মহসীন হাবিব
প্রকাশ : ০৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ০৩:১৬ এএম
আপডেট : ০৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ০৮:৫৮ পিএম
প্রিন্ট সংস্করণ

মিয়ানমারের গৃহযুদ্ধ ‘উদোর পিণ্ডি বুধোর ঘাড়ে’

মিয়ানমারের গৃহযুদ্ধ ‘উদোর পিণ্ডি বুধোর ঘাড়ে’

বাংলাদেশের সীমান্ত প্রতিবেশী মিয়ানমারে যা ঘটছে তা পরিষ্কার গৃহযুদ্ধ। নতুন নয়, বহু পুরাতন যুদ্ধ। এ যুদ্ধ এতটাই জটিল যে, বর্ণনা করা এবং এর কূলকিনারা ঠাহর করা খুবই মুশকিল। ইতিহাসের কোনো সময়, কোনো দেশে এমন জটিল পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে বলে আমরা পুস্তকে পড়িনি। মহাভারতে বর্ণিত কুরুক্ষেত্রের যুদ্ধ ছিল জটিল। কিন্তু সে যুদ্ধের জটিলতা ছিল ভীষ্মদেব, দ্রোণাচার্য, কৃপাচার্যের মতো চরিত্রগুলোর পক্ষাবলম্বন এবং ঘটনার মারপ্যাঁচ নিয়ে। কিন্তু যুদ্ধের পক্ষ ছিল দুটিই—কৌরব আর পাণ্ডবরা। তিন বছরব্যাপী চলা স্পেনের গৃহযুদ্ধও এমন জটিল ছিল না। সেই গৃহযুদ্ধে অংশ নিয়েছিল সোশ্যালিস্ট, কমিউনিস্ট, এনার্কিস্ট, মনার্কিস্ট, সেপারেটিস্ট, ফালাঙ্গিস্ট, ট্র্যাডিশনালিস্ট ইত্যাদি বহুধা বিভক্ত মতাদর্শের গ্রুপগুলো। কিন্তু শেষ পর্যন্ত যুদ্ধের পক্ষ ছিল রিপাবলিকান ও ন্যাশনালিস্টরাই। আরব বসন্তের সময় থেকে চলতে থাকা সিরিয়ার গৃহযুদ্ধে অনেক পক্ষ একে অন্যের বিরুদ্ধে লড়ছে। ফ্রি সিরিয়ান আর্মি, কুর্দিশ রেবেল ফাইটার্স, ইসলামিক স্টেট, জাবাথ আল শাম, সিরিয়ান ডেমোক্রেটিক ফোর্স, হিজবুল্লাহ ইত্যাদি দল। এই যুদ্ধে নানাভাবে নানা মাত্রায় জড়িয়ে পড়েছে যুক্তরাষ্ট্র, তুরস্ক, রাশিয়া, ইসরায়েল, ইরানসহ আরও বেশ কয়েকটি দেশ। যখন যার প্রয়োজন পড়ে, সেই সিরিয়ায় গিয়ে প্রতিপক্ষের ওপর দুটি বোমা হামলা করে আসে। তারপরও তা মিয়ানমারের মতো জটিল নয়। পক্ষগুলো পরিষ্কার। মিয়ানমারে এতগুলো পক্ষ যে ‘কে কারে মারে ধুলায় অন্ধকার’। আর সেই ধুলার জটিল সমীকরণ সীমান্ত বেয়ে উড়ে আসছে বাংলাদেশের অভ্যন্তরে।

সর্বশেষ খবর আমরা সবাই জানি। মিয়ানমারের অভ্যন্তরে বাংলাদেশের সীমানা ঘেঁষে বিদ্রোহী আরাকান আর্মি (এএ) এবং মিয়ানমার সরকারি বাহিনীর মধ্যে বেশ কিছুদিন ধরে থেকে থেকে সংঘর্ষ চলছে। প্রায়ই সীমান্তের ওপর চলে আসছে মিয়ানমারের সরকারি বাহিনীর হেলিকপ্টার। দুপক্ষের গুলি এবং গোলা এসে আছড়ে পড়ছে বাংলাদেশে। সেই গুলিতে বাংলাদেশের সীমান্তবর্তী বেশ কয়েক বাসিন্দা এরই মধ্যে আহতও হয়েছেন। শনিবার তুমব্রু সীমান্তের কাছে আরাকান আর্মির সঙ্গে সংঘর্ষে পিছু হটে মিয়ানমার আধাসামরিক বাহিনী সীমান্ত পুলিশ বিজিপির ৯০ জন (সর্বশেষ খবর পর্যন্ত) সদস্য বাংলাদেশের অভ্যন্তরে প্রবেশ করে বাংলাদেশের বিজিবির কাছে আত্মসমর্পণ করে তাদের অস্ত্র জমা দিয়েছেন। তাদের মধ্যে বেশ কয়েকজন আহত অবস্থায়। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত তুমব্রু রাইট ক্যাম্প দখল করেছে আরাকান আর্মি। অন্যদিকে আরাকান আর্মি গোষ্ঠীরও শতাধিক যোদ্ধা বাংলাদেশের অভ্যন্তরে প্রবেশ করেছে, যারা মসজিদসহ বিভিন্ন স্থানীয় এলাকায় আশ্রয় নিয়েছে। তবে ভিডিওচিত্রে এক অদ্ভুত বিষয় দেখা গেছে। যে বিজিপি এবং মিয়ানমার সরকারের চাপে রোহিঙ্গারা বাংলাদেশে প্রবেশ করেছিল, সেই বিজিপির সদস্যদেরই স্থানীয় জনগণ সহায়তা করছে প্রাণ বাঁচাতে। তাদের অভ্যর্থনা জানিয়ে বিজিবির কাছে নিয়ে যাচ্ছে। এটিই হয়তো মানুষের মানবিক গুণাবলির অংশ।

