

বরিশালে একটি আইসক্রিম তৈরির কারখানা ও একটি দই-মিষ্টির দোকানে অভিযান পরিচালনা করেছে জেলা প্রশাসন। এ সময় কারখানার মধ্যে শৌচাগার, মানহীন ও বিষাক্ত রঙ মিশ্রিত খাবার বিক্রির অপরাধে দুটি প্রতিষ্ঠানকে ৭০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি বিভিন্ন প্রকারের প্রায় আট হাজার পিস আইসক্রিম ধ্বংস করেছে ভ্রাম্যমাণ আদালত।
সোমবার (০৮ ডিসেম্বর) দুপুর ১২টা থেকে বিকেল ৩টা পর্যন্ত জেলা প্রশাসন ও বিএসটিআই যৌথভাবে এ অভিযান পরিচালনা করে।
জাতীয় গোয়েন্দা সংস্থা এনএসআই বরিশাল কার্যালয়ের তথ্যের ভিত্তিতে নগরীর সরকারি সৈয়দ হাতেম আলী কলেজ এলাকা এবং নিউ সদর রোড এলাকায় এ অভিযান চলে।
অভিযানের নেতৃত্ব এবং মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করেন বরিশাল জেলা প্রশাসনের সহকারী কমিশনার ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মুহাম্মদ শাফিনুর রহমান আকন্দ।
বরিশাল জেলা এনএসআই সূত্র জানিয়েছে, তাদের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী দুপুর ১২টার দিকে নগরীর চৌমাথা সরকারি সৈয়দ হাতেম আলী কলেজের বিপরীতে মুসলিম পাড়ায় অর্পিতা গৌরনদী মিষ্টান্ন ভাণ্ডারের কারখানায় অভিযান পরিচালনা করে ভ্রাম্যমাণ আদালত।
এ সময় কারখানায় মানহীন ও বিষাক্ত রঙ মিশ্রিত মিষ্টি তৈরি এবং কারখানার মধ্যেই শৌচাগার খুঁজে পান তারা। এসব অপরাধে প্রতিষ্ঠানটিকে ৬০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড এবং তাৎক্ষণিকভাবে তা আদায় করা হয়।
এ ছাড়া দুপুর ২টার দিকে নগরীর ৬ নম্বর ওয়ার্ডে নিউ সদর রোড এলাকায় মারুফ সুপার স্পেশাল নামক আইসক্রিম তৈরির কারখানায় অভিযান পরিচালনা করেন জেলা প্রশাসন ও বিএসটিআই টিম। এ সময় অনুমোদনহীন ও বিষাক্ত রং মিশ্রিত আইসক্রিম তৈরির অপরাধে প্রতিষ্ঠানটিকে ১০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড ও প্রায় ৮ হাজার পিস আইসক্রিম ধ্বংস করে।
এনএসআই জানিয়েছে, তারা ভেজাল খাদ্যের বিরুদ্ধে অভিযানের অংশ হিসেবে দীর্ঘদিন ধরে অভিযুক্ত দুটি কারখানায় গোপন নজরদারি অব্যাহত রাখে। ক্রেতার ছদ্মবেশ ধারণ করে পণ্য ক্রয় করেন। পরবর্তীতে যাচাই-বাছাইয়ের মাধ্যমে খাবারের নিম্ন মান ও কাপড়ের রঙ মিশ্রণের বিষয়টি নিশ্চিত হলে জেলা প্রশাসন ও বিএসটিআইয়ের মাধ্যমে অভিযানটি পরিচালনা করে।
মন্তব্য করুন