বিএনপি আগামীতে রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় গেলে প্রজাতন্ত্রের সব কর্মকর্তা-কর্মচারীর চাকরির সুরক্ষার নিশ্চয়তা দিয়েছেন দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি অঙ্গীকার করেছেন, কারও বিরুদ্ধে দলীয় বিবেচনায় কিংবা আক্রোশমূলক কোনো ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে না বা কাউকেই তা করতে দেওয়া হবে না। বরং গত ১৫ বছরে যেসব কর্মকর্তা-কর্মচারীকে অন্যায়ভাবে চাকরিচ্যুত, বাধ্যতামূলক অবসর, দীর্ঘদিন ওএসডি এবং পদোন্নতি বঞ্চিত করা হয়েছে, তাদের প্রতিও ন্যায়বিচার করা হবে। গতকাল মঙ্গলবার রাতে বিএনপি চেয়ারপারসনের একান্ত সচিব এবিএম আবদুস সাত্তার স্বাক্ষরিত এক বিবৃতিতে এ ঘোষণা দেন মির্জা ফখরুল।
বিবৃতিতে বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘গভীর উদ্বেগের সঙ্গে লক্ষ করছি, সিভিল ও পুলিশ প্রশাসনের অতি নগণ্য সংখ্যক দুর্নীতিপরায়ণ ও দলবাজ কর্মকর্তা অপপ্রচার চালাচ্ছেন যে, বিএনপি ক্ষমতায় গেলে আওয়ামী শাসনামলে কর্মরত কর্মকর্তা-কর্মচারীদের চাকরিচ্যুতি, এমনকি জেল-জরিমানার মতো পরিস্থিতির শিকার হতে হবে। বোঝা যায়, অনির্বাচিত ও অবৈধ আওয়ামী সরকার জোর করে ক্ষমতায় টিকে থাকার জন্য যেসব ষড়যন্ত্র করছে—এমন অপপ্রচার সেই ষড়যন্ত্রেরই একটি অংশ।’
কর্তৃপক্ষের বেআইনি আদেশে বা চাপে ‘বিতর্কিত কাজ’ করতে বাধ্য হয়েছেন—এমন কর্মকর্তা-কর্মচারীদের উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘এখন থেকে তারা যদি আর এরূপ অন্যায়, অবৈধ ও বেআইনি কোনো কাজ না করেন, তাহলে তাদের পূর্ববর্তী ভূমিকা সহানুভূতি ও ইতিবাচক দৃষ্টিতে বিবেচনা করা হবে।’
দলের চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার সঙ্গে রাতে তার গুলশানের বাসভবন ফিরোজায় সাক্ষাৎ করার পরই প্রশাসনের উদ্দেশে এ বার্তা দেন মির্জা ফখরুল। গতকাল রাত ৮টার দিকে ফিরোজায় যান ফখরুল। সেখানে প্রায় পৌনে ১ ঘণ্টার মতো ছিলেন তিনি।
সূত্র জানায়, ঢাকায় আগামীকাল বৃহস্পতিবার অনুষ্ঠেয় বিএনপির মহাসমাবেশ ও একে ঘিরে উদ্ভূত পরিস্থিতি চেয়ারপারসনকে জানাতেই মূলত মির্জা ফখরুল ফিরোজায় যান। এ সময় খালেদা জিয়াও মহাসচিবকে দিকনির্দেশনা দেন।
মন্তব্য করুন