বর্তমান ডিজিটাল যুগে যে কারও হাতে স্মার্ট ফোন থাকলে জীবন সহজ হয়ে যায়। ঘণ্টার পর ঘণ্টা লাইনে দাঁড়িয়ে টাকা তুলতে-জমা দিতে বা বিল পরিশোধ করতে হয় না; টাকা পাঠাতে এক জায়গা থেকে অন্য জায়গায় যেতে হয় না; কেনাকাটায় নগদ টাকা বহনের ঝুঁকি নিতে হয় না। সবই এখন ডিজিটাল পদ্ধতিতে করা সম্ভব হচ্ছে।
মোবাইল ফোনে এখন যে কোনো পরিষেবার বিল দেওয়া যায়। মোবাইল ফোনে রিচার্জের টাকা মোবাইলে আর্থিক সেবার (এমএফএস) অ্যাপ থেকে নেওয়া যায়। সেই অ্যাপে টাকা ভরা যায় ব্যাংকের ক্রেডিট ও ডেবিট কার্ড দিয়ে। এ সবই হচ্ছে ডিজিটাল লেনদেন। যাকে আমরা বলি এমএফএস বা মোবাইল ব্যাংকিং, ইন্টারনেট ব্যাংকিং, অ্যাপে লেনদেন, ইলেকট্রনিক ফান্ড ট্রান্সফার বা ডিজিটাল ব্যবস্থায় তহবিল স্থানান্তর, তাৎক্ষণিক লেনদেন সম্পন্ন করা বা রিয়েল টাইম গ্রস সেটেলমেন্ট ইত্যাদি। এভাবে ডিজিটাল থেকে স্মার্ট বাংলাদেশে রূপান্তরের যে লক্ষ্য অর্থাৎ ক্যাশলেস সোসাইটি গঠন, তার মূল অবকাঠামো এরই মধ্যে তৈরি হয়ে গেছে। এই ক্যাশলেস ব্যবস্থার প্রবর্তনে এরই মধ্যে সরকার বাংলা কিউআর কোডও চালু করেছে। যার অগ্রযাত্রায় ভর করে ভবিষ্যতে দেশে নগদ লেনদেনের হিস্যা ক্রমশ কমে আসবে। আর সর্বত্র জায়গা দখল করবে ডিজিটালি ক্যাশলেস লেনদেন।
ক্যাশলেস চর্চার সূত্রপাত যেভাবে: প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ২০০৮ সালে নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচনী ইশতেহারে যে রূপকল্প ২০২১ বাস্তবায়নের ঘোষণা দেনম, তার মূল শিরোনাম ছিল ‘ডিজিটাল বাংলাদেশ’। সরকার গঠনের পর আওয়ামী লীগের নির্বাচনী ইশতেহারে ডিজিটাল বাংলাদেশ বিনির্মাণের অঙ্গীকার করা হয়। ডিজিটাল বাংলাদেশ বলতে বোঝায়, দেশের প্রতিটি ক্ষেত্রে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির ব্যবহার নিশ্চিত করা। এ ধারণাটির মূল বিষয় হলো সব ধরনের প্রযুক্তি ব্যবহার দেশের শিক্ষা, স্বাস্থ্য, কর্মসংস্থান ও দারিদ্র্য মোচনের ব্যবস্থা করা। সরকারের নির্দেশনা অনুযায়ী, বাংলাদেশ ব্যাংকও বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোকে ডিজিটাল ব্যাংকিং ব্যবস্থা গড়ে তোলার তাগিদ দেয়। যার মধ্য দিয়ে ব্যাংকগুলোর সব ধরনের লেনদেন কার্যক্রম পরিচালনায় ডিজিটাল পদ্ধতি অন্তর্ভুক্ত হয়। শুরুর দিকে পেপারলেস ব্যাংকিং, ব্যাংকিংয়ের বিভিন্ন তথ্য অনলাইনে বাংলাদেশ ব্যাংকে পাঠানোসহ বিভিন্ন নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। ধীরে ধীরে ব্যাংকগুলোও ডিজিটাল খাত তথা প্রযুক্তিগত উন্নয়নে বিনিয়োগ শুরু করে। এরপর মোবাইল ব্যাংকিং, এজেন্ট ব্যাংকিং, অনলাইন ব্যাংকিং, আন্তঃব্যাংক লেনদেনে ডিজিটাল ব্যবস্থায় ‘নিকাশঘর’ বা চেক ক্লিয়ারিং ব্যবস্থা চালু, ডিজিটাল পদ্ধতিতে ই-কেওয়াইসি