সাখাওয়াত হোসেন, রৌমারী (কুড়িগ্রাম)
প্রকাশ : ১৩ জুলাই ২০২৫, ০৮:০৫ পিএম
অনলাইন সংস্করণ

১০ বছরেও নির্মাণ হয়নি সংযোগ সড়ক, দুর্ভোগে ৭ গ্রামের মানুষ

সংযোগ সড়কবিহীন ১০ বছর অতিবাহিত সেতু। ছবি : কালবেলা
সংযোগ সড়কবিহীন ১০ বছর অতিবাহিত সেতু। ছবি : কালবেলা

কুড়িগ্রামের রৌমারীতে ১০ বছর আগে ব্রিজ নির্মাণ হলেও হয়নি সংযোগ সড়ক। এতে দুর্ভোগে রয়েছেন এ সড়কে চলাচলকারী ৭ গ্রামের ১০ হাজার মানুষ। দীর্ঘদিন ধরে এ অবস্থা চলায় কার্যত অচল হয়ে পড়েছে সরকারের সাড়ে ৩২ লাখ টাকা ব্যয়ে নির্মিত এ সেতুটি।

স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, ২০১৬ সালের জুলাই মাসে ব্রিজটির নির্মাণকাজ শেষ হয়। তবে ব্রিজের দুপাশে মাটি ভরাট করে সংযোগ সড়ক নির্মাণ না করায় কার্যত সড়কটি সেই থেকে অচল হয়ে পড়েছে।

এতে দীর্ঘ ১০ বছর ধরে দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে উপজেলার দুবলাবাড়ি, পুরাতন যাদুরচর, ঝাউবাড়ি,বকবান্ধা, খেওয়ারচর, কাশিয়াবাড়ি, বাওয়াইর গ্রামের হাজারও মানুষকে।

রোববার (১৩ জুলাই) সরেজমিন ঘুরে দেখা যায়, মূল সড়ক থেকে ব্রিজটি প্রায় ১৫-২০ ফুট উচ্চতায় দাঁড়িয়ে রয়েছে। ব্রিজের দুপাশে মাটি ভরাট করে নির্মাণ করা হয় নাই সংযোগ সড়ক।

উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তার কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, ২০১৫-১৬ অর্থবছরে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের আওতায় উপজেলার পুরাতন যাদুরচর এলাকার ময়নাল মেম্বারের বাড়ির পাশে ভেঙে যাওয়া সড়কে একটি ব্রিজ নির্মাণ করা হয়। ৪০ ফুট দৈর্ঘ্যের এ ব্রিজ নির্মাণে সরকারের মোট ৩২ লাখ ৫২ হাজার ৬৫৩ টাকা ব্যয় হয়।

স্থানীয় বাসিন্দা মজিবর রহমান কালবেলাকে বলেন, আগে এ সড়ক দিয়ে প্রতিদিন বিভিন্ন এলাকার হাজারও মানুষ চলাচল করতেন। ব্রিজ নির্মাণের পর এর দুপাশে মাটি দিয়ে ভরাট না করায় ওই সময় থেকে সচল রাস্তাটি অচল হয়ে গেছে।

দুবলাবাড়ি বাজার এলাকার বাসিন্দা সহিদ মাসউদ আহমেদ, কৃষক জয়েন উদ্দিন, আব্দুল গণী মন্ডল, রুহুল আমিন কালবেলাকে বলেন, দুবলাবাড়ি বাজার থেকে কর্তিমারী বাজারে যাওয়ার একমাত্র সড়ক এটি। ব্রিজে সংযোগ সড়ক না থাকায় প্রতিদিন পায়ে হেঁটে ৩ কিলোমিটার চলাচল করতে হয়। এর কোনো বিকল্প নাই। ব্রিজটিতে দ্রুত সংযোগ সড়ক নির্মাণসহ পাঁকা সড়ক নির্মাণের দাবি জানান তারা।

ব্রিজটি উপজেলার যাদুরচর ও রৌমারী সদর এই দুই ইউনিয়নের সীমান্ত সড়কে হওয়ায় এর দিকে কারও কোনো নজর নেই বলে অভিযোগ স্থানীয়দের।

রৌমারী উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা (পিআইও) মো. শামসুদ্দিন কালবেলাকে বলেন, কাজটি আমার সময়ের নয়। এ বিষয়টি আমার জানা ছিল না এবং সেখানকার জন প্রতিনিধিও আমাদের জানায়নি। সামনে বরাদ্দ এলে কাজটি করা হবে।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

নরসিংদীতে স্পিনিং মিলের তুলার গোডাউনে ভয়াবহ আগুন

মা-বাবা ও স্ত্রীর নামে কসম করলে কী হয়? জানালেন বিশেষজ্ঞ আলেম

৭ ডিসেম্বর : আজকের নামাজের সময়সূচি

ঢাকা-৮ আসনে সাদিক কায়েমের প্রার্থিতার খবরে যা বলছেন হাদি

নির্বাচন কোনোভাবেই ঝুঁকিতে ফেলা যাবে না : সাইফুল হক

মৃত আত্মীয়কে দেখে ফেরার পথে সড়কে লাশ হলেন শাশুড়ি-পুত্রবধূ

খালেদা জিয়ার রোগমুক্তি কামনায় ড. ওবায়দুল ইসলামের উদ্যোগে দোয়া মাহফিল

খালেদা জিয়ার আরোগ্য লাভের অপেক্ষায় কোটি জনতা : অপর্ণা রায়

ঢাকায় রুশ গণ-কূটনীতির শতবর্ষ উদযাপন

ইনসাফভিত্তিক রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠায় ইসলামী শক্তি ঐক্যবদ্ধ : মুফতি মোস্তফা কামাল

১০

দক্ষিণ আফ্রিকায় বন্দুকধারীদের নির্বিচার গুলি, শিশুসহ অন্তত ১২ জন নিহত

১১

সুখে-দুঃখে পাশে থাকার প্রতিশ্রুতি শুভ্রার

১২

ঘুষ নেওয়ার সংবাদ প্রকাশ / সাংবাদিককে গালি দিয়ে ভূমি কর্মকর্তার ফেসবুক পোস্ট

১৩

কুয়াশা নিয়ে যে তথ্য জানাল আবহাওয়া অফিস

১৪

নির্ধারিত সময়ের আগে অফিসে প্রবেশ, নারী কর্মীকে চাকরিচ্যুত করল কোম্পানি

১৫

শহীদ শিহাবের কবর জিয়ারতে জেলা এনসিপির নতুন কমিটির নেতারা

১৬

২-৪টা আসনের জন্য কারও সঙ্গে জোট করব না : নুর

১৭

‘আমাকে সাসপেন্ড করেন’ বলতে থাকা চিকিৎসককে অব্যাহতি

১৮

বাংলাদেশে খালেদা জিয়ার বিকল্প কেউ নেই : কায়কোবাদ

১৯

গণতন্ত্র উত্তরণে খালেদা জিয়ার বেঁচে থাকা জরুরি : অমিত

২০
X