মহিউদ্দিন খান মোহন
প্রকাশ : ০১ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১২:০০ এএম
আপডেট : ০১ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ০৭:৫৮ এএম
প্রিন্ট সংস্করণ

একটি রাজনৈতিক দলের জন্মকথা

একটি রাজনৈতিক দলের জন্মকথা

ঐতিহাসিক প্রেক্ষাপট বিবেচনায় বিএনপির জন্ম ছিল সময়ের চাহিদা পূরণের নিমিত্তে। ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের মর্মান্তিক মৃত্যু দেশের রাজনীতিতে যে বিশাল শূন্যতার সৃষ্টি করে, তা কীভাবে পূরণ হবে—তা ছিল উদ্বেগ-উৎকণ্ঠার বিষয়। সদ্য স্বাধীন বাংলাদেশে যখন একটি দৃঢ় নেতৃত্ব খুব দরকার ছিল, তখনই ঘটে ১৫ আগস্টের ঘটনা। এটা ঠিক, সে সময় শেখ মুজিবুর রহমানের জনপ্রিয়তা অস্বাভাবিক গতিতে নিম্নগামী ছিল। তার পরও তার পরিবর্তে দেশকে নেতৃত্ব দিতে পারেন, সর্বজন গ্রহণযোগ্য এমন নেতার সন্ধান তখনো ছিল না। তারপর ওই বছরের ৩ নভেম্বর ব্রিগেডিয়ার খালেদ মোশাররফের ব্যর্থ অভ্যুত্থান ও ৭ নভেম্বরের সিপাহি-জনতার বিপ্লব ঘটনার মোড় ঘুরিয়ে দেয়। রাষ্ট্র পরিচালনার পাদপ্রদীপের আলোয় আসেন সেনাপ্রধান জেনারেল জিয়াউর রহমান। বাংলাদেশের মানুষের সঙ্গে পূর্বাহ্ণেই পরিচয় ঘটেছিল তার ১৯৭১ সালের ২৬ মার্চের বিদ্রোহ ও ২৭ মার্চ চট্টগ্রামের কালুরঘাট বেতার কেন্দ্র থেকে মুক্তিযুদ্ধের ঘোষণা দিয়ে। তারপর এক বছরের মাথায় তিনি রাষ্ট্রপতির দায়িত্বভার গ্রহণ করেন। সরকারপ্রধান হয়ে তিনি পুনরায় দেশে বহুদলীয় গণতন্ত্রের প্রতিস্থাপন ও জনগণের প্রতিনিধিদের কাছে রাষ্ট্র পরিচালনার দায়িত্ব অর্পণের প্রতিশ্রুতি ব্যক্ত করেন। তখন দেশবাসী এটা ভেবে স্বস্তি অনুভব করল যে, বাংলাদেশের নেতৃত্বশূন্যতার অবসান হতে চলেছে। ১৯৭৬ সালের জুন মানে দেশে সীমিত আকারে রাজনৈতিক তৎপরতা চালুর জন্য ‘ঘরোয়া রাজনীতি’র অনুমতি দেওয়া হয়। ১৯৭৭ সালের শুরুতে ‘উন্নয়ন-উৎপাদনের ১৯ দফা’ কর্মসূচির ঘোষণা এবং সে কর্মসূচির প্রতি জনসমর্থন যাচাইয়ের জন্য গণভোটের আয়োজন ছিল রাজনীতিশূন্য বাংলাদেশে প্রথম রাজনৈতিক আয়োজন। ১৯৭৭ সালের ৩০ মে অনুষ্ঠিত সে গণভোটে বাংলাদেশের মানুষ বিপুল সমর্থন ব্যক্ত করে রাষ্ট্রপতি জিয়ার প্রতি। এরপর তিনি দেশে পুরোপুরি রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড চালুর উদ্যোগ নেন। ওই বছরের ডিসেম্বর মাসে বঙ্গভবনে দেশের সব রাজনৈতিক দলের শীর্ষ নেতাদের এক গোলটেবিল বৈঠক ডাকেন রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান। সে বৈঠকে ন্যাপ (ভাসানী), আওয়ামী লীগ, কমিউনিস্ট পার্টি, ইউপিপি, ডেমোক্রেটিক লীগ, ন্যাপ (মোজাফ্ফর)সহ সব রাজনৈতিক দলই অংশ নেয়। বৈঠকে দেশে কীভাবে গণতন্ত্রে উত্তরণ ঘটানো যায়, তা নিয়ে সবাই খোলামেলা বক্তব্য দেন। সেখানে ন্যাপ চেয়ারম্যান মশিয়ুর রহমান যাদু মিয়া তার প্রায় পৌনে এক ঘণ্টার বক্তৃতায় গণতন্ত্রায়নের একটি রূপরেখা উপস্থাপন করেন। আর তার ফলেই জিয়াউর রহমানের নজরে পড়েন যাদু মিয়া।