এদিকে রাখাইন-আরাকান রাজ্যের উত্তরে বাংলাদেশ সীমান্তে প্রায় সাড়ে চার লাখ রোহিঙ্গা বসবাস করছে। একেবারে সীমান্ত ঘেঁষে। তাদের অনেকের আত্মীয়স্বজন এখন বাংলাদেশের ক্যাম্পগুলোতে। হয় এই সাড়ে চার লাখ ঢুকে পড়তে চাচ্ছে, অথবা মিয়ানমার বাহিনীরও একটি পরিকল্পনা আছে তাদের বাংলাদেশে ঠেলে দেওয়ার। অনেকেই মনে করছেন, ঘটনা আরও জটিল আকার ধারণ করবে, এতে কোনো সন্দেহ নেই। আরাকান আর্মি সরকারি বাহিনীর সঙ্গে হয়তো পেরে উঠবে না। কারণ সরকারি বাহিনী শেষ পর্যন্ত ভারী অস্ত্রশস্ত্র ব্যবহার করবে। ভারী গোলাবর্ষণ করবে। সে ক্ষেত্রে বাংলাদেশের জন্য আরও জটিল পরিস্থিতি মোকাবিলা করতে হতে পারে।

মিয়ানমারের অভ্যন্তরীণ সংঘাতে বাংলাদেশের কোনো পক্ষ নেই, সত্য। কিন্তু বিবদমান পক্ষগুলোর মাঝখানে ফেঁসে যাচ্ছে বাংলাদেশ। বাংলাদেশ ইচ্ছা করলে রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দিতেও পারে, নাও দিতে পারে। এটি নির্ভর করে মানবতা ও মানবাধিকার প্রশ্নের ওপর। কিন্তু মিয়ানমার থেকে সামরিক ও আধাসামরিক বাহিনীর সদস্যরা প্রবেশ করে অস্ত্র সমর্পণ করলে তাদের জেনেভা কনভেনশন অনুযায়ী বিবেচনা করতে হবে। তাদের নিরাপত্তা এবং চিকিৎসাও এর আওতাধীন। তাদের সঙ্গে গোলাগুলি করার সুযোগ নেই। অন্যদিকে আরাকান আর্মির সঙ্গে লড়াই করতে করতে মিয়ানমার বাহিনী চলে আসতে পারে বাংলাদেশ সীমান্তে। সে ক্ষেত্রে বাংলাদেশের সীমান্ত প্রহরীরা প্রতিহত করতে পারে। এতে বড় ধরনের সংঘাতের একটি ভয় রয়ে গেছে।

যাহোক, জটিলতা কতটা তার সামান্য উল্লেখ করা যেতে পারে। মিয়ানমারে দুটি গ্রুপ মাবাথা এবং ৯৬৯ আন্দোলন নামে পরিচিত। মুসলমানরা যেমন ৭৮৬কে পবিত্র সংখ্যা মনে করে, বৌদ্ধরাও ৯৬৯-কে অর্থপূর্ণ মনে করে। এই ৯৬৯ মুভমেন্ট জান্তা সরকারের পক্ষেই কাজ করে। তারা মুসলমানদের মিয়ানমার থেকে বিতাড়ন করতে চায়। কেউ যাতে মুসলমানদের সঙ্গে ব্যবসা না করে, মুসলমানের দোকান থেকে কিছু না কেনে সেই প্রচার করে থাকে। এরা রোহিঙ্গা বিতারিত করার সময় বড় ভূমিকা পালন করেছিল।

