মণীশ রায়
প্রকাশ : ১৮ আগস্ট ২০২৩, ০২:৩৮ এএম
আপডেট : ১৯ আগস্ট ২০২৩, ০১:৩১ পিএম
প্রিন্ট সংস্করণ

আমি-তুমি

আমি-তুমি

আঙুলের করে আটকে থাকা কদিন মাত্র সময়।

হয়তো এর ভেতর সংযুক্তা আমাদের কাছ থেকে বিদায় নেবে।

ভাববেন না এ বিদায় শ্বশুরবাড়ি থেকে বাপের বাড়ির আঙিনায় কদম রাখার মতো সাধারণ কোনো এক ঘটনা। এর নাম মৃত্যু। এর মানে জীবন নামের অপূর্ব এক আশীর্বাদের সহসা দেহ ছেড়ে চিরদিনের জন্য উধাও হয়ে যাওয়া। সেরকম পরিস্থিতির এক অন্তিমপর্বে দাঁড়ানো আমার স্ত্রী সংযুক্তা।

এ নতুন কোনো কথা নয়। বছরখানেক ধরে এ কথা আমার আত্মীয়-পরিজন সবাই জানেন। এমনকি, নটিংহামে থাকা আমাদের একমাত্র পুত্র আর তার পরিবারটি পর্যন্ত আগাম টিকিট কেটে তৈরি হয়ে রয়েছে। খবর পেলেই ছুটে আসবে বাংলাদেশে, সেভাবে দিন গুনছে। মায়ের মুখাগ্নিটা তো ওকেই করতে হবে!

আমি সংযুক্তার স্বামী; চাকরি থেকে অবসর নিয়েছি গত বছর। অঢেল সময় এখন হাতে। বাঁধা নার্সের মতো আমিও বসে থাকি মৃত্যুলগ্ন স্ত্রীর শয্যার পাশে।

ইদানীং মুখ বেঁকে গেছে ওর। গলার স্বর অস্পষ্ট। ক্যান্সারের শেষ পর্যায় চলছে এখন। ডাক্তার বলেছেন, শেষ কটা দিন বাসায় নিয়ে রাখুন। হাসপাতালের টানাহেঁচড়া বাদ দেন। তাই সংযুক্তা এক নার্সের তত্ত্বাবধানে তিন রুমের ভাড়া ফ্ল্যাটের একটা দখল করে পড়ে রয়েছে।

যত সময় ঘনাচ্ছে তত অস্থির-চঞ্চল হয়ে উঠছে চিরচেনা গুরুগম্ভীর সংযুক্তা, তত অনর্গল কথা বলতে চাইছে মিতবাক মানুষটি।

এককালে যাকে নিরন্তর খুঁচিয়েও দু-চারটা কথা বলা যেত না, সে এখন গড়গড় করে শুধু কথাই বলতে চাইছে। কিছু বোঝা যায় না। নার্স সরলা ব্যতিব্যস্ত এ নিয়ে। কিন্তু আমি ওর কথা বেশিরভাগ বুঝতে পারি। দীর্ঘদিনের অভ্যেস তো। আমিই সব কথার বঙ্গানুবাদ করে নার্সকে জানাই। সেই মোতাবেক কাজ হয়।

সরলাকে ইশারা করে বিরক্ত সংযুক্তা ওর কঙ্কালসার নাকমুখ কুঁচকে বলে ওঠে, ‘এই অকম্মাডারে কইত্তে আনছো? আমার একটা কতাও বুঝতে পারে না। ট্যাকা কি তোমার গাছে ধরে? কত কইরা দ্যাও?’

