙ্গে সব ধরনের অসহযোগিতার সুর বাজছে, যা শুধু অনুচিতই নয়, মালদ্বীপের অর্থনীতিকে চরম মূল্য দিতে হতে পারে। শুধু তাই নয়, মুইজ্জু সরকারের তিনজন মন্ত্রী সরাসরি সোশ্যাল মিডিয়ায় ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে উদ্দেশ করে যে কটূক্তি করেছেন, তা ভব্যতার যে কোনো স্তর ছাড়িয়ে গেছে। বিশেষ করে মন্ত্রী পর্যায় থেকে এমন কটূক্তি খুবই অপরিণত, বেমানান ও কুরুচিপূর্ণ।

সম্প্রতি ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি গিয়েছিলেন ভারতের দ্বীপপুঞ্জ লক্ষদ্বীপে। এটি মালদ্বীপের কাছাকাছি ভারতের ইউনিয়ন টেরিটরি। নরেন্দ্র মোদি এমন বিভিন্ন স্থানে চলে যান। তিনি প্রকৃতি পছন্দ করেন। সেটা হোক উত্তরাখন্ডের যোগেশ্বর মন্দির, অথবা কৈলাশ, অথবা কাশ্মীরের টিউলিপ গার্ডেন বা কেদারনাথ। তিনি একই সঙ্গে টুইটার অথবা অন্য কোনো সোশ্যাল মিডিয়ায় জায়গাটি নিয়ে পোস্ট দেন, সেইসঙ্গে এলাকাটি প্রমোট করেন। এটা নতুন কিছু নয়। নরেন্দ্র মোদির প্রকৃতিপ্রেম সুবিদিত। ২০১৯ সালে তিনি ডিসকভারি চ্যানেলের সুবিখ্যাত ম্যান ভার্সেস ওয়াইল্ডের হোস্ট বেয়ার গ্রিলসের সঙ্গে নিজেকে ভাসিয়ে দেন বৃষ্টিতে। ঠিক তেমনি সম্প্রতি স্বাভাবিকভাবেই তিনি লক্ষদ্বীপে ভ্রমণ করে কিছু ছবি পোস্ট করেন। এর প্রতিক্রিয়ায় সদ্যগঠিত মালদ্বীপ সরকারের তিন তরুণ বয়সী মন্ত্রী সোশ্যাল মিডিয়ায় মোদিকে ‘ইসরায়েলের পাপেট’, ‘টেররিস্ট’ এসব বলে মন্তব্য করেন। ভারত সরকার বিষয়টি ঠান্ডা মাথায় নিলেও ভারতের জনসাধারণের মধ্যে দলমত নির্বিশেষে ব্যাপক ক্ষোভের সৃষ্টি করেছে। ভারতের ক্রিকেটার, চলচ্চিত্র তারকা যারা বিভিন্ন সময় মালদ্বীপের পর্যটনকে প্রমোট করেছেন, তারাও দেশটিতে পর্যটন বয়কটের ডাক দেন। মালদ্বীপের অর্থনীতির মূল চালিকাশক্তি পর্যটন এবং ভারতীয়রাই সর্বাধিক সংখ্যায় মালদ্বীপ ভ্রমণ করে থাকে। যদিও পরিণত মাথার প্রেসিডেন্ট মুইজ্জু তার ওই তিন মন্ত্রীকে অপসারণ করেছেন, কিন্তু অস্বীকার করার উপায় নেই যে, ওই তিন মন্ত্রীর আচরণে মুইজ্জুর ভারত নীতিরই প্রতিফলন ঘটেছে। বরাবরই মালদ্বীপের একটি ঐতিহ্য ছিল, কেউ প্রেসিডেন্ট হলে প্রথম ভারত সফর করতেন। এবারই প্রথম মুইজ্জু প্রেসিডেন্ট হয়ে প্রথম তুরস্ক এবং সর্বশেষ চীন সফর করেছেন। সম্প্রতি চীন থেকে ফিরে এসে তিনি ভারতকে উদ্দেশ করে অত্যন্ত দম্ভের সঙ্গে বলেছেন, ‘we are small, but this does not give them license to bully us।’ সফরকালে চীনের সঙ্গে তিনি ২০টি চুক্তি স্বাক্ষর করেছেন। চীনও ভারতকে ইঙ্গিত করে মালদ্বীপের সার্বভৌমত্ব, সুরক্ষা নিয়ে পূর্ণ সমর্থনের আশ্বাস দিয়েছে। এসব উক্তির কোনো প্রয়োজন ছিল বলে মনে হয় না। কারণ ভারতের শত্রুও বলবেন যে ভারত কোনো আগ্রাসী শক্তি নয়। ভারতের বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্করের প্রতিক্রিয়ায় তা স্পষ্ট। তিনি বলেছেন, ‘কারও কাছে এমন নিশ্চয়তা নেই যে প্রতিটি দেশ, প্রতিটি সময় এবং প্রত্যেকে আমাদের সমর্থন করবে অথবা আমাদের মতের সঙ্গে একমত হবে।’

