অনেকটা অবাক করেই নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে সাদা বলের দুই সিরিজের দলে সুযোগ পেয়েছেন সৌম্য সরকার। সৌম্য নিজেও অবাক হয়েছিলেন খবরটি শুনে। কেননা, বছরজুড়ে বিপিএল কিংবা প্রিমিয়ার লিগে পারফর্ম না করায় এই ব্যাটিং অলরাউন্ডার খুব একটা আলোচনায় ছিলেন না। দলের অন্যতম সেরা খেলোয়াড় সাকিব আল হাসান, মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের মতো অভিজ্ঞদের চোট তাই সৌভাগ্য হয়ে ধরা দিয়েছে সৌম্যের কাছে। নিউজিল্যান্ডের মতো কন্ডিশনে ৩০ বছর বয়সী এ ক্রিকেটারের ওপরই আত্মবিশ্বাস রেখেছেন নির্বাচকরা। গতকাল সিলেটে ম্যাচ দেখতে যাওয়া বিসিবির নির্বাচক হাবিবুল বাশার সুমনই জানিয়েছেন সে কথা।
কিছুদিন আগে শেষ হওয়া জাতীয় লিগে ওয়ানডে মেজাজে খেলতে দেখা গিয়েছিল সৌম্যকে। ব্যাটে-বলে দারুণ ছন্দেও ছিলেন খুলনা বিভাগের এই ব্যাটার। সৌম্যের ফেরার পেছনে সেটা একটা কারণ। সুমন বলেছেন, ‘এবার প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে খুব ভালো পারফর্ম যে করেছে, তা নয়। তবে ৪৮ গড় খুব খারাপ নয়, যদিও ওর কাছ থেকে আরও বেশি কিছু আশা করার থাকে।’ অবশ্য সৌম্য যে প্রতিভা নিয়ে জাতীয় দলে এসেছিলেন, তাতে তার কাছে বড় কিছু প্রত্যাশা করতেই পারে টিম ম্যানেজমেন্ট।
কিউই সফরেও তাই নতুন কাউকে দেখার চাইতে অভিজ্ঞ সৌম্যতেই নজর রাখতে চান নির্বাচকরা। বিসিবির এই নির্বাচকই জানালেন সে কথা, ‘নিউজিল্যান্ড সফর আমাদের জন্য সব সময়ই একটু কঠিন হয়। সেখানে আমরা সাধারণত অনেক স্ট্রাগল করি। সেখানে নতুন কাউকে দেখার থেকে আমাদের মনে হয়েছে, এমন কেউ নেই যে এই কন্ডিশনে আগে খেলেছে। পাশাপাশি ওর (সৌম্য) একটু অলরাউন্ড সামর্থ্যও আছে। এই ভাবনা থেকে তাকে নেওয়া হয়েছে।’ সৌম্যের কাছে তাই নির্বাচকদেরও ভালো কিছুর প্রত্যাশা। অবশ্য কোচ চন্ডিকা হাথুরুসিংহের পছন্দের হলেও সৌম্যকে নিতে একমত ছিল টিম ম্যানেজমেন্টের সবাই। এমনটাই নিশ্চিত করেছেন সুমন।
প্রায় নয় বছর আগে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে পথচলা শুরু হয় সৌম্য সরকারের। এর পরও ফর্মহীনতার কারণে বারবার দল থেকে বাদ পড়ায় মাত্র ১৬ টেস্ট, ৬৩ ওয়ানডে আর ৭২টি টি-টোয়েন্টি ম্যাচ দেখাচ্ছে তার ক্যারিয়ারের পরিসংখ্যানে। গত কয়েক বছরে পারফর্ম করতে ব্যর্থ হলেও অতীত নিয়ে আর ভাবতে চান না সৌম্য। নতুন করে পাওয়া সুযোগটা নষ্ট করতে চান না তিনি।