‘পনেরো হাজার।’

‘অ। আমারে তো কুনোদিন একটা ট্যাকাও হাতখরচ দ্যাও নাই? অহন কেমন লাগে?’ বলে হাসার চেষ্টা করে সে। এ সময় ওর কোটরাগত নিস্তেজ চোখ দুটি আগের মতো জ্বলে উঠতে চেয়েও আর পারে না। আমি চোখ ফিরিয়ে নিই। কুৎসিত অঙ্গভঙ্গির মতো মনে হয় ওর অভিব্যক্তিগুলো।

আজ বলল এক ভিন্ন কথা, ‘আইচ্ছা তুমি যে প্রত্যেকদিন অফিসে যাওনের আগে কইতা, একটা কথা আছে যুক্তা, কমু, সেইটা তো কোনো দিন কও নাই? আমিও দুষ্টামি মনে কইরা জিগাই নাই অফিস থেইকা ফিরনের পর। কী কথা কইতে চাইছো আমারে?’

আমি চমকে উঠলাম। অপ্রাসঙ্গিক অকিঞ্চিৎকর এসব কথা আজকাল ওর কেন অত মনে পড়ছে ভেবে আমি রীতিমতো বিস্মিত। বললাম, ‘আরে দূর। ওগুলান কিছু না। মানুষ এমনি এমনি কত কতা কয়। ওইটাও তাই।’ হাসতে হাসতে এড়াতে চাইলাম।

কিন্তু সংযুক্তা সিরিয়াস। সে বলল, ‘ওরকম কতা তো তুমি তোমার ঘনিষ্ঠ বন্ধুবান্ধব আত্মীয়-পরিজন সবাইরে বলতা। কিন্তু কী কতা তা আর শেষ পর্যন্ত কইতা না। কী কতা গো?’

‘আরে দূর। মানুষের কত মুদ্রাদোষ থাকে, ওইটা তাই। বুঝলা?’ হালকা সুর আমার কথায়।

কিন্তু সংযুক্তা নাছোড়বান্দা। বলে, ‘মনে অয় না। তুমি কয়েক মাস আগে শিউলির বাসায় নিমন্তন্ন খেয়ে ফেরার সময়ও তো কইলা, তোরে একটা কতা কমু। শিউলি জানতে চাইল, কী কতা দাদাবাবু? তুমি উত্তর দিলা, কমু, তোরে অবশ্যই কমু। আমি তো পাশেই দাঁড়ানো ছিলাম। ভাবলাম বাইচলামি করতাছ শালীর লগে। কিন্তুক অহন মনে অইতাছে কিছু একটা কইতে চাইতা তুমি। কী কতা কও না গো?’

আমি ফের উত্তর দিলাম, ‘দূর পাগলি। ওগুলা কিছু না। কথার দোষ। আজাইরা চিন্তা বাদ দিয়া একটু ঘুমাও তো অহন?’ বলে নিজের ঘরে ফিরে এলাম।

বেডরুমের দেয়ালে ঝুলানো রয়েছে আমাদের বেশ কটি সুখী-তৃপ্ত ফ্রেম-বাঁধা স্থিরছবি। বিয়ের পরপর তোলা, তখনকার উচ্ছল-উদ্ভিন্ন যৌবনের ছবি সংযুক্তার। চোখ গেলেই হারিয়ে যেতে মন চায়। আরেকটা ছবি বাবাইকে নিয়ে। বাবাই মানে আমার প্রবাসী প্রকৌশলী পুত্র। সে ছবিতেও তৃপ্তি ঝরছে ওর চোখ থেকে।

‘কও না? কী কতা তুমি বলবে বলে সবাইকে এমন ঝুলিয়ে রাখতে? বলো না?’ ফিসফিস করে প্রতিদিন সংযুক্তা জানতে চায় আমার কাছে। যে মানুষটা কদিন বাদে ফ্রেমে বাঁধা ছবি হয়ে যাবে, তাকে আমি কী উত্তর দেব? আর এখন ছেলেমানুষের মতো স্বভাব হয়েছে ওর। কোনো কিছু মাথায় একবার ঢুকলে আর রক্ষা নেই। যতক্ষণ না উত্তর মিলছে, ততক্ষণ ক্রমাগত ঘ্যান ঘ্যান করে যাবে।

‘কী কতা? বলো না?’ ফের আঁচড় কাটে সংযুক্তা।

সহসা আমার কী যে মনে হলো, দেয়ালের হাসিখুশি সংযুক্তার ছবির দিকে মুখ করে বলে উঠলাম, ‘বলব। অবশ্যই তোমাকে বলব। তোমাকে না বলে কাকে বলব? অবশ্যই বলব।’

ফিসফিস করে নয়, বড় গলাতেই বলব। এ পর্যন্ত কাউকে যে কথাটা বলিনি, ঠিক সেটা। কিন্তু কী কথা?

