ঝলমলে চুল কার না চাই? তাই একটু চুল পড়লে কিংবা রুক্ষ, শুষ্ক হলে যেন ঘুম নষ্ট হয়ে যায় অনেকের। কিন্তু ব্যস্ততা ভরা জীবনে চুলের খেয়াল আসলে কয়জন রাখতে পারে। সঙ্গে ধুলাবালু, অস্বাস্থ্যকর খ্যাদাভ্যাস সব মিলিয়ে চুল ধীরে ধীরে প্রাণ হারাতে থাকে। এ ছাড়া বর্ষা মৌসুমে এমনিতে অধিকাংশেরই চুল পড়ে। সেই সমস্যা নিরাময়ে তেল মাখার ওপর অনেকেই গুরুত্ব দেন। কিন্তু সপ্তাহে কতবার চুলে তেল দেওয়া প্রয়োজন, তা জানা নেই অনেকেরই। চলুন তাহলে দেরি না করে জেনে নিই—
চিকিৎসকদের মতে, চুল পড়া বন্ধ করাই হোক বা মাথার ত্বকের খেয়াল রাখা, এজন্য রক্ত সঞ্চালন ভালো হওয়া প্রয়োজন। সেই কাজে সাহায্য করে তেল। তবে চুল পড়া বন্ধ করতে হলে তেল মাখতে হবে চুল ও মাথার ত্বকের ধরন অনুযায়ী।
চুল খুব রুক্ষ-শুষ্ক হলে সপ্তাহে দুই-তিন দিন তেল মাখা যেতে পারে। কিন্তু যদি চুল বা মাথার ত্বক খুব তৈলাক্ত হয়, সে ক্ষেত্রে সপ্তাহে একবার তেল মাখাই ভালো। তবে শ্যাম্পু করার পরদিনই মাথার ত্বক তেলতেলে হয়ে যায় অনেকের। সে ক্ষেত্রে শ্যাম্পু ও তেলের ব্যবহার সম্পর্কে সচেতন হওয়া প্রয়োজন।
যাদের চুল খুব তেলতেলে বা রুক্ষ নয়, মাথার ত্বক কিংবা চুল নিয়ে কোনো সমস্যা নেই; তারা মাসে এক-দুবার তেল মাখতে পারেন। আবার সপ্তাহে তিন দিন মাখলেও কোনো সমস্যা নেই।
মাথার ত্বক বা চুলের সমস্যা বুঝে তেল মাখুন। যেমন—শুধু চুল পড়ার সমস্যা থাকলে সপ্তাহে দুই থেকে তিন দিন তেল মাখুন। চুলের গোড়া মজবুত করতে কাঠবাদাম, ক্যাস্টর বা নারিকেল তেল হালকা গরম করে মাখুন। মাথায় খুশকির সমস্যা থাকলে নিম তেল মাখতে পারেন। টি ট্রি অয়েল মাখলেও খুশকির সমস্যা কমে। এই তেল সপ্তাহে এক বা দুবার মাখলেই ফল পাবেন। নিয়মিত তেল ব্যবহারে যেসব উপকারিতা পাবেন—
তেল মালিশে স্ক্যাল্পের সুস্বাস্থ্য বজায় থাকে।
চুল পড়া কমে। এক্সফোলিয়েশন হয়।
তেলে উপস্থিত ফ্যাটি অ্যাসিড চুলের উপকার করে। চুলের উজ্জ্বলতা বাড়ে।
মন্তব্য করুন