মূলত জিয়াউর রহমান দেশকে গণতান্ত্রিক ভিত্তির ওপর প্রতিষ্ঠা ও আর্থসামাজিক উন্নয়নের জন্য যে রাজনৈতিক কর্মপ্রক্রিয়া শুরু করতে চাচ্ছিলেন, যাদু মিয়ার বক্তৃতায় তিনি সে

পথেরই সন্ধান পান। এরপর থেকেই তাদের মধ্যে যোগাযোগ শুরু হয়। ১৯৭৮ সালের ৪ ফেব্রুয়ারি জিয়াউর রহমানের তত্ত্বাবধানে গঠিত হয় জাতীয়তাবাদী গণতান্ত্রিক দল (জাগদল)। আহ্বায়ক করা হয় তৎকালীন উপরাষ্ট্রপতি বিচারপতি আব্দুস সাত্তারকে। এরপর ঘোষিত হয় রাষ্ট্রপতি নির্বাচন। তারিখ নির্ধারিত হয় ওই বছরের ৩ জুন। সে নির্বাচন ঘিরে দেশে যে রাজনৈতিক মেরূকরণ হয়, তাতেই রোপিত হয় বিএনপির বীজ। সমমনা ছয়টি দল নিয়ে গঠিত হয় ‘জাতীয়তাবাদী ফ্রন্ট’ নামে একটি রাজনৈতিক মোর্চা। এই ফ্রন্টে ছিল ন্যাপ (ভাসানী), জাগদল, ইউপিপি, মুসলিম লীগ, লেবার পার্টি ও তফসিলী জাতি ফেডারেশন। জিয়াউর রহমান এই ফ্রন্টের মনোনীত প্রার্থী হিসেবে রাষ্ট্রপতি পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। অন্যদিকে আওয়ামী লীগের সমমনা কয়েকটি দল সমন্বয়ে গঠিত ‘গণতান্ত্রিক ঐক্য জোট’ থেকে প্রার্থী হন মুক্তিযুদ্ধের সর্বাধিনায়ক জেনারেল (অব.) এমএজি ওসমানী। নির্বাচনে জিয়াউর রহমান প্রায় এক কোটি ভোটের ব্যবধানে জয়ী হন। এরপর তিনি তার মন্ত্রিসভা পুনর্গঠন করেন।