বহু জাতি-গোষ্ঠীর দেশ মিয়ানমারের সমস্যা নতুন নয়। কিন্তু তা উত্তরোত্তর জটিল আকার ধারণ করেছে। ব্রিটিশ শাসন থেকে ১৯৪৮ সালে স্বাধীন হওয়ার পর সব জাতি-সম্প্রদায় নিয়ে চলছিল। কিন্তু ১৯৬২ সালের সেনাবাহিনীর অভ্যুত্থানের পর থেকে মিয়ানমার উত্তপ্ত হয়ে ওঠে এবং জাতিগত সংঘাত তীব্র হতে থাকে। সর্বশেষ ২০১৬ সালে ন্যাশনাল লিগ ফর ডেমোক্রেসি নির্বাচনের মাধ্যমে ক্ষমতায় আসে। এই দলের স্টেট কাউন্সিলর এবং নোবেল বিজয়ী অং সান সু চি ডিফ্যাক্টো লিডার হিসেবে দেশ চালাতে থাকেন। তিনি বিশ্বব্যাপী একদা জনপ্রিয় ছিলেন। কিন্তু ২০১৭ সালে যখন মিয়ানমার সেনাবাহিনী রোহিঙ্গাদের ওপর দমনপীড়ন চালায়, তখন তিনি তা নিয়ে খুব একটা মনোযোগ দেননি। এ সময় সু চি বিশ্বব্যাপী জনপ্রিয়তা হারান। ২০২১ সালে আবার সামরিক অভ্যুত্থান হয় এবং তিনি গ্রেপ্তার হন। এই সময় থেকে বিদ্রোহী সংগঠনগুলো অধিক শক্তিশালী হতে শুরু করে। এর মধ্যে বর্তমান চরম সংঘাত চলছে থ্রি ব্রাদার্স অ্যালায়েন্সের সঙ্গে। এ জোট গঠিত হয় ২০১৯ সালে। এই জোটে আছে আরাকান আর্মি, মিয়ানমার ন্যাশনাল ডেমোক্রেটিক অ্যালায়েন্স আর্মি এবং তাং ন্যাশনাল লিবারেশন আর্মি। তারা গত বছর ২৭ অক্টোবর থেকে ‘অপারেশন ১০২৭’ নামে যে অপারেশন শুরু করেছে, যা দিনে দিনে তীব্র হয়ে উঠেছে। এ ছাড়া মিয়ানমারের সাতটি রাজ্যে এবং সাতটি অঞ্চলে ২১টি প্রশাসনিক ডিভিশন রয়েছে। এর প্রতিটিতে একাধিক সশস্ত্র বাহিনী সক্রিয়।

মিয়ানমার বহুকাল ধরেই চীনের ছোট ভাই হিসেবে পরিচিত ছিল। কিন্তু চীন এখন আর এককভাবে মিয়ানমারের জান্তা সরকারকে সমর্থন করে না। স্ট্র্যাটেজি পাল্টেছে। ওদিকে মিয়ানমারের সেনাবাহিনীর মধ্যেও প্রো-চায়নিজ ও অ্যান্টি চায়নিজ দুই ধরনের মনোভাব। অভিযোগ আছে, চীন মিয়ানমারের একাধিক গেরিলা বাহিনীকে অস্ত্র ও মদদ দিয়ে সাহায্য করে। বিশেষ করে শান প্রদেশের সশস্ত্র যোদ্ধাদের। তারপরও আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে চীন মিয়ানমার সরকারকেই সমর্থন দিয়ে যাচ্ছে। চীনের বেল্ট অ্যান্ড রোড ইনিশিয়েটিভের জন্য মিয়ানমার একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূখণ্ড। ওদিকে ভারতের সঙ্গে রয়েছে মিয়ানমারের অম্লমধুর সম্পর্ক। মিয়ানমারে রয়েছে ভারতের বাণিজ্য। ভারতের মিজোরামের সঙ্গে মিয়ানমারের চিন নামক প্রদেশের জনগণের জাতিগত সম্পর্ক। ২০ হাজারের বেশি চিন শরণার্থী মিজোরামে বসবাস করছে। ভারতের সঙ্গে রয়েছে মিয়ানমারের ১৬০০ কিলোমিটার সীমান্ত। সুতরাং ভারতও কিন্তু চোখ বুজে নেই।

মিয়ানমারে কারেন গেরিলারাই সবচেয়ে পুরোনো গোষ্ঠী। কমিউনিজমের বিরুদ্ধে লড়াই করতে এ কারেনদের মদদ দিয়ে এসেছে যুক্তরাষ্ট্র ও থাইল্যান্ড। পাঁচ লক্ষাধিক কারেন থাইল্যান্ডে বসবাস করে এবং দেড় লক্ষাধিক যুক্তরাষ্ট্রে। দেখা গেছে, থাইল্যান্ডে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের জন্য যে আন্দোলন শুরু হয়েছিল, সেই আন্দোলনের পর থেকে মিয়ানমারের সরকারকে তীব্র প্রতিরোধের মুখে পড়তে হচ্ছে।