অথচ এই ভারতের সঙ্গে দীর্ঘকাল মালদ্বীপের ছিল অন্তরঙ্গ বন্ধুত্ব। মালদ্বীপ ছিল একসময় ব্রিটেনের সামরিক টেরিটরি। ১৯৬৫ সালে ভারতের প্রত্যক্ষ সহযোগিতায় মালদ্বীপ ব্রিটেনের কাছ থেকে স্বাধীনতা লাভ করে এবং ভারতই প্রথম মালদ্বীপকে স্বীকৃতি দেয়। তখন থেকেই মালদ্বীপ ছিল ভারতের প্রতি কৃতজ্ঞ এবং অকৃত্রিম বন্ধু। দেশটি ৩০ বছর শাসন করেছেন সাবেক প্রেসিডেন্ট মামুন আবদুল গাইয়ুম। ১৯৭৮ থেকে ২০০৮ সাল পর্যন্ত। তখন ভারত মালদ্বীপের অভ্যন্তরীণ রাজনীতিতে কোনোরকম হস্তক্ষেপ করতে চেষ্টা করেনি। কিন্তু ১৯৮৮ সালে শ্রীলঙ্কার পিপলস লিবারেশন অর্গানাইজেশন অব তামিল এলম বা প্লটের গেরিলারা মালদ্বীপের শীর্ষ ব্যবসায়ী আবদুল্লাহ লুথুফির কাছ থেকে অর্থের বিনিময়ে দেশটি আক্রমণ করে। মামুন আবদুল গাইয়ুম তখন যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, পাকিস্তান সর্বত্র ফোন করেন। কিন্তু কারও কাছ থেকে সাড়া পাননি। কেউ কেউ তখন বলেছে যে, ভারতকে বলুন। তখন ভারতের প্রধানমন্ত্রী ছিলেন ইন্দিরা তনয় রাজিব গান্ধী। তিনি ভারতের সেনাবাহিনী পাঠিয়ে অপারেশন ক্যাকটাসের মাধ্যমে গাইয়ুমকে উদ্ধার ও রক্ষা করেছিলেন। শুধু তাই নয়, ভারত মালদ্বীপের অর্থনৈতিক চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় বৈদেশিক সাহায্য হিসেবে নিয়মিত অর্থ দিয়ে থাকে এবং এ সাহায্যের পরিমাণ নিয়মিত বৃদ্ধি পাচ্ছিল। যেমন ২০১৮ সালে ভারত মালদ্বীপকে দিয়েছে ১০৯ কোটি রুপি। সেখানে ২০২২ সালে এই সাহায্য বেড়ে হয়েছে ১০ কোটি ইউএস ডলার! কিন্তু কী এমন হলো যে মালদ্বীপ এভাবে ভারতের বিপক্ষে অবস্থান নিয়েছে?

