কবরের পাশে আপনাকে কোনো খাবার খেতে বা পানীয় পান করতে বলা হলে প্রতিক্রিয়া কী হবে? এমন প্রশ্নে হতবাক হবেন বা অস্বস্তি কাজ করবে—এটাই স্বাভাবিক। কিন্তু ভারতের গুজরাটের আহমেদাবাদে রয়েছে এমন এক চায়ের দোকান, যার মধ্যে আছে মানুষের কবর। অবাক করা তথ্য হলো, এ দোকানে এসব কবরের পাশেই নির্দ্বিধায় চা পান, খাবার খাওয়া চলছে ৭২ বছর ধরে।
আহমেদাবাদের লাল দরওয়াজা এলাকায় দোকানটির অবস্থান। এর নাম লাকি টি স্টল। এখানে নাকি প্রায়ই আসতেন বিখ্যাত চিত্রশিল্পী মকবুল ফিদা হুসেন। গত এপ্রিলে দোকানটির ইন্টেরিয়র নিয়ে একটি ভিডিও ইনস্টাগ্রামে পোস্ট করেন এক ফুড ভ্লগার। ওই পোস্টে দোকানের সংক্ষিপ্ত একটি ইতিহাসও যুক্ত করা হয়।
এতে লেখা হয়, রেস্তোরাঁ মালিক কৃষ্ণান কুট্টি জায়গাটি কেনার সময় জানতেন না সেখানে কবর রয়েছে। তবে জানার পরও তিনি সেখানে রেস্তোরাঁ বানানোর পরিকল্পনা থেকে সরে আসেননি। কবরগুলোও সরানো হয়নি জায়গা থেকে, ঘিরে রাখা হয় লোহার বেষ্টনী দিয়ে। কবরের চারপাশে তৈরি করা হয় বসার জায়গা। প্রতিদিন সকালে কবরগুলো পরিষ্কার করা হয় এবং দেওয়া হয় ফুল। ধীরে ধীরে দোকানটি শহরে সময় কাটানোর জন্য জনপ্রিয় গন্তব্য হয়ে উঠেছে।
ভিডিও শেয়ার করার পর থেকেই নেটিজেনরা বিষয়টি নিয়ে নেতিবাচক প্রতিক্রিয়া দেখিয়েছেন। একজন লিখেছেন, আমি ওই জায়গায় অনেকবার গিয়েছি। এটা অন্য রেস্তোরাঁর মতোই। কেউ সেখানে কবরগুলো দেখেও না। অন্যজন লিখেছেন, মৃতদের সম্মান দেখানোর পন্থা এমন নয়। সূত্র: এবিপি লাইভ
মন্তব্য করুন