ডাকসু নির্বাচনে জিএস পদপ্রার্থী এসএম ফরহাদের প্রার্থিতার বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে আদালতে রিট করা শিক্ষার্থীকে ধর্ষণের হুমকি দেওয়া আলী হোসেন ক্ষমা চেয়েছেন।
সোমবার (০১ সেপ্টেম্বর) রাতে এক ভিডিও বার্তায় ক্ষমা চান তিনি।
এ সময় আলী হোসেন বলেন, আমার বিকালের পোস্টের জন্য সবার কাছে ক্ষমাপ্রার্থী। প্লিজ আমাকে ক্ষমা করে দেবেন। আমি আলী হোসেন, খারাপ ভাষা ব্যবহার করে বিকেলের দিকে একটি পোস্ট দিয়েছি। একজন মানুষের পক্ষে তা সম্ভব না, এরকম ভাষা ব্যবহার করা। সেটা করে, আমি একজনকে গালি দিয়েছি।
তিনি বলেন, শুধু আপুকে না, সবাইকে গালি দিয়েছি। আমি বলে দিয়েছি, যারা ওটা সাপোর্ট করবে সবাইকে দিয়েছি। আমার এরকম করা উচিত হয়নি। সেজন্য আমি ক্ষমাপ্রার্থী। বিষয়টি আমার পরিবারও জেনে গেছে, সাবাই আমাকে গালাগাল করছে। আমি আপুর সঙ্গে দেখা করে মাফ চাইব।
তিনি আরও বলেন, আমি কোনো দলের সঙ্গে যুক্ত নই, আমাকে শিবিরের সাথি বলে সবাই ফেসবুকে পোস্ট করছে। অথচ ছাত্রশিবিরের কোনো ধরনের প্রোগ্রাম বা ওদের কারো সঙ্গে আমার কোনো ছবি নেই। আমি ওদের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত নই। এ ছাড়া আমি ছাত্রদল বা ছাত্রলীগও করি না। এমনিতে আমি ফেসবুকে অতিরিক্ত পোস্ট দিয়ে থাকি, যা মন চাই তাই ফেসবুকে পোস্ট করি।
এর আগে, আলী হোসেন নামের ওই শিক্ষার্থী নিজের ফেসবুক আইডিতে একটি পোস্ট দিয়ে এসএম ফরহাদের প্রার্থিতার বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে আদালতে রিটকারীকে ধর্ষণের হুমকি দেন। এ ঘটনায় সমালোচনা শুরু হয়।
এ বিষয়ে ডাকসুর জিএস প্রার্থী ও ঢাবি শিবিরের সভাপতি এসএম ফরহাদ বলেন, রাজনৈতিক এবং আদর্শিক মতবিরোধ থাকবে, কিন্তু সেটাকে ব্যক্তিগত পর্যায়ে নিয়ে গিয়ে কাউকে আক্রমণ করা বা ধর্ষণের হুমকি দেওয়া জঘন্য অপরাধ। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন এবং সংশ্লিষ্টদের প্রতি অনুরোধ থাকবে অভিযুক্তের বিরুদ্ধে তদন্তপূর্বক যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণের।
তিনি আরও বলেন, যে শিক্ষার্থী আমার সঙ্গে প্রচণ্ড মাত্রায় দ্বিমত কিংবা বিরোধিতা করবেন; তার জন্যও আমরা ইনসাফ কায়েম করব— এটিই আমাদের লড়াইয়ের মূল লক্ষ্য। পাশাপাশি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের যে শিক্ষার্থীর বিরুদ্ধে এই অভিযোগ এসেছে সে ছাত্রশিবিরের সঙ্গে জড়িত নয়। যারা এটার সঙ্গে জড়িয়ে ছাত্রশিবির নিয়ে প্রোপাগান্ডা ছড়াচ্ছেন তাদের বিরুদ্ধে আমরা আইনি পদক্ষেপ গ্রহণ করব।
মন্তব্য করুন