প্রায় বছর ১৫ ধরে মালদ্বীপের রাজনীতিতে প্রো-চায়না এবং প্রো-ভারত দুটি ধারা তৈরি হয়েছে। প্রেসিডেন্ট গাইয়ুমের পতনের পর ২০০৮ সালে একটি নির্বাচন হয় যেখানে মালদ্বীপ ডেমোক্রেটিক পার্টির সুশিক্ষিত, তরুণ, অসাম্প্রদায়িক মোহাম্মদ নাশিদ প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হন। তিনি ২০০৯ সালে ভারতের সঙ্গে একটি চুক্তি করেন যেখানে মালদ্বীপের সমুদ্র মনিটরিংয়ের দায়িত্ব দেওয়া হয় ভারতকে। বুঝতে হবে, মালদ্বীপের মতো একটি দুর্বল লোকসংখ্যা ও দুর্বল অর্থনীতির দেশের সমুদ্র মনিটরিংয়ের ক্ষমতা সীমিত। তাই চুক্তিটি নাশিদের আগ্রহেই হয়েছিল। এই নাশিদই চীনের সঙ্গেও সুসম্পর্ক গড়ে তুলতে শুরু করেছিলেন। কিন্তু তাতে ভারত কখনো আপত্তি তোলেনি এবং মালদ্বীপের ওপর কোনো চাপ প্রয়োগ করেনি। মূলত এরপর থেকেই চীনের প্রবেশ ঘটে এবং মালদ্বীপে তৈরি হয় দুটি রাজনৈতিক ঘরানা। ২০১২ সালে নাশিদ দেশটির প্রধান বিচারপতিকে গ্রেপ্তারের নির্দেশ দিলে রাজনৈতিক সংকট তৈরি হয়। দেশটির পুলিশ বাহিনীও নাশিদের আদেশ পালন করতে অস্বীকার করে। ঘটনাক্রমে নাশিদ পদত্যাগ করতে বাধ্য হন এবং তারই ভাইস প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ ওয়াহিদ হাসান মানিক প্রেসিডেন্ট হন। সে সময় থেকেই চীন রাজনীতিতে মানুষ বেচাকেনার শুরু করে। হাসান ওয়াহিদ ক্ষমতায় এসেই চীনের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক তৈরি করেন এবং চীনের বিনিয়োগ শুরু হয়। প্রেসিডেন্ট হয়ে ওয়াহিদ তারই বস নাশিদকে গ্রেপ্তারের নির্দেশ দিলে নাশিদ ভারতীয় হাইকমিশনে গিয়ে আত্মগোপন করেন। পরে শ্রীলঙ্কায় নির্বাসিত ছিলেন। হাসান ওয়াহিদের পর মালদ্বীপের প্রেসিডেন্ট হন দেশটির প্রগ্রেসিভ পার্টির নেতা আবদুল্লাহ ইয়ামিন। ইনি আরও বেশি চীনপন্থি ছিলেন। এরই মধ্যে ২০১৩ সালে চীন সুপার পাওয়ার হয়ে ওঠার দৌড়ে বেল্ট অ্যান্ড রোড ইনিশিয়েটিভ শুরু করে। তথাপি ভারত মালদ্বীপের প্রতি সহানুভূতিশীল ছিল। ২০১৪ সালের ডিসেম্বর মাসে মালদ্বীপের পানি সরবরাহ ব্যবস্থায় অগ্নিকাণ্ডের ফলে খাবার পানির তীব্র সংকট তৈরি হয়। ভারত মালদ্বীপে তাৎক্ষণিক আইএনএস দিপক জাহাজ ও বিমানপথে কয়েক হাজার টন পানি সরবরাহ করে মালদ্বীপকে সংকট থেকে উদ্ধার করে। এ সময় ভারতের প্রতি মালদ্বীপের মানুষ আবার সহনশীল হয়ে ওঠে। ২০১৮ সালের নির্বাচনে ভারতপন্থি হিসেবে পরিচিত ইব্রাহিম মোহাম্মদ সলিহ প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হন। এরপর থেকে আবার শুরু হয় ভারতবিরোধী প্রচারণা। ভারত মালদ্বীপকে অসামরিক কাজের জন্য দুটি হেলিকপ্টার ও একটি বিমান দেয়। এগুলো তদারকির জন্য ছিল ৭৫ জন ভারতীয় সামরিক দক্ষ অফিসার। মালদ্বীপে এর বিরুদ্ধে প্রচারণা তুঙ্গে ওঠে। ২০২৩ সালের নির্বাচনের আগে এ কথাও ছড়িয়ে পড়ে যে, ভারত সামরিক প্রভাব বিস্তার করতে চাইছে। মোহাম্মদ মুইজ্জু নির্বাচনে ‘ইনডিয়া আউট’ প্রচারণা করতে শুরু করেন। তিনি প্রেসিডেন্ট হয়েই ভারতকে সৈন্য প্রত্যাহার করতে বলেন। ভারত সেই অনুযায়ী আগামী ১৫ মার্চ সৈন্য প্রত্যাহারের ঘোষণা দিয়েছে। কিন্তু মালদ্বীপের মনে রাখা উচিত ছিল, চীনের কাছে কোনো ইজি ফুড নেই। তার প্রমাণ শ্রীলঙ্কার হাম্বানটোটা বন্দর, পাকিস্তানের ঘদর বন্দর অথবা কেনিয়া, জাম্বিয়া, লাওস ও মঙ্গোলিয়ার পরিণতি। এক নিবন্ধে তো বিস্তারিত বলা যায় না, কিন্তু একটি কথা না বললেই নয় যে, সম্পর্কের ক্ষেত্রে ঐতিহাসিক বন্ধন, সাংস্কৃতিক আদান-প্রদান এবং পারস্পরিক বোঝাপড়ার ওপর অধিক জোর দিতে হয়। সে ক্ষেত্রে ঝগড়াঝাটি থাকতে পারে, কিন্তু বিমাতাসুলভ আচরণ কোনো শুভফল বয়ে আনতে পারে না।

