নদীতে সাঁতার কাটতে গিয়ে নিখোঁজ হয় ১৩ বছর বয়সী এক স্কুলছাত্রী। ঘটনার চব্বিশ ঘণ্টা পরও তার কোনো সন্ধান না পেয়ে উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েন সবাই। পরদিন ঘটনাস্থল থেকে সরাসরি সম্প্রচারে নেমেছিলেন এক স্থানীয় সাংবাদিক। কিন্তু লাইভ চলাকালীন হঠাৎই ঘটে এক চাঞ্চল্যকর ঘটনা।
সাংবাদিক পানিতে দাঁড়িয়ে থাকা অবস্থায় তার পা গিয়ে পড়ে নিখোঁজ রাইসার নিথর দেহের ওপর! ভয় পেয়ে তিনি দ্রুত উঠে আসেন পানি থেকে। ঘটনাটি মুহূর্তেই আলোচনার কেন্দ্রে চলে আসে।
ব্রাজিলের উত্তর-পূর্বাঞ্চলের বাকাবাল শহরে ঘটে যাওয়া এ ঘটনা নিয়ে প্রথম প্রতিবেদন করে প্রেস জার্নাল। সাংবাদিক লেনিল্ডো ফ্রাজাও জানান, তিনি নদীর গভীরতা ও দুর্ঘটনাস্থল সরেজমিনে দেখাতে পানিতে নামেন। যখন বুকসমান পানিতে পৌঁছান, হঠাৎ কিছু একটা তার পায়ে লাগে। আতঙ্কিত কণ্ঠে লাইভেই বলেন, ‘কিছু একটা আমার পায়ে লাগল। মনে হচ্ছে কোনো হাত... হতে পারে ওই মেয়েটার... বা হয়তো মাছ।’
সাংবাদিকের এই বক্তব্যের পরই ঘটনাস্থলে পৌঁছে যায় উদ্ধারকারী দল। কিছুক্ষণের মধ্যে ওই স্থান থেকেই উদ্ধার করা হয় রাইসার মরদেহ। ময়নাতদন্তে জানা যায়, রাইসার মৃত্যু হয়েছে পানিতে ডুবে যাওয়ার কারণে। তার শরীরে কোনো আঘাতের চিহ্ন ছিল না।
লাইভ প্রতিবেদনের সময় নদীর বিপজ্জনক পরিস্থিতি নিয়েও সতর্ক করে দেন সাংবাদিক ফ্রাজাও। তিনি বলেন, নদীতে প্রবল স্রোত রয়েছে এবং নিচে রয়েছে গর্তের মতো গভীরতা, যা অপ্রস্তুত সাঁতারুদের জন্য হতে পারে প্রাণঘাতী ফাঁদ।
জানা যায়, ঘটনার দিন বন্ধুদের সঙ্গে নদীতে খেলতে নেমে হঠাৎ করেই নিখোঁজ হয়ে যায় রাইসা। তার মৃত্যুর খবরে গভীর শোক নেমে আসে স্থানীয়দের মাঝে। স্কুল কর্তৃপক্ষ তিন দিনের শোক পালনের ঘোষণা করেছে। একইসঙ্গে এলাকাবাসী আলোক প্রজ্বলন ও প্রার্থনার মাধ্যমে এক শোকানুষ্ঠানের আয়োজন করেছে রাইসার স্মরণে।
মন্তব্য করুন