এ জেড ভূঁইয়া আনাস
প্রকাশ : ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৩:২৪ এএম
আপডেট : ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৮:০২ এএম
প্রিন্ট সংস্করণ

রোববার থেকেই ধার করতে পারবে সংকটে থাকা ব্যাংক

ব্যাংক খাত
রোববার থেকেই ধার করতে পারবে সংকটে থাকা ব্যাংক

বাংলাদেশ ব্যাংকের গ্যারান্টির বিপরীতে সংকটে পড়া ব্যাংক তুলনামূলক ভালো ব্যাংক থেকে ধার পাবে। আগামী রোববার থেকেই এ প্রক্রিয়া শুরু করতে পারবে ব্যাংকগুলো। গতকাল বৃহস্পতিবার বাংলাদেশ ব্যাংকের সঙ্গে চুক্তি সম্পন্ন করেছে সংকটে থাকা পাঁচ ব্যাংক। এখন অতিরিক্ত তারল্য থাকা ব্যাংককে রাজি করাতে পারলেই টাকা পেতে সমস্যা নেই। বাংলাদেশ ব্যাংক এবং সংশ্লিষ্ট সূত্র এ তথ্য নিশ্চিত করেছে।

জানা গেছে, আমানত বা প্লেসমেন্ট হিসেবে দুর্বল ব্যাংকে এ অর্থ রাখবে ভালো ব্যাংক। এর জন্য ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদে সিদ্ধান্ত নিয়ে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সঙ্গে চুক্তি করেছে বেসরকারি খাতের ন্যাশনাল, সোশ্যাল ইসলামী, ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী, ইউনিয়ন ও গ্লোবাল ইসলামী ব্যাংক। এখন চুক্তিপত্রের বিপরীতে এসব ব্যাংক নির্ধারিত মেয়াদে বিশেষ ধার পাবে। তবে সবল ব্যাংককে রাজি করাতে হবে। তখন ওই ব্যাংক কেন্দ্রীয় ব্যাংকের গ্যারান্টি সাপেক্ষে ঋণ দেবে।

কেন্দ্রীয় ব্যাংক সূত্র জানায়, প্রাথমিকভাবে চুক্তি সইয়ের ব্যাপারে বৃহস্পতিবার কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সম্মতি জানিয়ে পাঁচ ব্যাংককে চিঠি দেওয়া হয়। এরপর কেন্দ্রীয় ব্যাংকের চাওয়া কাগজপত্র জমা দিয়ে চুক্তি সম্পন্ন করে ব্যাংকগুলো।

এ বিষয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র হুসনে আরা শিখা বলেন, পাঁচটি ব্যাংকের সঙ্গে বাংলাদেশ ব্যাংকের চুক্তি হয়ে গেছে। এখন সংশ্লিষ্ট ব্যাংকের ওপর নির্ভর করবে তারা কবে নাগাদ অর্থ নিতে পারবে বা দেবে।

কবে নাগাদ টাকা পাওয়া যাবে জানতে চাইলে ইউনিয়ন ব্যাংকের চেয়ারম্যান ফরিদউদ্দীন আহমদ বলেন, বাংলাদেশ ব্যাংকের চাওয়া সব কাগজপত্র আমরা জমা দিয়েছি। কেউ দিতে রাজি হলে রোববারই পাব।

৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে শেখ হাসিনার সরকারের পতন হলে ব্যাংকগুলোর পরিচালনা পর্ষদ ভেঙে পুনর্গঠন করা হয়। ১১টি ব্যাংকের পর্ষদ পুনর্গঠন করে দিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। এর মধ্যে ৮ ব্যাংক এস আলমের দখলে ছিল।