লেখক: সাংবাদিক ও সাহিত্যিক

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন
  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

সিলেটে ফের বিরতি ফিলিং স্টেশনে আগুন

এক হাজার সফল সার্জারি সম্পন্ন করেছে ল্যাবএইড ক্যান্সার হাসপাতাল

আলুর হিমাগারে মিলল লাখ লাখ ডিম

শিক্ষার্থীদের বাস নিয়ে প্রোগ্রামে তিতুমীর কলেজ ছাত্রলীগ

মৎস্য সম্পদ সংরক্ষণ এবং ব্যবস্থাপনা বিষয়ক প্রশিক্ষণ অনুষ্ঠিত

যুদ্ধ শেষে গাজায় যে পরিকল্পনা করছে যুক্তরাষ্ট্র

দেড় শতাধিক লোকসহ টুঙ্গিপাড়ায় যাচ্ছেন বীর মুক্তিযোদ্ধা মোহাম্মদ ইউনুছ

স্ত্রীর স্বীকৃতির দাবিতে নাদিমের বাড়ি ৪৩ বছরের নারীর অনশন

‘পিডাইয়া লম্বা করে দেন, বহু উপরের নির্দেশ’

পাকিস্তানের হাতে অত্যাধুনিক রকেট, আতঙ্কে শত্রুদেশগুলো

১০

আন্তর্জাতিক আবৃত্তি উৎসব ১৭ মে

১১

মহাসড়কে হঠাৎ গুলি, নারী আহত

১২

‘চট্টগ্রাম বন্দর একদিন পৃথিবীর অন্য দেশের কার্যক্রম পরিচালনা করবে’

১৩

শাবিতে মাহিদ মেমোরিয়াল ফুটবল টুর্নামেন্টের উদ্বোধন

১৪

‘বারবার নীতি পরিবর্তন করলে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের ওপর আস্থা কমে যাবে ব্যবসায়ীদের’

১৫

হাজিদের স্বাগত জানাচ্ছে নারীরা!

১৬

কক্সবাজারের রূপে সাজবে পতেঙ্গার সি-বিচ

১৭

সরকার পরিবর্তনে ঐক্যবদ্ধ আন্দোলনের বিকল্প নেই : মির্জা ফখরুল

১৮

ছাত্রলীগ নেতার বিরুদ্ধে গরু ছিনতাইয়ের মামলা

১৯

উচ্চশিক্ষার জন্য নরওয়েতে যাচ্ছেন চুয়েটের ৮ শিক্ষার্থী

২০
X