ভাববেন না এটি রবীন্দ্রনাথের বর্ষার সেরা গান এমন দিনে তারে বলা যায়। সেরকম তীব্র ভাববিলাসী মন আমি কোথায় পাব?

এ হলো আমার মতো ছা-পোষা নিরীহ গোবেচারা এক মানুষের বয়ান। যে ঢাকায় ত্রিশ বছর ধরে বসবাস করছে। যার চোখের সামনে তরতর করে বড় বড় অট্টালিকা জাদুমন্ত্রের মতো দাঁড়িয়ে গেল। অথচ তার ভাগ্য ইটচাপা ঘাসের মতো; যেখানে ছিল সেখানেই পড়ে রয়েছে। পাবলিক লাইব্রেরির একটা ছোটখাটো চাকরি আর অবসর গ্রহণের সময় পাওয়া কিছু থোক টাকা। এই তার সম্বল।

এজন্য আমার কোনো আফসোস নেই। আমি ব্যাংকের এমডি হতে পারতাম। বিসিএস দিয়ে বড় সরকারি কর্মকর্তার পদ অলংকৃত করতে পারতাম। কিছু না হলেও সময়মতো সুযোগ কাজে লাগিয়ে আড়াই কাঠার একখণ্ড জমি এ শহরে কিনে নিতে পারতাম। দুই লাখ টাকার জমি দুই কোটিতে বিক্রি হতো একসময়। কত সোনা মিঞা, তারা মিঞা এভাবেই বড়লোকের সনদ পেয়েছে এ শহরে!

কতকিছুই তো হতে পারতাম। হয়তো আঙুল ফুলে কলাগাছ হতে পারিনি আমি। কিন্তু এ পর্যন্ত পাবলিক লাইব্রেরির চাকরিটা করে গেছি নির্বিঘ্নে। কোনো উত্থান নেই, পতন নেই—একেবারে সাদামাটা জীবন ও জীবিকা। সামান্য অফিসার হয়ে ঢুকেছি। সেখানেই পড়েছিলাম সারা জীবন। স্পষ্ট দেখতে পাচ্ছি নিজেকে। খদ্দরের পাঞ্জাবি আর পায়জামা পরে, চোখে চশমা লাগিয়ে বুদ্ধিজীবী চেহারা নিয়ে অফিসে ঢুকি প্রতিদিন। কতক্ষণ তাইরে-নাইরে করে বেরিয়ে পড়ি। শিল্পকলায় গিয়ে নাটক দেখি। বইমেলায় বই হাতড়ে যাই। প্রিয় লেখক হাতের কাছে পেলে গল্প জমাই। পাঠক সমাবেশ-বাতিঘর-তক্ষশীলায় চিন্তাশীল চেহারা নিয়ে ঘণ্টার পর ঘণ্টা শীতল হাওয়া খাই। দেবেশ রায় কিংবা হাসান আজিজুল হকের এক-দুটো বই নিয়ে ভাবগম্ভীর আলোচনায় মত্ত হই। নিজেকে তখন একটা কিছু মনে হয়। বাসায় ফিরে ছেলেমেয়ে-বউর কাছে নিজের ওজস্বিতা মেলে ধরি। আহা! কী সুন্দর সুফলা জীবন আমার। ভেবে আটখানা হয়ে পড়ি। কিছু না পেয়ে, কিছু না চেয়ে, কিছু না করেও যে বর্ণিল ভাবের-সাগরে অবগাহন করা যায়, এর প্রকৃষ্ট উদাহরণ আমি নিজে।

সেই মানুষটাই সবাইকে কিছু একটা বলতে চাইত। সেদিন রায়হান, আমার কলেজ জীবনের বন্ধু, সেও বলল, ‘তুই নাকি একটা কথা আমায় বলবি বলেও বললি না। কী কথা দোস্ত?’

