মাসুদ রানা
প্রকাশ : ০৮ আগস্ট ২০২৪, ০৬:১৬ এএম
আপডেট : ০৮ আগস্ট ২০২৪, ০৮:৩৯ এএম
প্রিন্ট সংস্করণ

আদালতপাড়ায় সুনসান নীরবতা

চীফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট কোর্ট, ঢাকা। ছবি : সংগৃহীত
চীফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট কোর্ট, ঢাকা। ছবি : সংগৃহীত

স্বাভাবিক দিনে ঢাকার নিম্ন আদালতে আইনজীবী, বিচারপ্রার্থীসহ নানা শ্রেণি-পেশার মানুষের পদচারণায় মুখর থাকে। মানুষের ভিড়ে পা ফেলানো দায় হতো। কিন্তু সরকার পতনের পর ঢাকার আদালতপাড়ার রূপ বদলে গেছে। আদালতে সুনসান নীরবতা বিরাজ করছে। স্বাভাবিক বিচার কার্যক্রম না থাকায় অনেক আইনজীবী অর্থকষ্টে ভুগছেন।

সরেজমিন ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট, ঢাকার চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট, ঢাকা মহানগর দায়রা জজ ও ঢাকা জেলা দায়রা জজ আদালতের কোনো ফটকে পুলিশ বা আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কোনো সদস্যকে দেখা যায়নি। ঢাকার নিম্ন আদালতে চারটি হাজতখানা থাকলেও কোনোটিতেই পুলিশ দেখা যায়নি। হাজতখানাগুলোয় তালা ঝুলছে। সংশ্লিষ্ট পুলিশের সাধারণ নিবন্ধন (জিআর) শাখাগুলোয় একই অবস্থা। ওমেদার দিয়ে জিআর শাখার কাজ পরিচালনা করা হচ্ছে। থানা ও কারাগার থেকে কোনো আসামিকে আদালতে হাজির করা হয়নি। বিচারিক আদালতে সাক্ষ্য গ্রহণ বন্ধ রয়েছে। যদিও ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আদালতসহ কয়েকটি আদালতে বিচারককে এজলাসে উঠে বিচারকার্য পরিচালনা করতে দেখা গেছে। তবে অন্যসব আদালতে বিচারকের খাসকামরায় বসেই আদেশ দিয়েছেন বলে জানা গেছে।

রাষ্ট্রপক্ষের নিয়োজিত আইনজীবীরাও আদালতে উপস্থিত হননি। শেখ হাসিনা সরকারের পদত্যাগের পর থেকে ঢাকার কোর্ট অঙ্গন দাপিয়ে বেড়ানো হেভিওয়েট সব আইনজীবী নেতার কাউকে দেখা যায়নি। জানা গেছে, অনেক বিচারক ছুটিতে রয়েছেন। ফাঁকা পেয়ে পুরো কোর্ট এলাকা দখল নেন বিএনপি ও জামায়াতপন্থি আইনজীবীরা। ঢাকার সিএমএম আদালতের নাজির রেজোয়ান খন্দকার কালবেলা বলেন, বিচারকরা আদালতে আসছেন। তবে পুলিশ না থাকায় বিচারকরা এক ধরনের নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন। অনেকে আতঙ্কে রয়েছেন।

আদালতের জিআরও শাখার পুলিশের এক সদস্য বলেন, আমরা কয়েকজন এসেছি শুধু আসামিদের জামিন বিষয়ে কাজ করতে। ঢাকার তৃতীয় যুগ্ম মহানগর দায়রা জজ আদালতের এক কর্মচারী বলেন, বিচারক নিরাপত্তার স্বার্থে আদালতে উঠবেন না। তবে হাজিরা, সময়ের আবেদন অটোমেটিক মঞ্জুর হচ্ছে। খাসকামরায় বসে জামিনের আবেদনও মঞ্জুর করছেন আদালত।

ঢাকা জজ কোর্টের আইনজীবী শাহাদত হোসেন বলেন, গত ৫ আগস্ট থেকে নিরাপত্তার স্বার্থে অনেক বিচারক এজলাসে না উঠে বিচারকার্য পরিচালনা করছেন। অনেক ক্ষেত্রে সময়ের আবেদন, জামিন শুনানিও করা লাগছে না। ঢাকা জজ কোর্টের আইনজীবী তামান্না খানম বলেন, এখন রাজনৈতিক মামলার জামিন শুনানি ছাড়া সবকিছু বন্ধ রয়েছে। আসামিদের কোনো হাজিরা হচ্ছে না। এমন পরিস্থিতি থাকলে মামলার জট আরও বাড়বে। তাই খুব দ্রুত আদালতের বিচার কার্যক্রম স্বাভাবিক করা প্রয়োজন। আইনজীবী রুহুল আমিন বলেন, বর্তমান পরিস্থিতিতে আদালতের কার্যক্রম ব্যাহত হচ্ছে। যারা শুধু আইনজীবী পেশায় জীবন চালান, তাদের জন্য কষ্টকর। আমরা চাই, আদালতে স্বাভাবিক বিচার কার্যক্রম পরিচালিত হোক।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন
  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

টিভি দেখতে দেখতে হঠাৎ ব্রেন স্ট্রোক করে হাসপাতালে অভিনেত্রী

গবেষণার ফলাফল জনহিতকর কাজে প্রয়োগ করা হবে : খাদ্য সচিব

ভোটের আগের দিন ‘গুরুতর’ অভিযোগ আনলেন উমামা

নিষিদ্ধ ছাত্রলীগ নেতা সাঈদকে পুলিশে সোপর্দ

অসুস্থ যুবদল নেতার চিকিৎসার দায়িত্ব নিলেন তারেক রহমান

বাসের দরজায় ‘নকআউট’ হলান্ড, মুখে লাগল তিন সেলাই

জনগণই বিএনপির সকল রাজনৈতিক ক্ষমতার উৎস : তারেক রহমান

দুদকের আরেক মামলায় গ্রেপ্তার শিবলী রুবাইয়াত

এক মাসে কতটা ওজন কমানো নিরাপদ, জানালেন চিকিৎসক

ভোক্তা অধিকারে নতুন মহাপরিচালক নিয়োগ

১০

এআই দিয়ে তৈরি ছবি কি না, চিনবেন ৫ উপায়ে

১১

‘আর কোনো মা-বোনকে যেন স্বামী-সন্তানের জন্য কাঁদতে না হয়’

১২

নেপালে শুরু হয়েছে আরেক ‘জুলাই আন্দোলন’?

১৩

নেপালে বাংলাদেশ দলের অবস্থা নিয়ে যা জানাল বাফুফে

১৪

কুমিল্লায় মা-মেয়ে হত্যা, সন্দেহভাজন কবিরাজ আটক

১৫

বাংলাদেশের যে গ্রামে পাঁচতারকাসহ অর্ধশতাধিক রিসোর্ট-কটেজ

১৬

ডাকসু নির্বাচন / ভিপি প্রার্থী শামীমকে নিয়ে বিস্ফোরক মন্তব্য ইলিয়াসের

১৭

প্রতিপক্ষের ঘুষিতে নারীর মৃত্যু

১৮

পুলিশের ৫৯ কর্মকর্তার পদোন্নতি

১৯

জাতিসংঘের আবাসিক সমন্বয়কারীর সঙ্গে গণঅধিকার পরিষদের বৈঠক

২০
X