নির্বাচন নিয়ে ‘অশোভন’ মন্তব্য করায় বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরকে ক্ষমা চেয়ে বক্তব্য প্রত্যাহার করতে বলেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। গতকাল বৃহস্পতিবার বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউয়ে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে কৃষক লীগের আলোচনা সভায় তিনি এ কথা বলেন।
গত বুধবার চট্টগ্রামের কাজীর দেউড়িতে বিএনপির মহাসচিব বলেন, আমেরিকার স্যাংশনে আওয়ামী লীগের হাঁটু কাঁপতে শুরু করেছে। এবার যদি কুত্তা মার্কা নির্বাচন করো (শেখ হাসিনা), তোমার রেহাই নেই। এর আগে ২০১৪ সালে নীলফামারীতে বিএনপির সম্মেলনে ৫ জানুয়ারির নির্বাচনকে ‘কুত্তা মার্কা’ নির্বাচন বলে আখ্যায়িত করেছিলেন মির্জা ফখরুল। তিনি বলেছিলেন, ওই নির্বাচনে ভোটার ছিল না, কুকুর-বিড়াল ছিল। এ কারণে এর কোনো গ্রহণযোগ্যতা নেই।
এসব বক্তব্যের জবাবে গতকাল ওবায়দুল কাদের বলেন, বিএনপি মহাসচিবের কী বিশ্রী মন্তব্য! বিষাক্ত কথা! কী করে বের হয়! দেশের সুষ্ঠু নির্বাচনকে বলে কুত্তা মার্কা নির্বাচন। তিনি কি গাজীপুর, বরিশাল, খুলনা, কক্সবাজারের নির্বাচন দেখেননি? সুষ্ঠু নির্বাচনকে বিএনপি বলে কুত্তা মার্কা নির্বাচন। এ শব্দ ব্যবহার করার পর মার্কিন ভিসা নীতি কী করবে? এটা তো সুষ্ঠু নির্বাচনে বাধা।
বিএনপি চট্টগ্রামে বঙ্গবন্ধুর ছবি ভাঙচুরের সম্পর্কে ওবায়দুল কাদের বলেন, আজ যারা বিদেশ থেকে কথা বলছেন, এই ঘটনায় তারা কী ব্যবস্থা নিচ্ছেন? এটা কি সুষ্ঠু নির্বাচনে অন্তরায় নয়? এটা কারা করেছে—বিএনপি ও তার দোসররা। চট্টগ্রামে বঙ্গবন্ধুর ছবি ভাঙচুরকারীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করে ওবায়দুল
কাদের বলেন, বঙ্গবন্ধুর ছবি ভাঙচুর করবে, গ্রেপ্তার করা হলে বলবে মানবাধিকার লঙ্ঘন হচ্ছে!
তিনি বলেন, বিএনপি উপর্যুপরি আন্দোলনে ব্যর্থ হওয়ায় জাফরুল্লাহ চৌধুরী বলেছিলেন হাঁটুভাঙা দল। আমাদের হাঁটু ভাঙেনি। নির্বাচনে হেরে যাওয়ার ভয়ে বিএনপির হাঁটুর কাঁপুনি শুরু হয়েছে। আওয়ামী লীগ কাউকে ভয় পায় না, আমাদের ইমানের শক্তি আছে, দেশপ্রেম আছে। আওয়ামী লীগের শক্তির উৎস দেশের জনগণ।
বাংলাদেশের নির্বাচন নিয়ে শুধু বাংলাদেশে নয়, বাংলাদেশের বাইরে থেকেও খেলা চলছে, চক্রান্ত চলছে দাবি করে ওবায়দুল কাদের বলেন, কোটি কোটি টাকা দিয়ে লবিস্ট নিয়োগ করছে বিএনপি। ক্ষমতায় না থাকলেও তাদের সে অর্থ আছে। লবিস্ট নিয়োগ করে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করছে। ইউরোপীয় পার্লামেন্টের ছয় সদস্য এবং যুক্তরাষ্ট্রের ছয় কংগ্রেসম্যানের চিঠিতে বলা হচ্ছে—বাংলাদেশে মানবাধিকার লঙ্ঘন হচ্ছে, সুষ্ঠু নির্বাচন নিশ্চিত করতে হবে। দেশটা আমাদের, মাথাব্যথা তাদের।
কৃষক লীগের সভাপতি সমীর চন্দ্র চন্দের সভাপতিত্বে বক্তব্য দেন আওয়ামী লীগের কৃষিবিষয়ক সম্পাদক ফরিদুন্নাহার লাইলী, কৃষক লীগের সাধারণ সম্পাদক উম্মে কুলসুম স্মৃতি প্রমুখ।
মন্তব্য করুন