চালু করে ব্যাংকগুলো। এর পাশাপাশি এটিএম বুথ চালু, ডেবিট কার্ড, ক্রেডিট কার্ডের ব্যবহারও বাড়তে থাকে। এই ডিজিটাল লেনদেনের সবচেয়ে বেশি অগ্রগতি হয়েছে কভিড-১৯ মহামারির সময়ে। তখন মানুষ ঘরে আবদ্ধ থাকত। কিন্তু প্রয়োজন তো আর দমিয়ে রাখা যায় না। ফলে আগে থেকেই দেশে যে ডিজিটাল চর্চা শুরু হয়েছিল, করোনায় সেটি বিপ্লবে রূপ নেয়। ঘরে বসেই বেশিরভাগ মানুষ ডিজিটাল পদ্ধতি ব্যবহার করে তাদের সব ধরনের প্রয়োজন মেটায়। এখন পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলেও ডিজিটাল লেনদেনের গতি কমেনি। বরং অভ্যস্ত হয়ে ওঠা মানুষের জীবনধারনের সব কিছুতেই জায়গা করে নিয়েছে এই প্রযুক্তি। মূলত ডিজিটাল চর্চাকে বাংলাদেশ ব্যাংক এবার ক্যাশলেস বাংলাদেশের কার্যক্রম শুরু করেছে। যার অংশ হিসেবে বাংলাদেশ ব্যাংকও ২০২৫ সালের মধ্যে দেশের সব লেনদেনের ৩০ শতাংশ ‘ক্যাশলেস’, তথা ডিজিটাল মাধ্যমে আনার লক্ষ্য ঠিক করেছে।
এগিয়ে দেয় ডিজিটাল লেনদেন: বর্তমানে দেশের এক প্রান্ত থেকে অপর প্রান্তে ক্ষণিকের মধ্যেই টাকা চলে যাচ্ছে, একইভাবে দূরের দেশ থেকে এখন টাকা চলে আসছে বাংলাদেশে। মানুষ কেনাকাটা করছে, বিল পরিশোধ করছে; প্রতিষ্ঠান সেই টাকা পেয়ে প্রতিষ্ঠানের কর্মীদের বেতন দিচ্ছে। পুরো প্রক্রিয়াটি হচ্ছে ডিজিটাল ব্যবস্থায়—ব্যাংকের কার্ড, অ্যাপ ও মোবাইল ফোনের মাধ্যমে। প্রতি মাসে এ ব্যবস্থায় লেনদেনের মোট পরিমাণ দাঁড়িয়েছে প্রায় ৮ লাখ কোটি টাকা। ডিজিটাল লেনদেন হচ্ছে নানামুখী ব্যবস্থায়—ডেবিট ও ক্রেডিট কার্ড; বিকাশ, রকেট, নগদ, ইউক্যাশ, মাই ক্যাশ, শিওর ক্যাশসহ বিভিন্ন নামে ১৩টির মতো এমএফএস সেবা; ইন্টারনেট ব্যাংকিং, অ্যাপে লেনদেন, ডিজিটাল ব্যবস্থায় তহবিল স্থানান্তর (ইলেকট্রনিক ফান্ড ট্রান্সফার), তাৎক্ষণিক লেনদেন সম্পন্ন করা বা রিয়েল টাইম গ্রস সেটেলমেন্ট ইত্যাদি। কার্ডের বদলে অ্যাপস ও কিউআর কোডের ব্যবহার দিন দিন বাড়ছে। মোবাইল ফোনই হয়ে উঠছে লেনদেনের বড় মাধ্যম। এখন গ্রাহক ঘরে বসেই ডিজিটাল কেওয়াইসি (গ্রাহকসম্পর্কিত তথ্য) ফরম পূরণ করে সহজে ঝামেলা ছাড়াই এমএফএস সেবাদাতা প্রতিষ্ঠানে অর্থাৎ মোবাইল ব্যাংকিং হিসাব খোলার সুযোগ পাচ্ছেন।
গত এক দশকে দেশের ডিজিটাল লেনদেনে বৈপ্লবিক পরিবর্তন এনেছে এমএফএস সেবা। মোবাইল ব্যাংকিং হিসেবে পরিচিত এ ব্যবস্থায় এখন প্রতিমাসে লাখ কোটি টাকার বেশি লেনদেন হচ্ছে। বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্যে দেখা যায়, গত ডিসেম্বরে এমএফএসের মাধ্যমে লেনদেন হয়েছে ১ লাখ ২৪ হাজার ৫৪৮ কোটি টাকা। এর আগে নভেম্বরে ১ লাখ ১৯ হাজার ৬৬৯ কোটি টাকা লেনদেন হয়েছে। বর্তমানে এমএফএস প্রতিষ্ঠানগুলোর নিবন্ধিত গ্রাহকসংখ্যা ২২ কোটি ৪ লাখ ৫৭ হাজার ৪৪৮।