‘কোথায় বললাম?’

‘বন্ধু ৮৪-এর গেট-টুগেদারে? ভুলে গেলি? কী কথা? স্পেশাল কিছু?’

‘বলব। সময় হলেই বলব।’ বলে ওকে থামালাম ঠিক। কিন্তু কী কথা সারা জীবন সবাইকে রহস্য করে বলতে চেয়েছি, সেটাই তো এখন বুঝতে পারছি না।

প্রশ্নটা এবার আমি নিজেকে নিজে করি, ‘কী কথা বলতে চাইতে তুমি? সত্যি বলতে চাইতে নাকি এগুলো স্রেফ কথার কথা। একরকম ধাপ্পাবাজি বা গিমিক?’

মৌমিতারও একই জিজ্ঞাসা। সে আমার একতরফা গোপন প্রণয়। বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্রে প্রথম পরিচয়। চাকরিজীবী মহিলা সে। বই পড়তে খুব ভালোবাসে আর আমি সেই সূত্র ধরে তার সঙ্গে গল্প জুড়ে দিয়ে সুখ কিনি। আমার থেকে বয়সে অন্তত বিশ বছরের ছোট। তবু হ্যাঁচকা এক টান বোধ করি নিজের ভেতর। দুবার সুযোগ পেয়েও চুমু খাইনি। কেননা এরকম অবিবাহিতা যৌবনবতীর সঙ্গে শেষ পর্যন্ত যাওয়ার ক্ষমতা নেই এ ষাট বছরের মানুষটির। তাই গল্পেই আনন্দ আমার। সেও একদিন ফোন করে বলল, ‘বৌদির শরীর কেমন দাদা?’

‘শেষ সময়।’

‘ও। খুব স্যাড। আচ্ছা দাদা, আপনি আমাকে কী একটা কথা বলবেন বলেছেন? কী কথা? আমি খুব নার্ভাস বোধ করি। অন্য কিছু নয় তো?’

‘আরে না। তেমন কিছু না। ভয় পেও না।’

‘যাক বাঁচলাম। তবু মনে পড়লে বইলেন। কৌতূহল হচ্ছে বড়।’

‘আচ্ছা।’

আমি নিজেই নিজের ভেতর হাতড়ে বেড়াচ্ছি উত্তর। কিন্তু স্পষ্ট করে কিছুই বলতে পারছি না। তাহলে কি পুরোটাই ফাজলামো আমার? অহেতুক অন্যের কাছে নিজের গুরুত্ব বাড়ানোর চেষ্টা? হীনম্মন্যতা নয়তো?

আমি সংযুক্তার কাছে গিয়ে বসলাম। আমাকে দেখে সে সঙ্গে সঙ্গে বলে উঠল, ‘কোথায় দৌড় দিলা? এই তো কডা দিন। তাও একটু থাকতে পারো না আমার কাছে?’ অভিমান সংযুক্তার গলায়।

‘তোমার কাছেই তো আছি। অত মাইন্ড করলে চলে?’

এ সময় ওর হাড়সর্বস্ব পাঁচ আঙুল দিয়ে আমার হাত চেপে ধরে, ‘আমার তো আর দিন কয়েক। নয়তো দিন দশেক। নয়তো দিন ত্রিশেক। এরপর তো সব শূন্য। তুমি কি পুলার কাছে নটিংহামে চইলা যাইবা?’

