ডাম্বুলায় পা রাখতেই ভয় ধরিয়ে দিলেন জাতীয় দলের এক ক্রিকেটার। ডাম্বুলার চারপাশেই নাকি সাপের আনাগোনা। এমনকি হোটেলেও সাপ থাকে বলে সাবধান করে দিলেন তিনি। অবশ্য শ্রীলঙ্কা মানেই তো সাপের স্বর্গরাজ্য। এখানে ম্যাচ চলাকালীন খেলার মাঠেও সাপের প্রবেশ দেখা গেছে বহুবার। বাংলাদেশের প্রথম ওয়ানডেতেও কলম্বোর প্রেমাদাসায় যেটার দেখা মিলেছিল। কিন্তু ডাম্বুলাতেই নাকি ভয় বেশি! ছোট্ট এই শহরের চারপাশে পাহাড় পর্বত, বনজঙ্গলে ভরা—আছে ছোট ছোট লেকও। আর এসব ঘিরেই সাপের বসবাস। আর সেই সাপের শহরেই এবার সিরিজ বাঁচানোর চ্যালেঞ্জে লিটন দাসরা। আজ বাংলাদেশ সময় সন্ধ্যা ৭টায় সিরিজের দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টি খেলতে নামবেন তারা।
ক্যান্ডিতে তিন ম্যাচের সিরিজের শুরুটা ভালো হয়নি বাংলাদেশের। ব্যাটারদের ব্যর্থতায় ম্যাচটি হেরে যান তারা। এবার ডাম্বুলাতে সিরিজ বাঁচানোর মিশন। আট বছর বিরতির পর এই ভেন্যুতে কোনো ম্যাচ খেলতে যাচ্ছে বাংলাদেশ। তবে সংস্করণের হিসেবে এবারই প্রথম টি-টোয়েন্টি খেলবেন তারা। সেটাও আবার সিরিজে ১-০ ব্যবধানে পিছিয়ে থাকার পর। অবশ্য ডাম্বুলাতে টি-টোয়েন্টি সংস্করণের খেলাও হচ্ছে মাত্র এক বছর হলো। ২০০০ সালে নির্মিত এই স্টেডিয়ামে প্রথম টি-টোয়েন্টি ম্যাচ হতে লেগে যায় ২৪ বছর। আর বাংলাদেশের অতীতে খেলার অভিজ্ঞতা থাকলেও সেটা ছিল ভিন্ন সংস্করণ। তাই বলা যায়, নতুন করেই শুরুর সুযোগ পাচ্ছেন লিটনরা। বলে রাখা ভালো, এখানে ব্যাটারদের পরিসংখ্যান বেশ ভালোই দেখা যাচ্ছে। ১৮০-২০০ রানের ম্যাচ দেখা গেছে কয়েকবার। সেখানেও লড়াইয়ের দেখা মিলেছিল বারবার।
২০১০ সালে প্রথমবার ডাম্বুলায় খেলেছিল বাংলাদেশ। সেবার এশিয়া কাপে শ্রীলঙ্কার কাছে বড় ব্যবধানে হেরেছিল তারা। সাত বছর পর আবারও একই ভেন্যুতে ওয়ানডে খেলার সুযোগ মিলেছিল বাংলাদেশের। সেবার তামিম ইকবালের সেঞ্চুরির সুবাদে মিলেছিল জয়ের দেখা। ওই সিরিজের পরের ম্যাচটি একই ভেন্যুতে থাকলেও পরিত্যক্ত হয়। এই হলো ডাম্বুলায় বাংলাদেশের খেলার অভিজ্ঞতা। তবে সেবারের টি-টোয়েন্টি সিরিজের দলের মধ্যে এবার আছেন মেহেদী হাসান মিরাজ, তাসকিন আহমেদ ও মুস্তাফিজুর রহমান। ডাম্বুলা সম্পর্কে এ তিনজনেরই ভালো জানা থাকার কথা। এ ছাড়াও ফ্র্যাঞ্চাইজি ক্রিকেটের সুবাদে কয়েকজনের এই ভেন্যু ও শহর ঘিরে আছে অভিজ্ঞতা।
সিরিজ বাঁচানোর ম্যাচে বাংলাদেশের একাদশে পরিবর্তন দেখা যেতে পারে। প্রথম টি-টোয়েন্টিতে তাসকিনকে পুরোপুরি ফিট দেখা যায়নি, তাই বিশ্রামের সুযোগ মিলতে পারে তার। আবার চার ওপেনারকে একাদশে রাখা নিয়ে হচ্ছে নানা আলোচনা-সমালোচনাও। সেটা কাটিয়ে উঠতে পরিকল্পনায় বদল আনতে পারে টিম ম্যানেজমেন্ট। কিপার ব্যাটার জাকের আলি অনিকের চোট ঘিরে একটা লুকোচুরি তৈরি হয়েছে। টিমের কেউ কেউ বলছেন, চোটের জন্য খেলা হয়নি তার প্রথম ম্যাচে। আবার মেডিকেল বিভাগ বলছে, তার কিপার ব্যাটার হিসেবে খেলতে বাধা ছিল না। সব মিলিয়ে একটা দোটানার মধ্যে পড়েছে লিটনের দলটিও। এসব ছাপিয়েই দলকে জিতিয়ে আত্মবিশ্বাস ফেরাতে হবে নতুন অধিনায়ককেও।
মন্তব্য করুন