কালবেলা প্রতিবেদক
প্রকাশ : ২৮ মে ২০২৪, ০২:৪০ এএম
আপডেট : ২৮ মে ২০২৪, ০৭:৪৮ এএম
প্রিন্ট সংস্করণ
সেই দিনটি

শিল্পাচার্য জয়নুল আবেদিন

মৃত্যুবার্ষিকী
শিল্পাচার্য জয়নুল আবেদিন

জয়নুল আবেদিন আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন অসাধারণ প্রতিভাবান শিল্পী। ইনস্টিটিউট অব আর্টস অ্যান্ড ক্র্যাফটস প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে বাংলাদেশে আধুনিক শিল্প আন্দোলনের তিনিই পুরোধা। ১৯৪৮ সালে ঢাকায় প্রতিষ্ঠিত এ প্রতিষ্ঠানের (বর্তমান চারুকলা ইনস্টিটিউট) তিনি ছিলেন প্রতিষ্ঠাতা অধ্যক্ষ। তার নেতৃত্বের গুণে অন্য শিল্পীদের সংগঠিত করার জন্য সুপরিচিত ছিলেন। অসাধারণ শিল্প-মানসিকতা ও কল্পনাশক্তির জন্য তিনি শিল্পাচার্য উপাধিতে ভূষিত হন। শিল্পের মুখ্য শর্ত হচ্ছে সারল্য। শিল্প হবে চিন্তার অকপট প্রকাশ। এমন ভাবনায় ক্যানভাস রাঙিয়েছিলেন শিল্পাচার্য জয়নুল আবেদিন। সর্বসাধারণের কাছে পৌঁছে দিয়েছিলেন শিল্পের আবেদন। তারই শ্রমসাধ্য প্রচেষ্টায় যাত্রা শুরু করে এ দেশের চারুকলা। আপন মনন ও সৃজনশীলতার স্বতন্ত্র বৈশিষ্ট্যে বিকশিত করেছেন বাংলার চিত্রকলার ভুবনকে। অনন্য সব শিল্প সৃষ্টি করে বিশ্বসভায় তুলে ধরেছেন বাংলাদেশের শিল্প ও সংস্কৃতিকে। আলোকবর্তিকা হয়ে শিল্পের পথ দেখিয়েছেন প্রকৃতি ও মানুষের ছবি আঁকা এ চিত্রকর।

জয়নুল আবেদিন ১৯১৪ সালে ময়মনসিংহে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি বেড়ে উঠেছেন ব্রহ্মপুত্রের লালিত্যে গড়ে ওঠা সবুজ শ্যামলিমায়। ১৯৪৭ সালে উপমহাদেশের বিভক্তির পর জয়নুল আবেদিন ঢাকায় বসবাস শুরু করেন। সে সময় ঢাকায় কোনো আর্ট ইনস্টিটিউট বা অন্য কোনো শিল্প সম্বন্ধীয় প্রতিষ্ঠান ছিল না। জয়নুল আবেদিন ও তার কয়েকজন সহযোগী, যারা দেশ ভাগের পর ঢাকায় অভিবাসী হয়েছিলেন, আর্ট ইনস্টিটিউট প্রতিষ্ঠা করেন। ১৯৫১ সালে তিনি লন্ডনের স্লেড স্কুল অব আর্টে দুই বছরের প্রশিক্ষণ গ্রহণ করেন। লন্ডন থেকে প্রত্যাবর্তনের পর জয়নুলের চিত্রে নতুন একটি ধারা দেখতে পাওয়া যায়, যাকে বলা যায় ‘বাঙালি ধারা’। ১৯৭৫ সালে জয়নুল আবেদিন সোনারগাঁয়ে একটি লোকশিল্প জাদুঘর এবং ময়মনসিংহে একটি গ্যালারি (শিল্পাচার্য জয়নুল আবেদিন সংগ্রহশালা) প্রতিষ্ঠা করেন। এ দুটি প্রতিষ্ঠানে তার অঙ্কিত কিছু চিত্রকর্ম সংরক্ষিত আছে। তিনি আশঙ্কা করেছিলেন যে, পাশ্চাত্য টেকনিক ও রীতির প্রভাব (যা এখানকার কিছু চিত্রশিল্পীকে অনুপ্রাণিত করেছিল) দেশীয় রীতিকে ধ্বংস করবে। দেশের ঐতিহ্য ও সংস্কৃতিকে পুনরুজ্জীবিত করার আন্দোলনে তিনি নিজেকে স্বয়ংক্রিয়ভাবে জড়িত করেন। কিন্তু ফুসফুসে ক্যান্সারের কারণে তিনি তার কাজ সম্পন্ন করতে পারেননি। তার স্বাস্থ্য দ্রুত ভেঙে পড়তে শুরু করে। ১৯৭৬ সালের ২৮ মে ঢাকায় এ গুণী শিল্পী মারা যান।

গতকাল ‘সেই দিনটি’র অংশে ভারতের সাবেক প্রধানমন্ত্রী জওহরলাল নেহরুর বাবা মতিলাল নেহরু সম্পর্কে একটি ভুল তথ্য ছাপা হয়। অনাকাঙ্ক্ষিত এ ভুলের জন্য আন্তরিকভাবে দুঃখিত।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন
  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

ইউক্রেন নিয়ে তুরস্কের নতুন পরিকল্পনা

ইন্টারনেট ছাড়াই খুব সহজে গুগল ম্যাপ ব্যবহার করবেন যেভাবে

অর্থোপেডিক সোসাইটির আন্তর্জাতিক সম্মেলন রোববার

অভিনব উপায়ে মাদক নিয়ে যাচ্ছিলেন ননদ-ভাবি

থানার অদূরে ছিনতাইকারীর ছুরিকাঘাতে চা বিক্রেতা খুন

সংগীতশিল্পী জেনস সুমন মারা গেছেন

খালেদা জিয়ার সুস্থতা কামনায় ভেদরগঞ্জে বিশেষ দোয়া মাহফিল

যুবদলের তিন নেতাকে শোকজ

বিপিএলে রাজশাহীর কোচ হলেন হান্নান সরকার

শনিবার যেসব এলাকায় গ্যাস সরবরাহ ৮ ঘণ্টা বন্ধ থাকবে 

১০

সপ্তাহের সেরা চাকরির বিজ্ঞপ্তি, পদ সংখ্যা ১৬৮২

১১

মাটি খননের সময় বেরিয়ে এলো মর্টার শেল

১২

এশিয়ান কাপ বাছাইয়ে বাংলাদেশের টানা চতুর্থ জয়

১৩

জাতিসংঘের পরবর্তী মহাসচিব নির্বাচনে প্রার্থী যারা

১৪

জামায়াত নেতাকে বহিষ্কার

১৫

ঢাবিতে ‘বিশ্ব গণতন্ত্র সম্মেলন’ শুরু হচ্ছে ২৯ ডিসেম্বর

১৬

বাবা-মায়ের কবর জিয়ারতের মাধ্যমে মিন্টুর দ্বিতীয় দিনের গণসংযোগ শুরু

১৭

কারাগারে থুথু ফেলা নিয়ে দুই হাজতির মারামারি, অতঃপর...

১৮

শায়খ মোখলেসুর রহমান কিয়ামপুরীর বুখারি পাঠদানের ৫৪ বছর পূর্তি উদযাপন

১৯

এবার সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন হবে ইনশাল্লাহ : জুয়েল

২০
X