‘বলতে পারি না। বাদ দাও তো এসব কথা। বিরক্ত লাগে।’

‘তাইলে কি কমবয়সী কাউরে বিয়া করবা?’ বলে চোখ কুঁচকে হাসার চেষ্টা করে সংযুক্তা। এককালের প্রাণসঞ্চারি মিষ্টি হাসিটা বড় বিশ্রী লাগে এখন।

‘চুপ করবা?’ ধমকে উঠি হালকা সুরে। আমার চোখের ভেতরে ছায়া ফেলে মৌমিতা। অসম্ভব-অবাস্তব, তবু।

‘আমারে মনে রাখবা তুমি? আমার কতা মনে অইবো?’

‘কী জানি।’

সংযুক্তার হাতটা আরও শক্ত হয়ে ওঠে। আচমকা সংযুক্তা কঁকিয়ে ওঠে, ‘আমারে মনে রাইখো, প্লিজ। জানি রাখবা না। তবু রাইখো, প্লিজ।’ চোখ বুজে ফেলে সে। একসময় ফুঁপিয়ে কেঁদে ওঠে।

ওর কথা শুনে সহসা আমার শরীরে এক অজানা শিহরন খেলে গেল। সঙ্গে সঙ্গে সংযুক্তার মুখের কাছে মুখ নিয়ে এক নিঃশ্বাসে বলে উঠলাম, ‘ঠিক এ কথাটাই সবাইকে আমি বলতে চেয়েছি সারা জীবন। ঠিক এ কথাটাই সোনা।’

সংযুক্তা অশ্রুসজল চোখে ফ্যালফ্যাল করে তাকিয়ে থাকে আমার দিকে। অন্তিমকালে সে নতুন করে আমাকে বোঝার চেষ্টা করে!

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

নতুন প্রজন্ম শান্তিপূর্ণ রাজনীতি প্রত্যাশা করে : ইশরাক

ঢাবির ব্যবসায় শিক্ষা ইউনিটে ভর্তি পরীক্ষা আজ

‘খালেদা জিয়া বাংলাদেশের মানুষের আপনজন’

২০ বছরের ব্যবসা বাঁচাতে ছাড়লেন চেয়ারম্যান পদ

তাসনিম অনন্যার অনুসন্ধানে মহাবিশ্বের চাঞ্চল্যকর রহস্য উন্মোচন

২০২৬ বিশ্বকাপে কবে মুখোমুখি হতে পারে আর্জেন্টিনা-ব্রাজিল?

বিশ্বকাপের গ্রুপ অব ডেথে ফ্রান্স

নুরুদ্দিন অপুর হাত ধরে আ.লীগ নেতার বিএনপিতে যোগদান

২০২৬ বিশ্বকাপের ড্র অনুষ্ঠিত: দেখে নিন কোন গ্রুপে কোন দল

২০২৬ বিশ্বকাপে আর্জেন্টিনা ও ব্রাজিলের প্রতিপক্ষ যারা

১০

রাতে আবার হাসপাতালে গেলেন জুবাইদা রহমান

১১

যুক্তরাষ্ট্রে ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞার পরিধি বাড়ছে, তালিকায় ৩০টির বেশি দেশ

১২

খালেদা জিয়ার এন্ডোসকপি সম্পন্ন, বন্ধ হয়েছে রক্তক্ষরণ

১৩

‘বাঁধের মাটি বড় বড় খণ্ড হয়ে ঝুপঝাপ শব্দে ভেঙে পড়ে’

১৪

রাজমিস্ত্রির বাড়ি থেকে অস্ত্র-গুলি উদ্ধার

১৫

দেড় হাজার দৌড়বিদের অংশগ্রহণে হাফ ম্যারাথন

১৬

খালেদা জিয়ার সুস্থতা কামনায় ফ্রি যাত্রীসেবা

১৭

বিদেশি কোম্পানিকে ইজারা, প্রতিবাদে বিক্ষোভ 

১৮

যুবদল নেতা সুমনের বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহার

১৯

দুই গ্রুপের সংঘর্ষ, একজন গুলিবিদ্ধসহ আহত ১০

২০
X