রবিবার, ০৭ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ২৩ ভাদ্র ১৪৩২
মিঠু দাস জয় ও শহিদুল ইসলাম সাজু, সিলেট
প্রকাশ : ২১ জুলাই ২০২৫, ১২:০০ এএম
আপডেট : ২১ জুলাই ২০২৫, ০৮:৫২ এএম
প্রিন্ট সংস্করণ
জুলাই শহীদ

বিচার দেখে যেতে চান তুরাবের মা

বিচার দেখে যেতে চান তুরাবের মা

দেশব্যাপী চলা ছাত্র-জনতার আন্দোলনে ২০২৪ সালের ১৯ জুলাই সিলেটের বন্দরবাজার এলাকায় পুলিশের গুলিতে মারা যান দৈনিক নয়া দিগন্তের সিলেট ব্যুরো ও দৈনিক জালালাবাদ পত্রিকার স্টাফ রিপোর্টার আবু তাহের মো. তুরাব। ছেলেমেয়েদের মধ্যে সবার ছোট তুরাবকে হারিয়ে অনেকটা প্রাণহীন মা মমতাজ বেগম। ছেলের ছবি বুকে আঁকড়ে ধরে কেঁদে কেঁদে দিন কাটছে তার। শারীরিকভাবে সুস্থ থাকলেও বার্ধক্য তাকে অনেকটাই জেঁকে ধরেছে। যে কারণে তিনি জীবদ্দশায় ছেলে হত্যার বিচার দেখে যেতে চান।

তুরাবের বাড়ি সিলেটের বিয়ানীবাজার পৌর শহরতলির ফতেহপুর গ্রামে। বাবা মরহুম আব্দুর রহিম ছিলেন শিক্ষক। বিয়ানীবাজার প্রেস ক্লাবের সভাপতি হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেছেন তুরাবের বাবা। বাবার পথ ধরেই সাংবাদিকতা পেশায় প্রবেশ তার।

গত ১ জুলাই ছিল শহীদ তুরাবের জন্মদিন। সেদিন তার বাসায় গিয়ে কথা হয় তার মা মমতাজ বেগমের সঙ্গে। কালবেলাকে তিনি বলেন, ‘বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলাকালে আমার ছেলেসহ অনেক মানুষ মারা গেছে। সেসব ঘটনায় জড়িত অপরাধীদের যেন দ্রুত আইনের আওতায় এনে বিচার করা হয়। শেষ জীবনে একটাই চাওয়া, জীবদ্দশায় আমি যেন আমার ছেলে হত্যার বিচার দেখে যেতে পারি।’

তুরাবের ভাই আবুল আহসান মো. আজরফ (জাবুর) বলেন, ‘আমার ভাইয়ের মৃত্যুর ১১ মাস পার হলেও মাত্র দুজন আসামিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। আমরা বিচার প্রক্রিয়া নিয়ে অনেকটা সন্দিহান ছিলাম। প্রথমে মামলাটির তদন্তভার পুলিশের কাছে ছিল। পরবর্তী সময়ে পিবিআই এবং বর্তমান আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে রয়েছে। অপরাধ ট্রাইব্যুনালে মামলাটি হস্তান্তরের পর থেকে আমরা ন্যায়বিচার পাওয়ার ব্যাপারে আশাবাদী।’

তিনি আরও বলেন, ‘আমার ভাই পেশাগত দায়িত্ব পালনকালে পুলিশের গুলিতে নিহত হয়েছে। তুরাবের শরীরে ৯৮টি বুলেটের স্প্লিন্টার পাওয়া গেছে। প্রশাসনের প্রতি অনুরোধ, অনতিবিলম্বে তুরাব হত্যা মামলার সঙ্গে জড়িত সবার দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি হোক।’

তুরাবের স্ত্রী তানিয়া আক্তার যুক্তরাজ্য প্রবাসী। তিনি গত রমজানের আগে সংক্ষিপ্ত সময়ের জন্য দেশে এসেছিলেন। আবুল আহসান মো. আজরফ বলেন, ‘তুরাবের স্ত্রীর সঙ্গে প্রায় প্রতিদিনই আমাদের পরিবারের কারও না কারও সঙ্গে কথা হয়। সে ভালো আছে। তবে বড় ভাই হিসেবে একজন স্বামীহারা বোনকে কী সান্ত্বনা দেব, বুঝে উঠতে পারি না।’

এদিকে ১৯ জুলাই আবু তাহের মো. তুরাবের প্রথম শাহাদাতবার্ষিকী। এদিন সিলেটসহ তুরাবের নিজ উপজেলা বিয়ানীবাজারের সাংবাদিক অঙ্গন থেকে শুরু করে সামাজিক, রাজনৈতিক ও পারিবারিক উদ্যোগে দোয়া মাহফিল ও কবর জিয়ারত করার কর্মসূচি পালন করা হবে বলে জানা গেছে।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

সৌদি আরবে এক সপ্তাহে ২০ হাজারের বেশি প্রবাসী গ্রেপ্তার 

অতিরিক্ত চিন্তা বন্ধ হবে ৬ কৌশলে

নিজ ঘর থেকে স্বামী-স্ত্রীর মরদেহ উদ্ধার

স্বামী নয়, প্রেমিকের সঙ্গে থাকছেন শিল্পা শেঠি!

ট্রাম্পের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে ওয়াশিংটনে হাজারো মানুষের বিক্ষোভ 

টোডা বিলে লাল শাপলার সমাহার

নাসুমকাণ্ডে এবার মুখ খুললেন মুমিনুল

গ্রেপ্তার শত শত কোরিয়ানদের ‘অবৈধ এলিয়েন’ আখ্যা দিলেন ট্রাম্প

পাওনা টাকা দেওয়ার কথা বলে ডেকে নিয়ে ব্যবসায়ীকে কুপিয়ে হত্যা

দেশে কত দামে স্বর্ণ বিক্রি হচ্ছে আজ

১০

কাদের সিদ্দিকীর বাড়ি ভাঙচুরের চেষ্টা

১১

এত উষ্ণ যে আর টিকছে না, ভেতর থেকে ক্ষয়ে যাচ্ছে

১২

জাহ্নবীকে নিয়ে মশকরায় শামিল হয়ে বিপাকে সোনম

১৩

চ্যাটজিপিটি ব্যবহার করে ইংরেজিতে দক্ষ হবেন যেভাবে 

১৪

সীমান্তের শূন্যরেখায় শেষবার মায়ের মুখ দেখলেন মেয়ে 

১৫

চাঁদপুরে কাঠের মসজিদ ঘিরে মুগ্ধতার শেষ নেই দর্শনার্থীদের

১৬

নারী বাইকারদের ইভেন্ট আয়োজন করায় ক্যাফে সিলগালা

১৭

দুই ঘণ্টার বেশি স্মার্টফোন ব্যবহার নয় : জাপানি মেয়র

১৮

উপুড় হয়ে ঘুমান? জানুন এতে শরীরে কী হয়

১৯

যেসব ফল নিয়মিত খেলে কিডনিতে পাথর হওয়ার ঝুঁকি কমে

২০
X