শনিবার, ২০ ডিসেম্বর ২০২৫, ৫ পৌষ ১৪৩২
কালবেলা প্রতিবেদক
প্রকাশ : ২৮ মে ২০২৪, ০২:৪০ এএম
আপডেট : ২৮ মে ২০২৪, ০৭:৪৮ এএম
প্রিন্ট সংস্করণ
সেই দিনটি

শিল্পাচার্য জয়নুল আবেদিন

মৃত্যুবার্ষিকী
শিল্পাচার্য জয়নুল আবেদিন

জয়নুল আবেদিন আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন অসাধারণ প্রতিভাবান শিল্পী। ইনস্টিটিউট অব আর্টস অ্যান্ড ক্র্যাফটস প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে বাংলাদেশে আধুনিক শিল্প আন্দোলনের তিনিই পুরোধা। ১৯৪৮ সালে ঢাকায় প্রতিষ্ঠিত এ প্রতিষ্ঠানের (বর্তমান চারুকলা ইনস্টিটিউট) তিনি ছিলেন প্রতিষ্ঠাতা অধ্যক্ষ। তার নেতৃত্বের গুণে অন্য শিল্পীদের সংগঠিত করার জন্য সুপরিচিত ছিলেন। অসাধারণ শিল্প-মানসিকতা ও কল্পনাশক্তির জন্য তিনি শিল্পাচার্য উপাধিতে ভূষিত হন। শিল্পের মুখ্য শর্ত হচ্ছে সারল্য। শিল্প হবে চিন্তার অকপট প্রকাশ। এমন ভাবনায় ক্যানভাস রাঙিয়েছিলেন শিল্পাচার্য জয়নুল আবেদিন। সর্বসাধারণের কাছে পৌঁছে দিয়েছিলেন শিল্পের আবেদন। তারই শ্রমসাধ্য প্রচেষ্টায় যাত্রা শুরু করে এ দেশের চারুকলা। আপন মনন ও সৃজনশীলতার স্বতন্ত্র বৈশিষ্ট্যে বিকশিত করেছেন বাংলার চিত্রকলার ভুবনকে। অনন্য সব শিল্প সৃষ্টি করে বিশ্বসভায় তুলে ধরেছেন বাংলাদেশের শিল্প ও সংস্কৃতিকে। আলোকবর্তিকা হয়ে শিল্পের পথ দেখিয়েছেন প্রকৃতি ও মানুষের ছবি আঁকা এ চিত্রকর।

জয়নুল আবেদিন ১৯১৪ সালে ময়মনসিংহে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি বেড়ে উঠেছেন ব্রহ্মপুত্রের লালিত্যে গড়ে ওঠা সবুজ শ্যামলিমায়। ১৯৪৭ সালে উপমহাদেশের বিভক্তির পর জয়নুল আবেদিন ঢাকায় বসবাস শুরু করেন। সে সময় ঢাকায় কোনো আর্ট ইনস্টিটিউট বা অন্য কোনো শিল্প সম্বন্ধীয় প্রতিষ্ঠান ছিল না। জয়নুল আবেদিন ও তার কয়েকজন সহযোগী, যারা দেশ ভাগের পর ঢাকায় অভিবাসী হয়েছিলেন, আর্ট ইনস্টিটিউট প্রতিষ্ঠা করেন। ১৯৫১ সালে তিনি লন্ডনের স্লেড স্কুল অব আর্টে দুই বছরের প্রশিক্ষণ গ্রহণ করেন। লন্ডন থেকে প্রত্যাবর্তনের পর জয়নুলের চিত্রে নতুন একটি ধারা দেখতে পাওয়া যায়, যাকে বলা যায় ‘বাঙালি ধারা’। ১৯৭৫ সালে জয়নুল আবেদিন সোনারগাঁয়ে একটি লোকশিল্প জাদুঘর এবং ময়মনসিংহে একটি গ্যালারি (শিল্পাচার্য জয়নুল আবেদিন সংগ্রহশালা) প্রতিষ্ঠা করেন। এ দুটি প্রতিষ্ঠানে তার অঙ্কিত কিছু চিত্রকর্ম সংরক্ষিত আছে। তিনি আশঙ্কা করেছিলেন যে, পাশ্চাত্য টেকনিক ও রীতির প্রভাব (যা এখানকার কিছু চিত্রশিল্পীকে অনুপ্রাণিত করেছিল) দেশীয় রীতিকে ধ্বংস করবে। দেশের ঐতিহ্য ও সংস্কৃতিকে পুনরুজ্জীবিত করার আন্দোলনে তিনি নিজেকে স্বয়ংক্রিয়ভাবে জড়িত করেন। কিন্তু ফুসফুসে ক্যান্সারের কারণে তিনি তার কাজ সম্পন্ন করতে পারেননি। তার স্বাস্থ্য দ্রুত ভেঙে পড়তে শুরু করে। ১৯৭৬ সালের ২৮ মে ঢাকায় এ গুণী শিল্পী মারা যান।

