আমাদের অনেকের জীবনেই ভাত যেন এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। ছোটবেলা থেকেই দিনে দুই-তিনবার ভাত খাওয়াটা একেবারে স্বাভাবিক। বাংলায় তো কথাই আছে- মাছে-ভাতে বাঙালি! তবে অনেকেই ভাতের বদলে রুটিকেই বেছে নিচ্ছেন—বিশেষ করে স্বাস্থ্য নিয়ে যারা ভাবেন, তাদের মধ্যে এই প্রশ্নটা অনেক সময়ই উঠে আসে- রাতে ভাত খাব, না রুটি?
এই বিষয়টা নিয়ে সম্প্রতি কথা বলেছেন পুষ্টিবিদ কোয়েল পাল চৌধুরী। চলুন জেনে নেওয়া যাক তার মতামত।
ভাত: শুধু কার্ব নয়, পুষ্টিও আছে
অনেকেই ভাবেন, ভাত খেলেই বুঝি ওজন বাড়ে বা ডায়াবেটিসের সমস্যা হয়। কিন্তু আসলে এমন না। ভাতে থাকে ভিটামিন বি, ফোলিক অ্যাসিড, পটাশিয়াম, ম্যাঙ্গানিজ, সেলেনিয়াম, ফাইবার, জিঙ্ক আর আয়রন। তাই নিয়ম মেনে ভাত খেলে শরীর পায় প্রয়োজনীয় পুষ্টি।
রুটি: ভরপুর পুষ্টি আর উপকারিতা
রুটিতেও অনেক পুষ্টিগুণ আছে। এতে থাকে ভিটামিন বি, ই এবং কে, পটাশিয়াম, আয়রন আর সোডিয়াম। যারা ওজন, সুগার বা হজমের সমস্যা নিয়ে ভাবেন, তাদের জন্য রুটি হতে পারে ভালো বিকল্প। এটি খেলে কোষ্ঠকাঠিন্য বা কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে।
পুষ্টিবিদ কোয়েলের মতে, ভাত আর রুটি—দুটোতেই প্রায় একই পরিমাণ ক্যালোরি ও পুষ্টি থাকে। দুটোই কার্বোহাইড্রেট জাতীয় খাবার। তাই একটাকে ভালো আর একটাকে খারাপ বলা যায় না। আপনি যেটা পছন্দ করেন, সেটাই খান—শুধু পরিমাণটা যেন নিয়ন্ত্রণে থাকে।
অনেকেই মনে করেন ডায়াবেটিস হলে রাতে ভাত খাওয়া একেবারে বারণ। কিন্তু কোয়েল পাল চৌধুরী বলছেন, এই ধারণাটা ভুল। ডায়াবেটিস থাকলেও ভাত খাওয়া যায়—তবে কতটুকু খাবেন, সেটা চিকিৎসকের পরামর্শ মতো ঠিক করতে হবে।
তবে, গ্লুটেন অ্যালার্জি থাকলে সাবধান! যাদের গ্লুটেন অ্যালার্জি আছে, তাদের রুটি খেলে গ্যাস বা অ্যাসিডিটির সমস্যা হতে পারে। এই ক্ষেত্রে রুটি বাদ দিয়ে ভাত খাওয়াই ভালো। এমনকি যাদের আইবিএস বা পেটের সমস্যা রয়েছে, তারাও রুটির বদলে ভাত খেতে পারেন।
সূত্র : এই সময় অনলাইন
মন্তব্য করুন