অক্টোবরে হতে যাওয়া বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) পরিচালনা পর্ষদের নির্বাচনে প্রেসিডেন্ট পদে লড়ার ঘোষণা দিয়েছেন আমিনুল ইসলাম বুলবুল। নির্বাচন ঘিরে এরই মধ্যে কাজকর্মও শুরু করে দিয়েছেন তিনি। তবে তার আগেই নিজের ফোনের কালো তালিকায় গণমাধ্যমকর্মীদের সংযুক্ত করার কাজও শুরু করে দিয়েছেন তিনি। নির্বাচনের সময় যতই ঘনিয়ে আসছে, ততই এই তালিকা দীর্ঘায়িত হচ্ছে।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, এরই মধ্যে ২০-২৫ জন সংবাদকর্মীকে ফোনে ব্লক করেছেন তিনি। তাদের মধ্যে বেশিরভাগই বিভিন্ন গণমাধ্যমের স্পোর্টস বিভাগের সিনিয়র সাংবাদিক। কিন্তু কেন এমনটা করেছেন, তার উত্তরও শোনার জন্য বুলবুলের সঙ্গে যোগাযোগের কোনো সুযোগ নেই বলে জানান অনেকেই। বিসিবির বেশ কয়েকজন পরিচালক বিষয়টি নিয়ে কিছুটা বিব্রত বোধ করছেন বলে জানা গেছে। প্রেসিডেন্ট হয়েও কেন এমনটা করছেন তিনি, তার উত্তর দিতে পারছেন না তারা।
বাংলাদেশ ক্রিকেটে সব সময়ই প্রাসঙ্গিক ছিলেন বুলবুল। বিসিবির প্রেসিডেন্ট হওয়ার আগে থেকেই তার সঙ্গে গণমাধ্যমের সম্পর্কটা ছিল ভিন্ন রকমের। বলা হয়, দেশের ক্রিকেটের প্রথম গণমাধ্যমবান্ধব ব্যক্তিত্বও ছিলেন তিনি। দেশের হয়ে প্রথম টেস্টে ১৪৫ রানের ইনিংসের জন্য সবার পছন্দের শীর্ষেও ছিলেন। কিন্তু সম্প্রতি বিসিবি প্রেসিডেন্টের চেয়ারে বসার পর টি-টোয়েন্টি খেলার ঘোষণা দেন তিনি। সেটা যখন ওয়ানডে কিংবা টেস্টের দিকে মোড় নেয়, তারপর থেকেও তার কার্যক্রম ঘিরে গণমাধ্যমে নানা রিপোর্ট প্রকাশ হতে দেখা গেছে। বিষয়গুলো নাকি ইতিবাচকভাবে নিতে পারেননি বুলবুল। সেজন্যই অভিমান কিংবা ক্ষোভ থেকে সাংবাদিকদের নিজের ফোনের কালো তালিকায় রাখা শুরু করেছেন তিনি।
বিসিবির প্রেসিডেন্টের চেয়ারে বসা ব্যক্তিত্বের কাছ থেকে এমনটা আশা করেন না বলে জানিয়েছেন গণমাধ্যমে কর্মরত বেশ কয়েকজন সংবাদকর্মী। আবেগ নয়, বিসিবি প্রেসিডেন্টের দায়িত্বশীলতা দেখতে চান তারা। বিভিন্ন অনুষ্ঠানে সাংবাদিকদের আলাপেই এখন উঠে আসছে বুলবুলের কালো তালিকার প্রসঙ্গটাও।
মন্তব্য করুন