রাজন ভট্টাচার্য
প্রকাশ : ১৮ জানুয়ারি ২০২৪, ০৩:৫১ এএম
আপডেট : ১৮ জানুয়ারি ২০২৪, ০৯:১৪ এএম
প্রিন্ট সংস্করণ
সাক্ষাৎকার

রেলে কোনো ‘কালো বিড়াল’ থাকবে না

মো. জিল্লুল হাকিম
রেলে কোনো ‘কালো বিড়াল’ থাকবে না

বাংলাদেশ রেলওয়ের বছরে গড়ে লোকসান ২ হাজার কোটি টাকা। এমন বাস্তবতায় রেলমন্ত্রী হিসেবে নতুন দায়িত্ব পেয়েছেন মো. জিল্লুল হাকিম। তবে কালবেলাকে তিনি বলেছেন, চেষ্টা করব রেলকে লাভজনক প্রতিষ্ঠানে পরিণত করতে। রেলে দুর্নীতির কোনো ‘কালো বিড়াল’ থাকবে না বলেও অঙ্গীকার করেন তিনি। গতকাল বুধবার রেল মন্ত্রণালয়ের নিজ দপ্তরে কালবেলার সঙ্গে আলাপচারিতায় তিনি এসব কথা বলেন।

মন্ত্রী বলেন, রেল একটি প্রাচীন প্রতিষ্ঠান। নতুন লাইন, ট্রেন, সেতু, অবকাঠামো উন্নয়ন চলমান। এখন সবাই মিলে চেষ্টা করতে হবে রেলে যেন লস (লোকসান) না হয়। আমরা সবাই দেশকে ভালোবাসি। সবার আন্তরিকতায় রেলকে এগিয়ে নিতে হবে। চেষ্টা করব রেলকে লাভজনক প্রতিষ্ঠানে পরিণত করতে। প্রত্যেক কর্মকর্তা-কর্মচারী যদি চান, তাহলে রেলকে লাভজনক করতে সমস্যা হওয়ার কথা নয়। প্রধানমন্ত্রীও রেলকে এগিয়ে নিতে চান।

অন্য এক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী সব জেলায় রেলকে নিয়ে যেতে চান। আমার কাজ হলো প্রধানমন্ত্রীর এই ইচ্ছা পূরণ করা। তিনি বলেন, বাংলাদেশ রেলওয়ে ও রেল মন্ত্রণালয়ের সবার প্রতি আবেদন থাকবে সবাই মিলে চেষ্টা করলে রেল দুর্নীতি মুক্ত হবে। রেলের বহুল আলোচিত কালো বিড়াল দূর করতে সব উদ্যোগ নেওয়া হবে।

দুর্নীতির বিষয়ে কোনো ছাড় না দেওয়ার কথা জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, দায়িত্ব নিয়েই আমি রেলের সবার সঙ্গে বৈঠক করেছি। প্রথম দিনেই বার্তা দিয়েছি দুর্নীতি করলে কোনো ছাড় দেওয়া হবে না। দুর্নীতির মূল উৎপাটন করতে হবে। মূল কথা হলো দুর্নীতি করলে কোনো ছাড় নয়, এটিই বড় বার্তা। কারও কোনো অবহেলাও সহ্য করা হবে না। সবাইকে সঠিকভাবে দায়িত্ব পালন করতে হবে।

রেলের দখল হওয়া জমি উদ্ধারের চ্যালেঞ্জ নিয়ে কাজ করার কথা জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, দখল হওয়া জমি উদ্ধারে সব জায়গায় শক্তিশালী সিন্ডিকেট রয়েছে। সিন্ডিকেশন ওভারকাম করতে হবে। এজন্য আন্তরিকভাবে কাজ করব। রেলের উন্নতির জন্য সামনের প্রতিটি দিনই চ্যালেঞ্জ হিসেবে দেখার কথা জানিয়ে তিনি বলেন, চ্যালেঞ্জ নিতেই দায়িত্ব নিয়েছি। এজন্য সবার সহযোগিতা চাই।

ট্রেনের টিকিট সংকটের বিষয়টি সমাধানের চেষ্টা করা হবে জানিয়ে নবনিযুক্ত রেলমন্ত্রী বলেন, উন্নত টিকিটিং ব্যবস্থা যদি থাকে, সে বিষয়টি বাস্তবায়নের চিন্তা করব। যদিও ট্রেনের টিকিটের চাহিদা অনেক বেশি। সবাইকে টিকিট দেওয়া সম্ভব হয় না।

আরেক প্রশ্নের জবাবে জিল্লুল হাকিম বলেন, এলাকাভিত্তিক কোনো উন্নয়ন নয়। যেখানে প্রয়োজন সেখানে ট্রেন বাড়ানো হবে; প্রকল্প হবে। সব মিলিয়ে আমি আশাবাদী রেলে আরও গতি ফিরবে।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন
  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

আজ থেকে নতুন দামে স্বর্ণ বিক্রি শুরু, ভরি কত

আফগানমন্ত্রীর ভারত সফর ঘিরে কৌতূহল

বাংলাদেশের উন্নয়নে প্রধান সমস্যা সন্ত্রাস ও দুর্নীতি : রহমাতুল্লাহ

বায়ুদূষণের শীর্ষে দিল্লি, ঢাকার অবস্থান কত

আজ বিশ্ব শিক্ষক দিবস

প্রকৃতির অলংকার অনিন্দ্যসুন্দর সাতডোরা 

৫ অক্টোবর : কী ঘটেছিল ইতিহাসের এই দিনে

পুলিশের ওপর হামলা করে আ.লীগ নেতাকে ছিনিয়ে নিলেন স্বজনরা

গাজা থেকে সেনা প্রত্যাহারে রাজি ইসরায়েল : ট্রাম্প

রূপায়ণ গ্রুপে চাকরির সুযোগ, পাবেন একাধিক সুবিধা

১০

প্রেমিকার উপস্থিতিতে প্রেমিকের কাণ্ড

১১

রাজধানীতে আজ কোথায় কী

১২

বাংলাদেশের ম্যাচসহ টিভিতে আজকের যত খেলা

১৩

ঢাকায় কখন হতে পারে বজ্রবৃষ্টি, জানাল আবহাওয়া অফিস

১৪

রোববার রাজধানীর যেসব মার্কেট বন্ধ

১৫

৫ অক্টোবর : আজকের নামাজের সময়সূচি

১৬

মহাসড়কে গাড়ি থামিয়ে ডাকাতি, ক্লু পাচ্ছে না পুলিশ

১৭

পাতানো জালে আটকা নিখোঁজ বৃদ্ধের লাশ

১৮

ভারত বাংলাদেশে রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা চায় না : মুশফিকুর রহমান

১৯

সিলেটে যানজট মোকাবিলায় এনসিপির ২৭ প্রস্তাবনা

২০
X