প্রায় তিন বছর ধরে আফছানা আক্তারের সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক ছিল সৈকত সরকারের। সম্পর্কের শুরুর সময়টা ভালো কাটলেও তাদের সম্পর্ক মেনে নেয়নি দুই পরিবার। তবে সৈকতকে বিয়ের জন্য চাপ দিচ্ছিলেন আফছানা। সেই চাপে দিশেহারা হয়ে শেষ পর্যন্ত নিজ হাতে প্রেমিকাকে খুন করেন তিনি। গতকাল শনিবার দুপুরে পুরান ঢাকার সূত্রাপুরের সিংটোলায় নিজ বাসায় এ হত্যাকাণ্ড ঘটান সৈকত। নিহত আফছানা শেখ বোরহান উদ্দিন পোস্ট গ্র্যাজুয়েট কলেজের উচ্চ মাধ্যমিকের ছাত্রী ছিলেন। আর সৈকত উদয়ন কলেজের উচ্চ মাধ্যমিকের ছাত্র। হত্যার পর পুলিশ তাকে আটক করে। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে হত্যার কথা স্বীকার করেছেন তিনি। সূত্রাপুর থানার ওসি মো. মইনুল ইসলাম বলেন, আফছানা প্রায়ই সৈকতের বাসায় যেতেন। গতকাল সকালেও তিনি ওই বাসায় যান। তখন সৈকতের মা কর্মস্থলে ছিলেন। সেখানে বিয়ে নিয়ে দুজনের ঝগড়া হলে এক পর্যায়ে আফছানার গলা চেপে ধরেন সৈকত। এতেই মৃত্যু হয় আফছানার। ওই থানার পরিদর্শক (অপারেশন্স)
অহিদুল হক মামুন বলেন, জিজ্ঞাসাবাদে খুনের কথা স্বীকার করেছেন সৈকত। বলেছেন, বিয়ের জন্য আফছানা তাকে চাপ দিচ্ছিল। কিন্তু দুই পরিবার তা মেনে নিচ্ছিল না। এর পরও তাকে বিয়ের জন্য চাপ দেওয়া হয়। এতে ক্ষুব্ধ হয়ে তিনি আফছানার গলা টিপে ধরেছিলেন। এ কর্মকর্তা বলেন, সৈকতের বক্তব্য যাচাই করা হচ্ছে। ওই তরুণ-তরুণী দুজন দুই ধর্মের। এতে পরিবার সম্পর্কটা মেনে নিচ্ছিল না। তা ছাড়া তাদের বয়সও তুলনামূলক কম। ওই বাসা থেকে আফছানার মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ মর্গে পাঠানো হয়েছে।
মন্তব্য করুন