মোবাইল ব্যাংকিং ব্যবহার করে দেশে ডিজিটাল কেনাকাটা প্রতিনিয়ত বাড়ছে। এমএফএস প্রতিষ্ঠানগুলোও গ্রাহকদের কেনাকাটায় উৎসাহিত করতে বিভিন্ন ধরনের ছাড়সহ অফার দিচ্ছে। আবার এমএফএসের বিকল্প হিসেবে ব্যাংকগুলোও মোবাইল অ্যাপ নিয়ে এসেছে, যা ব্যবহার করে যাবতীয় ব্যাংকিং লেনদেন করা যাচ্ছে। যেমন ইসলামী ব্যাংকের অ্যাপ ‘সেলফিন’-এর মাধ্যমে দৈনন্দিন লেনদেন হচ্ছে প্রায় ৬০০ কোটি টাকা। অন্য ব্যাংকগুলোও নিজেদের অ্যাপ জনপ্রিয় করতে বিভিন্ন ধরনের অফার ঘোষণা করছে। ডিজিটাল কেনাকাটায় গ্রাহকদের স্বাচ্ছন্দ্য এনে দিয়েছে ব্যাংকগুলোর চালু করা এসব অ্যাপভিত্তিক ব্যাংকিংও। এ ছাড়া যে কোনো উৎসবকে রাঙিয়ে তুলতে পণ্য ও সেবার দামে বিশেষ ছাড় নিয়ে হাজির হয় ক্রেডিট কার্ড। প্লাস্টিক মানি বা ক্রেডিট কার্ড বিশ্বব্যাপী নগদ অর্থ
বহনের বিকল্প হয়ে উঠেছে। উন্নত দেশগুলোতে প্লাস্টিকের এ কার্ড জীবনের অনুষঙ্গ হয়ে উঠেছে, যদিও বাংলাদেশিদের কাছে ক্রেডিট কার্ড ‘লাইফস্টাইল’ পণ্য। বিপুল সম্ভাবনা কাজে লাগানো সম্ভব হলে এ দেশের মানুষেরও বিশ্বস্ত সঙ্গী হয়ে উঠতে পারে ক্রেডিট কার্ড। প্রযুক্তি ব্যবহার করে কেনাকাটা মানে নগদ টাকা বহনের নিরাপত্তা ঝুঁকি শূন্যের মাত্রায় নামিয়ে আনা।
আপডেট হচ্ছে প্রযুক্তি, সাড়া দিচ্ছে গ্রাহকও: দেশে একসময় এক ব্যাংক থেকে টাকা তুলে আরেক ব্যাংকে জমা রাখতে হতো। তখন আন্তঃব্যাংক লেনদেনের ব্যবস্থা ছিল না; এক ব্যাংকের চেক অন্য ব্যাংক গ্রহণ করত না। পরে চেক গ্রহণ শুরু হয়, কিন্তু গ্রাহককে অপেক্ষা করতে হতো বেশ কয়েক দিন। এখন চেক জমা দিলে দিনের মধ্যেই টাকা পেয়ে যান গ্রাহক। এটা সম্ভব হয়েছে ডিজিটাল ব্যবস্থায় ‘নিকাশঘর’ বা চেক ক্লিয়ারিং ব্যবস্থা চালুর মাধ্যমে। বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, ২০১০ সালে সেবাটি চালু হয়। ১৯৯২ সালে বাংলাদেশে প্রথম অটোমেটেড টেলার মেশিন বা এটিএম যন্ত্র স্থাপন শুরু করে কয়েকটি ব্যাংক। যার মাধ্যমে কার্ড দিয়ে নগদ টাকা তোলার সুযোগ তৈরি হয়। ১৯৯৬ সালে স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড ব্যাংক দেশে প্রথম ক্রেডিট কার্ড চালু করে। বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, দেশে গত জানুয়ারি মাসে ডেবিট কার্ডের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে প্রায় ৩ কোটি ৫২ লাখ, ক্রেডিট কার্ড রয়েছে ২৪ লাখ ২৯ হাজার। ইন্টারনেট ব্যাংকিংয়ে মোট গ্রাহক প্রায় ৮৫ লাখ। বিকাশ, নগদ ও রকেটের মতো মোবাইল ফোনে আর্থিক সেবায় গ্রাহক প্রায় ২২ কোটি। এক ব্যক্তির একাধিক কার্ড ও হিসাব থাকতে পারে। সব কার্ড দিয়ে এটিএম ও বিক্রয়কেন্দ্রে (পয়েন্ট অফ সেলস) লেনদেন করা যায়। ব্যাংকগুলো নিয়ে আসছে নিজস্ব অ্যাপ, যার মাধ্যমে মোটামুটি সব ধরনের লেনদেন করা যায়। ফলে কার্ডের দিনও ফুরিয়ে আসছে কি না, সেই প্রশ্ন উঠেছে। ডিজিটাল লেনদেনে বেসরকারি খাতের ব্র্যাক ব্যাংক অগ্রণী।