গতকাল ‘সেই দিনটি’র অংশে ভারতের সাবেক প্রধানমন্ত্রী জওহরলাল নেহরুর বাবা মতিলাল নেহরু সম্পর্কে একটি ভুল তথ্য ছাপা হয়। অনাকাঙ্ক্ষিত এ ভুলের জন্য আন্তরিকভাবে দুঃখিত।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন
  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে হস্তক্ষেপ করবে না ভারত

হাদিকে নিয়ে আপত্তিকর মন্তব্যের অভিযোগে চিকিৎসককে অব্যাহতি

আবারও এশিয়া কাপের ফাইনালে মুখোমুখি ভারত-পাকিস্তান

ভারত ম্যাচে জয়ের পর যে কারণে শাস্তির মুখে পড়ল বাফুফে

প্রথম আলো-ডেইলি স্টারে অগ্নিসংযোগ, বিএনপির প্রতিক্রিয়া

জানুয়ারির দ্বিতীয় সপ্তাহে আসছেন নতুন মার্কিন রাষ্ট্রদূত

কৃষকের ৩০ শতাংশ আলুগাছ উপড়ে ফেলল দুর্বৃত্তরা

জমি নিয়ে বিরোধে একজন গুলিবিদ্ধ

হাসিনাকে আশ্রয় মানবিক দৃষ্টিভঙ্গি থেকে, জানাল ভারত

শিশুর কাঁন্নায় বেঁচে গেল মায়ের জীবন

১০

হাদি হত্যায় সরকারকে দুষলেন রুমিন ফারহানা

১১

৪২২ চোরাই মোবাইল উদ্ধার, গ্রেপ্তার ৪

১২

নির্বাচন জনগণের অধিকার প্রতিষ্ঠার প্রধান মাধ্যম : শেখ রবিউল আলম

১৩

খালেদা জিয়ার সুস্থতা ও ওসমান হাদির রুহের মাগফিরাত কামনায় মিন্টুর দোয়া মাহফিল

১৪

ঐক্য পরিষদ / ময়মনসিংহে যুবককে পিটিয়ে হত্যার প্রতিবাদ, জড়িতদের শাস্তি দাবি

১৫

ওসমান হাদির জানাজা শনিবার, যানচলাচল নিয়ে যে নির্দেশনা দিল ডিএমপি

১৬

সংবাদপত্রের অফিসে হামলায় জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশের নিন্দা

১৭

খুবিতে সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণভাবে শেষ হলো দুদিনব্যাপী ভর্তি পরীক্ষা

১৮

হেলথ রিপোর্টার্স ফোরামের সভাপতি প্রতীক ইজাজ, সম্পাদক মুজাহিদ শুভ

১৯

আমরা আমাদের প্রিয় নেত্রীকে হারাতে চাই না : মান্নান

২০
X