মুফতি আরিফ খান সাদ
প্রকাশ : ২৮ মার্চ ২০২৫, ১২:০০ এএম
আপডেট : ২৮ মার্চ ২০২৫, ০৮:০০ এএম
প্রিন্ট সংস্করণ

আজ জুমাতুল বিদা

আজ জুমাতুল বিদা

আজ পবিত্র মাহে রমজানের বিদায়ী জুমা, আরবিতে ‘জুমাতুল বিদা’। মাহে রমজানকে বিদায় জানানোর সম্ভাষণ এ পবিত্র জুমাটি আমাদের দেশে ও সারা বিশ্বে জুমাতুল বিদা হিসেবে পরিচিত। জুমাতুল বিদা অর্থ মহিমান্বিত, ফজিলতময় মাহে রমজানের শেষ জুমা। পবিত্র কোরআন ও হাদিসের দৃষ্টিতে জুমার দিনের অনেক ফজিলত রয়েছে। কোরআনুল কারিমে আল্লাহতায়ালা ‘জুমা’ নামে স্বতন্ত্র একটি সুরা নাজিল করেছেন, যা পবিত্র কোরআনের ২৮ নম্বর পারায় বাষট্টি নম্বর সিরিয়ালে অবস্থিত। এখানে আল্লাহতায়ালা জুমা সম্পর্কে বিশেষ আলোচনা করেছেন। অনুরূপভাবে রাসুলে করিম (সা.) হাদিস শরিফে জুমার দিনকে ‘সাইয়্যেদুল আইয়াম’ হিসেবে আখ্যায়িত করেছেন। সাইয়্যেদুল আইয়াম অর্থ হচ্ছে মাসের দিনগুলোর সর্বশ্রেষ্ঠ ও সর্বোত্তম দিন।

এ জুমার দিনটা যখন রমজানুল মোবারকে হয় এবং রমজানের শেষ জুমা হয়, তখন অবশ্যই এর গুরুত্ব, ফজিলত আরও বেশি বৃদ্ধি পায়। একে তো হচ্ছে জুমাতুল বিদা মাহে রমজানে, দ্বিতীয়ত তা হচ্ছে রমজানের শেষ দশকে, যার রয়েছে অনন্য ফজিলত। তাই বিদায়ী জুমার আলাদা গুরুত্ব ও তাৎপর্য বহন করে। শেষ জুমা বা বিদায়ী জুমা একদিকে আমাদের জন্য আনন্দের, কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপনের। আল্লাহতায়ালা মেহেরবানি করে এত বড় মেহমান, এত বড় সম্মানিত মাস আমাদের দান করেছেন, তারই তাওফিক ও দয়ায় আমরা সে মাসের শেষ পর্যায়ে উপনীত হতে পেরেছি। সেই সঙ্গে বিদায়ী জুমা আমাদের জন্য অত্যন্ত ব্যথা, কষ্ট ও বিরহেরও বটে।

রমজানের শেষ জুমা আমাদের মুহাসাবা তথা আত্মমূল্যায়নের দিন। কারণ, রমজান হলো রহমত, মাগফিরাত ও নাজাতের মাস। রমজান রাসুল (সা.)-এর ভাষ্য অনুযায়ী সহমর্মিতা ও সবরের মাস। রমজানের এই গুণ ও বৈশিষ্ট্যগুলো আমরা কতটুকু অর্জন করতে পেরেছি। বিদায়ী জুমায় এসে আমার জন্য যা করণীয় আছে, তন্মধ্যে অন্যতম করণীয় হচ্ছে এ মুহাসাবা তথা আত্মমূল্যায়ন করা। নিজেদের আমলের হিসাব আমরা নিজেরা গ্রহণ করব। কেননা হজরত আবু ইয়ালা শাদ্দাদ ইবন আওস (রা.) থেকে বর্ণিত, নবী করিম (সা.) ইরশাদ করেছেন, ‘বুদ্ধিমান সে ব্যক্তি, যে তার নফসের প্রবৃত্তির হিসাব গ্রহণ তথা আত্মপর্যালোচনা করে এবং মৃত্যু-পরবর্তী জীবনের জন্য (নেক) কাজ করে। আর দুর্বল সে ব্যক্তি, যে স্বীয় নফসের কু-প্রবৃত্তির অনুসরণ করে, আবার আল্লাহর কাছেও (ভালো কিছু প্রাপ্তির) আকাঙ্ক্ষা পোষণ করে।’ (তিরমিজি : ২৪৫৯; মুজামুল কাবীর : ৬৯৯৫)

তাই রমজানের এই শেষ দিকে এসে আমাদের উচিত আমরা নিজেদের হিসাব গ্রহণ করব, পেয়ারে হাবিবের শানে দুরুদ পাঠ করব, সুরা কাহফ তেলাওয়াত করব। সেই সঙ্গে লাইলাতুল কদরের প্রতিও বেশি গুরুত্বশীল হবো। আল্লাহতায়ালা আমাদের সবাইকে বিদায়ী জুমার বিশেষ গুরুত্ব অনুধাবন করে রমজানের পূর্ণ ফজিলত লাভ করার তাওফিক দান করুন।

লেখক: মুহাদ্দিস ও ইসলামী চিন্তাবিদ

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

জুলাই জাতীয় সনদ স্বাক্ষর অনুষ্ঠান পেছাল 

জাতপাত বিলোপ জোটের আত্মপ্রকাশ

সমাবেশের অনুমতি ছিল না, জানালেন জাপা মহাসচিব

চাকসুতে শিবির সমর্থিত প্যানেলের বিরুদ্ধে ফের আচরণবিধি লঙ্ঘনের অভিযোগ

যে শহরে ২ ঘণ্টার বেশি ফোন ব্যবহার মানা

বিপিএলে দেখা যেতে পারে নোয়াখালী দল

‘শিশুদের নোবেল’ পুরস্কারে জন্য মনোনীত রাজশাহীর মুনাজিয়া

তরুণ প্রজন্মই আগামীর বাংলাদেশ : শরীফ উদ্দিন জুয়েল

ঘর আর নেই, তবু ঘরে ফিরছে গাজাবাসী

বাসায় বানিয়ে ফেলুন চকোলেট-কফির মজাদার মোকা কেক

১০

লালবাগ কেল্লায় গ্রুপ মেডিটেশন ও ইয়োগার আয়োজন

১১

ট্রফি না দেওয়ায় নকভির চাকরি খেতে চায় বিসিসিআই

১২

গুম হওয়ার লোমহর্ষক বর্ণনা দিলেন সালাহউদ্দিন আহমদ

১৩

আকিজ বেকার্স লিমিটেডের বার্ষিক সেলস কনফারেন্স উদযাপন

১৪

তারেক রহমান ক্ষমতায় গেলে ফ্যামিলি কার্ড করবেন : মাহবুবুর রহমান 

১৫

আন্তর্জাতিক কন্যাশিশু দিবসে তারেক রহমানের বার্তা

১৬

স্মার্টফোনের গুরুত্বপূর্ণ তথ্য রক্ষায় মানুন এই ৫ নিরাপত্তা টিপস

১৭

নারীর মর্যাদা ও ক্ষমতায়নই হবে আগামীর বাংলাদেশের শক্তি : মীর হেলাল

১৮

বাদীর জিম্মায় জামিন পেলেন ছাত্রদল নেতা শাওন

১৯

দেবকে নিয়ে শুভশ্রীকে যা বললেন শান

২০
X