বাংলাদেশ ব্যাংকের কর্মকর্তারা জানান, বাংলাদেশ ব্যাংক ধার দেওয়া মানে সরাসরি টাকা ছাপানোর মতো। এতে মুদ্রা সরবরাহ বেড়ে মূল্যস্ফীতির ওপর চাপ পড়ে, যে কারণে কেন্দ্রীয় ব্যাংক সরাসরি টাকা না দিয়ে অন্য ব্যাংক থেকে ধারের ব্যবস্থা করছে। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের গ্যারান্টির মানে হলো, কোনো কারণে এসব ব্যাংক ব্যর্থ হলে কেন্দ্রীয় ব্যাংক ওই টাকা দেবে।

জানা যায়, নগদ টাকার সংকট মেটাতে বিশেষ ধার চেয়ে আরও আবেদন করেছে—ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ, পদ্মা ও এক্সিম ব্যাংক। ৩ আগস্ট এক্সিম ব্যাংককে তিন মাসের জন্য ১ হাজার কোটি টাকা বিশেষ ধার দেয় কেন্দ্রীয় ব্যাংক। এই ব্যাংককে এখনই টাকা দেওয়া হচ্ছে না। ইসলামী ব্যাংকের নগদ প্রবাহ ভালো থাকায় আপাতত বিশেষ ধার না দেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছে। পদ্মা ব্যাংকের বিষয়ে সিদ্ধান্ত হয়নি।

সংশ্লিষ্টরা জানান, বাংলাদেশ ব্যাংক যে ১১ ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদ পুনর্গঠন করেছে, এগুলোসহ কয়েকটি থেকে টাকা তোলার ব্যাপক চাপ তৈরি হয়েছে। এ কারণে কিছু ব্যাংক চরম সংকটে পড়ছে।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন
  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

রিয়াল ও ব্রাজিলের জন্য বড় দুঃসংবাদ

ইসির নিবন্ধন পেল ৮১ দেশীয় পর্যবেক্ষক সংস্থা

অপহৃত ৪ জেলে উদ্ধার, অস্ত্র-গোলাবারুদ জব্দ

মাছ-দুধ একসঙ্গে বা পরপর খেলে কি সত্যিই ক্ষতি হয়? জানুন

বাউল শিল্পী আবুল সরকারের জামিন নামঞ্জুর

দলের নেতাকর্মীদের সতর্ক থাকার আহ্বান তারেক রহমানের

রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম সমাবর্তন স্থগিত 

আরএনবির শীর্ষ দুই পদে ‘সমঝোতার’ রদবদল!

লন্ডনে পাঠানোর নামে প্রতারণা, স্বামী-স্ত্রী গ্রেপ্তার

আইসিসি থেকে শাস্তি পেল ভারতীয় ক্রিকেট দল

১০

চোখ দেখেই বোঝা যায় থাইরয়েডের সমস্যা, যে লক্ষণ দেখলেই সতর্ক হবেন

১১

সুপেয় পানির তীব্র সংকটে চরআতাউরের বাসিন্দারা

১২

ঢাকার ‘৭ কলেজ’ নিয়ে ব্যাখ্যা দিল শিক্ষা মন্ত্রণালয়

১৩

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় বিশেষ বৃত্তি নীতিমালা ২০২৫ অনুমোদিত

১৪

রাশিয়ার হুমকি মোকাবিলায় যুক্তরাজ্যের নতুন কৌশল উন্মোচন

১৫

অস্ট্রেলিয়া সফরে নতুন টেস্ট ভেন্যুর স্বাদ পেতে যাচ্ছে বাংলাদেশ

১৬

কারখানার বিপুল আইসক্রিম ধ্বংস, ৭০ হাজার টাকা জরিমানা

১৭

বিএনপিতে কোনো সন্ত্রাসী-নেশাগ্রস্ত লোকের জায়গায় নেই : শেখ আব্দুল্লাহ

১৮

আমাদের চ্যালেঞ্জ নিজেদেরই মোকাবিলা করতে হবে : চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসক

১৯

নিজ দল বিলুপ্ত করে বিএনপিতে সেলিম, পেলেন মনোনয়ন

২০
X