এ প্রসঙ্গে ব্যাংকটির ব্যবস্থাপনা পরিচালক সেলিম আর এফ হোসেন কালবেলাকে বলেন, ‘আমরা ২০১৮ সালে ডিজিটাল সেবায় বিনিয়োগ শুরু করেছি, যা ক্রমান্বয়ে বাড়ছে। তবে সবচেয়ে বেশি বেড়েছে করোনার সময়ে। ওই সময় মানুষ ঘর থেকে বের হতে ভয় পেত। গ্রাহকের চাহিদার ভিত্তিতে আমরাও নানা ডিজিটাল সেবা দেওয়ার চেষ্টা করেছি, যা এখনো অব্যাহত আছে। গ্রাহকের চাহিদার কারণেই ব্যাংকগুলো সেদিকে ঝুঁকছে। ডিজিটাল লেনদেনে গ্রাহক ও ব্যাংক উভয়েই লাভবান হচ্ছে। ফলে ডিজিটাল অবকাঠামোয় বিনিয়োগ বাড়িয়েছে ব্যাংকগুলো, এর সুফলও পাচ্ছে।
বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর স্যাম্পল ভাইটাল স্ট্যাটিস্টিকস-২০২৩ প্রতিবেদন বলছে, দেশের ১৫-এর বেশি বয়সী জনসংখ্যার ২৮ শতাংশের ব্যাংক অথবা আর্থিক প্রতিষ্ঠানের হিসাব রয়েছে। মোবাইল ফোনে আর্থিক সেবার হিসাব আছে প্রায় ৪৮ শতাংশের।
সম্ভাবনার মাঝে কিছু সমস্যা: ডিজিটাল লেনদেন মানুষের জীবনকে যেমন সহজ করেছে, তেমনি কিছু সমস্যাও আছে। প্রথমত, মানুষ প্রতারণার শিকার হচ্ছে। বিশেষ করে গ্রামে যারা সরকারের বিভিন্ন ভাতা যেমন, বয়স্ক ভাতা, বিধবা ভাতাসহ অন্যান্য ভাতা পেয়ে থাকেন, তারা সেই ভাতা তোলার সময় দোকানে গিয়ে গোপন পিন বলে দেন। ফলে এসব গ্রাহকের হিসাব থেকে সহজেই অন্যরা টাকা তুলে নিতে পারেন। এ ছাড়া শহরেও নানা ধরনের প্রলোভনের মাধ্যমে প্রতারণার ঘটনা ঘটছে। দ্বিতীয়ত, এক ব্যাংক থেকে অন্য ব্যাংকে লেনদেন যতটা সহজ, মোবাইল ফোনে আর্থিক সেবায় একটি প্রতিষ্ঠানের হিসাব থেকে অন্য প্রতিষ্ঠানের হিসাবে (যেমন বিকাশ, রকেট ও নগদ হিসাবের মধ্যকার লেনদেন) অর্থ স্থানান্তর শুরু হলেও তা পুরোপুরি চালু হয়নি। তৃতীয়ত, কিছু কিছু সেবা নেওয়া যায় শুধু একটি প্রতিষ্ঠানের হিসাব ব্যবহার করে। ফলে গ্রাহককে একাধিক হিসাব খুলতে বাধ্য হতে হয়। একাধিক হিসাবের গোপন পিন মনে রাখাও কঠিন। চতুর্থত, বর্তমানে এসব এমএফএস ব্যবহার করে হুন্ডির পরিমাণও বাড়ছে।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, প্রতারণা ঠেকাতে মানুষকে সচেতন হতে হবে এবং প্রতিষ্ঠানকেও সচেতনতা বাড়াতে উদ্যোগী হতে হবে। মোবাইলে আর্থিক সেবায় একটি সেবাদাতা থেকে অন্য সেবাদাতার হিসাবে যাতে সহজে টাকা লেনদেন করা যায়, সেই ব্যবস্থা করতে হবে নিয়ন্ত্রক সংস্থাকে। সব সেবা সব প্রতিষ্ঠানের জন্য উন্মুক্ত করা দরকার। সেইসঙ্গে হুন্ডি প্রতিরোধেও কার্যকর ব্যবস্থা নিতে হবে। দেশের আরও বেশি মানুষ স্মার্টফোন ব্যবহার করলে ডিজিটাল লেনদেন বাড়বে বলেও মনে করেন বিশেষজ্ঞরা। তাদের মতে, দেশে স্মার্টফোনের ব্যবহার কম। স্মার্টফোনের ব্যবহার বাড়লে ডিজিটাল সেবা আরও বিকশিত হতো।