প্রথমে তিনি চেষ্টা করেন জাতীয়তাবাদী ফ্রন্টের অন্তর্ভুক্ত দলগুলোর সমন্বয়ে নতুন দল গঠনের। কিন্তু দু-একজন নেতা তাতে আপত্তি প্রকাশ করে নতুন দলে যোগদানে বিরত থাকেন। তাদের মধ্যে ইউনাইটেড পিপলস পার্টির কাজী জাফর আহমদ অন্যতম। তিনি তখন ছিলেন শিক্ষামন্ত্রী। মন্ত্রী পদে ইস্তফা দিয়ে ফ্রন্ট থেকে বেরিয়ে যান তিনি। তবে তার দলের সভাপতি অবসরপ্রাপ্ত ক্যাপ্টেন আবদুল হালিম চৌধুরী, মোস্তফা জামাল হায়দার নতুন দলে যোগ দেন। অন্যদিকে জিয়াউর রহমানের নতুন দলে ভাসানী ন্যাপ যোগ দেবে কি না, এই ম্যান্ডেট নেওয়ার জন্য ওই বছর ১৪ জুলাই হোটেল ইডেনে দলটির বিশেষ কর্মী সম্মেলন হয়। সেখানে প্রায় সর্বসম্মতভাবেই নতুন দলে যোগদানের বিষয়টি অনুমোদিত হয়।

সব জল্পনা-কল্পনার অবসান ঘটিয়ে অবশেষে ১৯৭৮ সালের ১ সেপ্টেম্বর আত্মপ্রকাশ করে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল-বিএনপি। ওইদিন রাজধানীর রমনা রেস্তোরাঁয় এক জনাকীর্ণ সংবাদ সম্মেলনে রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান বিএনপির আত্মপ্রকাশের ঘোষণা দেন। প্রথমে দলের ১৮ সদস্যের আহ্বায়ক কমিটি ঘোষণা করেন তিনি। সে কমিটির চেয়ারম্যান প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমান স্বয়ং। মহাসচিব ডা. এ কিউ এম বদরুদ্দোজা চৌধুরী। ১৯ সেপ্টেম্বর আগের ১৮ জনসহ ৭৬ সদস্যের কেন্দ্রীয় কমিটি ঘোষণা করা হয়। কেন্দ্রীয় কমিটি গঠনের পর দেশের সর্বত্র শাখা কমিটি গঠনের উদ্যোগ নেওয়া হয়। দ্রুতগতিতে সেটা সম্পন্ন হয়। জিয়াউর রহমানের সততা ও দেশপ্রেমের কথা তখন জনগণের মধ্যে ব্যাপকভাবে প্রচারিত। একজন সৎ ও দেশপ্রেমিক নেতার দলে যোগ দিতে সবার আগ্রহী হওয়াটা ছিল স্বাভাবিক। ফলে দেশব্যাপী নতুন দল বিএনপি সাংগঠনিকভাবে দ্রুত বিস্তার লাভ করতে থাকে।

এরপর আসে দেশের দ্বিতীয় জাতীয় সংসদ নির্বাচন। ১৯৭৯ সালের ১৮ ফেব্রুয়ারি অনুষ্ঠিত সে নির্বাচনে নবগঠিত দল বিএনপি ২৯৮টি আসনের মধ্যে ২০৭টিতে বিজয়ী হয়ে নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জন করে। অন্যদিকে আওয়ামী লীগ ৩৯টি আসন পেয়ে জাতীয় সংসদে প্রধান বিরোধী দলের বেঞ্চে বসে। ওই নির্বাচনে বিএনপির সে ভূমিধস বিজয়ের পেছনে রাষ্ট্রপতি জিয়ার ভাবমূর্তি ছিল প্রধান নিয়ামক। অন্যদিকে আওয়ামী লীগ সম্পর্কে জনমনে যে নেতিবাচক ধারণা শক্তভাবে প্রোথিত হয়েছিল, তাও অন্যতম কারণ হিসেবে কাজ করেছিল। স্বাধীনতার পর রাষ্ট্রক্ষমতায় আসীন হয়ে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা যে দুর্নীতি-লুটপাটের রাজত্ব কায়েম এবং তারই কারণে সৃষ্ট ১৯৭৪ সালের দুর্ভিক্ষে লাখ লাখ মানুষের প্রাণহানি; দেশবাসী তখনো ভুলতে পারেনি। আওয়ামী লীগের এই নেতিবাচক ভাবমূর্তি ভোটের মাঠে বিএনপিকে এগিয়ে দিয়েছিল অনেকটাই।

