কক্সবাজার প্রতিনিধি
প্রকাশ : ০১ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১১:০৩ পিএম
অনলাইন সংস্করণ

বাঁকখালী নদী উদ্ধারে উচ্ছেদ অভিযান শুরু

বাঁকখালী নদী উদ্ধারে প্রশাসনের উচ্ছেদ অভিযান। ছবি : কালবেলা
বাঁকখালী নদী উদ্ধারে প্রশাসনের উচ্ছেদ অভিযান। ছবি : কালবেলা

কক্সবাজারের এক সময়ের নৌবন্দর ও বাণিজ্যকেন্দ্র বাঁকখালী নদী দখল ও দূষণে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। এবার নদী উদ্ধারে শুরু হয়েছে উচ্ছেদ অভিযান।

সোমবার (১ সেপ্টেম্বর) সদর উপজেলা সহকারী ভূমি কমিশনার শারমিন সুলতানার নেতৃত্বে সেনাবাহিনী, র‍্যাব, পুলিশ, কোস্টগার্ড ও বিআইডব্লিউটিএর যৌথ দল এ অভিযান শুরু করে।

এর আগে ৩১ আগস্ট প্রশাসন মাইকিং করে দখলদারদের সরতে বললে রাতারাতি অনেকে জিনিসপত্র সরিয়ে নেয়।

বাংলাদেশ পরিবেশ আইনবিদ সমিতি (বেলা) দায়ের করা মামলার রায়ে হাইকোর্ট উচ্ছেদ নির্দেশ দিলে এ অভিযান পরিচালনা করা হচ্ছে।

কক্সবাজার শহরের পশ্চিম পাশে কস্তুরাঘাট একসময় প্রধান বাণিজ্যকেন্দ্র ছিল। এখানে ৩০০ একরের বেশি প্যারাবন ধ্বংস করে ও নদী ভরাট করে তৈরি হয়েছে শত শত স্থাপনা। শুধু কস্তুরাঘাট নয়, নুনিয়ারছড়া থেকে মাঝিরঘাট পর্যন্ত প্রায় ছয় কিলোমিটার এলাকায় গড়ে উঠেছে সহস্রাধিক অবৈধ স্থাপনা। আজ থেকে কক্সবাজার জেলা প্রশাসন ও বিআইডব্লিউটিএ যৌথভাবে এগুলো উচ্ছেদে নেমেছে।

বিআইডব্লিউটিএর কক্সবাজার কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক মো. খায়রুজ্জামান বলেন, সব অবৈধ স্থাপনা সরিয়ে নদীর স্বাভাবিক প্রবাহ ফিরিয়ে আনা হবে। তালিকাভুক্ত দখলদারদের মধ্যে আছেন আওয়ামী লীগের নেতা মুজিবুর রহমান, রাশেদুল ইসলাম, পৌর বিএনপি সভাপতি রফিকুল হুদা চৌধুরী ও এবি পার্টির নেতা জাহাঙ্গীর কাশেম। তবে রফিকুল দাবি করেছেন এগুলো তার পৈতৃক সম্পত্তি।

বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি থেকে উৎপন্ন হয়ে ৮১ কিলোমিটার পথ পাড়ি দিয়ে বাঁকখালী নদী বঙ্গোপসাগরে মিশেছে। নুনিয়ারছড়া থেকে মাঝিরঘাট পর্যন্ত অংশে সবচেয়ে বেশি দখল হয়েছে। ২০২৩ সালে এক অভিযানে চার শতাধিক স্থাপনা উচ্ছেদ করা হলেও ফের সেখানে নতুন দখল শুরু হয়।

স্থানীয় পরিবেশকর্মীরা বলছেন, প্রতিদিন কক্সবাজার শহরে ৯৭ টন বর্জ্যের মধ্যে প্রায় ৭০ টনই ফেলা হয় নদীতে, ফলে নদীর বুক ভরে উঠেছে ময়লায়।

কক্সবাজারের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) নিজাম উদ্দিন আহমেদ কালবেলাকে বলেন, হাইকোর্টের নির্দেশে দ্রুততম সময়ে নদী দখলমুক্ত করা হবে এবং পরে সীমানা নির্ধারণ করা হবে। গত ২৪ আগস্ট আদালত নির্দেশ দিয়েছেন, চার মাসের মধ্যে সব স্থাপনা উচ্ছেদ ও ছয় মাসের মধ্যে নদীটিকে প্রতিবেশগত সংকটাপন্ন এলাকা ঘোষণা করতে হবে।

সদর এসিল্যান্ড শারমিন সুলতানা কালবেলাকে জানান, আগামী পাঁচ দিনের মধ্যেই দখলদারদের সরানো হবে এবং নদীকে আগের অবস্থায় ফেরাতে সর্বোচ্চ চেষ্টা করা হবে।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

জুবায়েদ হত্যার পেছনের কারণ জানাল পুলিশ

লোহাগাড়ায় ছাদধসে দিনমজুরের মৃত্যু

জোবায়েদকে খুনের সময় সশরীরে উপস্থিত ছিলেন বর্ষা : পুলিশ

ইংরেজিতে সাবলীল কথা বলার ৭ বাধা ও সমাধান

প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে সন্ধ্যায় সাক্ষাৎ করবে বিএনপির প্রতিনিধিদল

আন্দোলন প্রত্যাহার করলেন এমপিওভুক্ত শিক্ষকরা

আইআরআইয়ের প্রতিনিধিদলের সঙ্গে বৈঠকে বিএনপি

প্রাণসায়ের খাল রক্ষায় যুবসমাজের কর্মপরিকল্পনা ঘোষণা

টস জিতে ব্যাটিংয়ে বাংলাদেশ, দেখে নিন একাদশ

তরুণ গোলরক্ষককে হত্যা, জানা গেল কারণ

১০

১০ টাকায় ইলিশের পর এবার ১ টাকায় গরুর মাংস বিতরণের ঘোষণা

১১

ফেসবুক আইডি বা পেজ হঠাৎ বন্ধ হওয়ার সাধারণ কিছু কারণ

১২

ট্রাম্পের জন্য আধুনিক বলরুম তৈরি হচ্ছে

১৩

এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের বাড়ি ভাড়া আরও বাড়ানোর সিদ্ধান্ত

১৪

বর্ষার ঘটনা অনেকটা মিন্নির কাছাকাছি : ডিএমপি

১৫

তুমি না মরলে আমি মাহীরের হতে পারব না, জোবায়েদকে বর্ষা

১৬

সালমান শাহর মৃত্যুকে হত্যা মামলা হিসেবে গ্রহণের নির্দেশ

১৭

ঢাকায় খেলবে আফগানিস্তান, তবে প্রতিপক্ষ বাংলাদেশ নয়

১৮

জোবায়েদ হত্যায় বর্ষাসহ তিনজনের বিরুদ্ধে মামলা 

১৯

ইমপোর্ট কুরিয়ার সেকশন থেকে আগুনের সূত্রপাত : বেবিচক চেয়ারম্যান

২০
X