এখন বাংলাদেশ কী করবে? অপারেশন ১০২৭ শুরু হওয়ার পর থেকেই বাংলাদেশের সীমান্ত অঞ্চল উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে। একদিকে মানবিক প্রশ্ন, আরেকদিকে দেশের নিরাপত্তা ও সার্বভৌমত্ব দুই-ই রক্ষার প্রয়োজন বাংলাদেশের। কিন্তু কোনো পক্ষ এ যুদ্ধ বাংলাদেশের অভ্যন্তরে ঠেলে দিতে চাচ্ছে না তো? এ কথাটাও কিন্তু মাথায় রাখতে হবে বাংলাদেশকে। যদিও এ পর্যন্ত বাংলাদেশ অত্যন্ত স্থির মাথায় ম্যানেজ করেছে। বাংলাদেশের আকাশসীমা লঙ্ঘনের ঘটনাকেও স্থির মাথায় মোকাবিলা করেছে এবং মিয়ানমার সরকার এ পর্যন্ত ১৩ লাখ রোহিঙ্গা বাংলাদেশে পুশ করেছে। আবার বর্তমান মিয়ানমার সরকারের সঙ্গে যুদ্ধরত আরাকান আর্মিও কিন্তু বাংলাদেশের সঙ্গে ২০১৫ সালে লড়াইয়ে জড়িয়ে পড়েছিল। সুতরাং ‘আমাদের কোনো পক্ষ নেই’—এ মতে বাংলাদেশের আধাসামরিক বাহিনী বিজিবি, পুলিশ বা সেনাবাহিনীকে স্থির থাকতে হবে যতক্ষণ সম্ভব। বাংলাদেশ কোনোভাবে জড়িয়ে পড়লেই আন্তর্জাতিক বড় খেলোয়াড়রা এর সুযোগ নেবে, এতে কোনো সন্দেহ নেই।

তবে যত কথাই বলি, মিয়ানমারের এ যুদ্ধ আগামী কয়েক দিন বাংলাদেশের জন্য একটি চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়াবে। যদি আরাকান আর্মি হেরে যায়, তাহলে অবশ্যই তারা প্রাণ বাঁচাতে বাংলাদেশে ঢুকে পড়বে, যা মিয়ানমার বাহিনীকে উদ্বুদ্ধ করবে বাংলাদেশ সীমান্তে সংঘর্ষ নিয়ে আসতে।

লেখক: সাংবাদিক ও কথাসাহিত্যিক

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন
  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

অ্যাস্ট্রাজেনেকার করোনা টিকায় আরেক ভয়াবহ পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া শনাক্ত

গাজীপুরে যাত্রীবাহী ট্রেনে আগুন

নাশকতার ১৪ মামলায় স্থায়ী জামিন পেলেন আবদুস সালাম

প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে আসিম জাওয়াদের পরিবারের সাক্ষাৎ 

চট্টগ্রামে আ.লীগ নেতা আটক

৫০ বছর ধরে রোজা রাখা সেই হতদরিদ্র বৃদ্ধ যাচ্ছেন হজে

নিউ কালিডোনিয়াজুড়ে বিক্ষোভ, জরুরি অবস্থা জারি

প্রধানমন্ত্রীর স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস উপলক্ষে ঢাবিতে ছাত্রলীগের শোভাযাত্রা

মেয়র তাপসের ডেঙ্গু নিয়ে মন্তব্যের জবাব দিলেন সাঈদ খোকন

রিজার্ভের হিসাব জনসম্মুখে প্রকাশ করুন : রাশেদ প্রধান

১০

তীব্র গরমে তিনজনের মৃত্যু

১১

মাদকসেবনে বাধা দেওয়ায় পেটালেন ছাত্রলীগ নেতারা

১২

‘শেখ হাসিনার স্বদেশ প্রত্যাবর্তন ছিল একটা জাগরণ’

১৩

সেরা ক্লিনিক্যাল রিসার্চ টিমের স্বীকৃতি পেল হার্ট ফাউন্ডেশন

১৪

নতুন কর্মসূচি ঘোষণা বিএনপির

১৫

ফ্যানের সঙ্গে লুঙ্গী পেঁচিয়ে কৃষকের মৃত্যু

১৬

ইট মারলে পাটকেল খাওয়ার জন্য প্রস্তুত থাকবেন, বিএনপিকে নানক

১৭

‘শরীফ থেকে শরীফার’ গল্প বাদ দিতে সুপারিশ

১৮

‘নামাজের বিরতিতে সিল মেরে ব্যালট ঢুকানো হতো বক্সে’

১৯

‘চামড়াশিল্পকে বাঁচাতে পরিবেশবান্ধব বিনিয়োগ বাড়াতে হবে’

২০
X