নির্বাচনে জয়লাভ করার পর যখন জিয়াউর রহমান যখন নতুন কেবিনেট গঠনের প্রক্রিয়া শুরু করেন, সে সময় আকস্মিকভাবে ঘটে শোকাবহ ঘটনা। ৯ মার্চ ব্রেন স্ট্রোকে আক্রান্ত হয়ে ১২ মার্চ ইন্তেকাল করেন মশিয়ুর রহমান যাদু মিয়া। তার মৃত্যু ছিল বিএনপি তথা এ দেশের জাতীয়তাবাদী রাজনীতির জন্য এক অপূরণীয় ক্ষতি। পরে শাহ আজিজুর রহমানকে প্রধানমন্ত্রী করে নতুন কেবিনেট গঠন করেন রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান।

বিএনপির ওপর চরম আঘাত আসে ১৯৮১ সালের ৩০ মে। ওইদিন চট্টগ্রামের সার্কিট হাউসে সশস্ত্র বাহিনীর কতিপয় উচ্ছৃঙ্খল সদস্যের হাতে নিহত হন রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান। শোকে মুহ্যমান হয়ে পড়ে গোটা জাতি। তাদের চোখের সামনে যেন দমকা বাতাসে নিভে যায় জ্বলে ওঠা আশার প্রদীপ। অনেকেরই সংশয় ছিল, জিয়ার অবর্তমানে বিএনপি টিকে থাকবে কি না। কেউ কেউ পাকিস্তানের সামরিক শাসক জেনারেল আইয়ুব খানের মদদে গঠিত কনভেশন মুসলিম লীগের দৃষ্টান্ত দেখিয়ে বিএনপির টিকে থাকা নিয়ে সংশয় প্রকাশ করেছিলেন। কিন্তু সেসব সংশয় মিথ্যে প্রমাণ করে বিএনপি টিকে আছে এবং নানা চড়াই-উতরাই পার হয়ে এগিয়ে যাচ্ছে।

প্রশ্ন আছে জিয়াউর রহমান কেন বিএনপি প্রতিষ্ঠা করেছিলেন? দল না করেই তো তিনি সামরিক শাসন দিয়ে আরও অনেক দিন সরকার চালাতে পারতেন। কিন্তু তিনি ছিলেন একজন খাঁটি দেশপ্রেমিক। সেইসঙ্গে গণতন্ত্রের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। ১৯৭৭ সালের ডিসেম্বর মাসে বঙ্গভবনে রাজনীতিবিদদের গোলটেবিল আলোচনায় এবং পরবর্তী সময়ে আরও অনেকবার তিনি বলেছেন, ‘সামরিক শাসন স্থায়ী কোনো ব্যবস্থা হতে পারে না। তাই যত দ্রুত সম্ভব আমাদের গণতন্ত্রে প্রত্যাবর্তন করতে হবে।’ কথা রেখেছিলেন তিনি। তাই মাত্র সাড়ে তিন বছরের মাথায় দেশে গণতন্ত্র ফিরে এসেছিল।

বিএনপি এখন দেশের সবচেয়ে বড় ও জনপ্রিয় রাজনৈতিক দল। এর মূলে রয়েছে জিয়াউর রহমানের গণমুখী রাজনীতি। তার ১৯ দফা কর্মসূচিতে দেশের আর্থসামাজিক উন্নয়নের যে দিকনির্দেশনা বর্ণনা করা হয়েছে, জনগণ তা সর্বাত্মকভাবে গ্রহণ ও সমর্থন করেছে। শুরুর এ শক্ত ভিত্তিই সেদিনের সদ্য অঙ্কুরিত দলটিকে মহিরুহে পরিণত করেছে। এই মহিরুহকে উপড়ে ফেলতে কম ষড়যন্ত্র হয়নি। বহুবার দলটিকে ভেঙে টুকরো টুকরো করার চেষ্টা করা হয়েছে। কিন্তু তা সফল হতে পারেনি। স্বৈরশাসক এরশাদ, ওয়ান-ইলেভেনের কুচক্রীরা এবং গণতন্ত্রের ছদ্মবেশে ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনার আমলে সে চেষ্টা চলেছে নিরন্তর। দলের ভেতর অন্তর্দ্বন্দ্ব সৃষ্টি করে বিপর্যস্ত করার ষড়যন্ত্রও হয়েছে। নানারকম প্রলোভন দেখিয়ে ভাগিয়ে নেওয়া হয়েছে কিছু নেতাকর্মীকে। কিন্তু বিএনপির এতটুকু ক্ষতি হয়নি। সাময়িক বিপর্যয়ে হয়তো পড়েছে। তবে সব ষড়যন্ত্র মোকাবিলা করে হিমালয় পর্বতের মতো অবিচল দাঁড়িয়ে আছে শহীদ জিয়াউর রহমানের হাতে গড়া দল বিএনপি। কর্মীদের আস্থা ও জনগণের সর্বাত্মক সমর্থন এই দেশপ্রেমিক রাজনৈতিক দলটিকে আরও এগিয়ে নেবে।

লেখক: সাংবাদিক ও কলাম লেখক

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

এনবিআরের সহকারী কমিশনার জান্নাতুল ফেরদৌস বরখাস্ত

সকাল ৯টার মধ্যে বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে যেসব জেলায় 

‘কার্টা ব্লু’ ভিসা নিয়ে বাংলাদেশিদের সতর্ক করল ইতালি

যুক্তরাজ্য বিএনপি নেতা ড. মুজিবের ছেলের বিয়েতে সস্ত্রীক তারেক রহমান 

আফগানিস্তানে ভূমিকম্পে ব্যাপক হতাহত, হেফাজতের শোক ও সহায়তার আহ্বান

দেশের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে নতুন কর্মসূচি দিল ছাত্রদল

বনানীর সেলসিয়াস সিসা লাউঞ্জে পুলিশের অভিযান

অবশেষে মাদক সম্রাজ্ঞী আ.লীগ নেত্রী স্বপ্না আক্তার আটক

সর্বদলীয় বৈঠক শেষে ফেরার পথে জাগপা সভাপতিকে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে জখম

আদাবরে পুলিশের ওপর কিশোর গ্যাংয়ের হামলা

১০

নাটোরে ডা. আমিরুলকে হত্যাকারীদের গ্রেপ্তার ও বিচার দাবি ড্যাবের

১১

গাজীপুরের কমিশনারের দায়িত্ব থেকে সরানো হলো নাজমুল করিমকে

১২

একাত্তরে ভুল করেছেন, এখনো ভুলের রাজনীতিতে আছেন : টুকু

১৩

দুই কিংবদন্তি অলরাউন্ডার সাকিব ও সিকান্দারকে ‘এক’ করলেন জুলফিকার!

১৪

বিএনপিকে এনসিপির শুভেচ্ছা / ‘আমরা তর্কবিতর্ক করব কিন্তু পারস্পরিক সৌহার্দ্য থাকবে’

১৫

পুরো সেপ্টেম্বরের পূর্বাভাস জানাল আবহাওয়া অফিস

১৬

নদীতে জাল ফেলা নিয়ে দ্বন্দ্বে হামলা, জেলের মৃত্যু

১৭

ক্ষমা চাইলেন রিটকারীকে ধর্ষণের হুমকি দেওয়া সেই শিক্ষার্থী

১৮

আহত চবি শিক্ষার্থীদের দেখতে চমেকে শাহজাহান চৌধুরী

১৯

জাঁকজমক আয়োজনে রুয়েটে বিশ্ববিদ্যালয় দিবস উদযাপন

২০
X