সায়েম খান
প্রকাশ : ২৩ জুন ২০২৪, ০২:২৯ এএম
আপডেট : ২৩ জুন ২০২৪, ০৯:০৬ এএম
প্রিন্ট সংস্করণ

তারুণ্য ও আওয়ামী লীগ

সায়েম খান
তারুণ্য ও আওয়ামী লীগ

তারুণ্য দুর্দমনীয়, তারুণ্য শক্তির আধার। নতুন দিনে নতুন সময়ে তারুণ্য নতুনভাবে ভাবতে শেখায়। যে কোনো কিছুতে তরুণদের সম্পৃক্ততা নতুন ধারণা ও উদ্দীপনার জোগান দেয়। জাতি গঠনে ও রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠায় তরুণদের ভূমিকা গুরুত্ব বহন করে। তাই তো তারুণ্যের জয়গান গেয়ে সাহিত্য রচনা করেছেন কবি-সাহিত্যিকরা, মুখরিত করেছেন তারুণ্যকে। বিভিন্ন ধর্মেও যৌবনকাল বা তারুণ্যকে পৃথকভাবে গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। রাজনীতিতে তরুণদের অংশগ্রহণ অতীব জরুরি। তরুণরা সময়ের প্রয়োজনে অসাড় হয়ে পড়া নীতি ও পন্থার বিপরীতে নতুন নীতি ও পন্থার উদ্ভাবন করতে পারে। আর বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ সর্বদা এটা বিবেচনায় নিয়েই তার রাজনৈতিক নীতি গ্রহণ করেছে। আওয়ামী লীগের প্রতিষ্ঠাই হয়েছে এ ধরনের এক ঘটনার মধ্য দিয়ে। ১৯৪৯ সালের ২৩ জুন এক রাজনৈতিক কর্মী সম্মেলনের মধ্য দিয়ে প্রতিষ্ঠিত হয় আওয়ামী লীগ। কর্মী সম্মেলনে অংশগ্রহণকারীরা বঙ্গীয় প্রাদেশিক মুসলিম লীগের নেতাকর্মী। গত শতাব্দীর পঞ্চাশের দশকে বঙ্গীয় প্রাদেশিক মুসলিম লীগে নতুন চিন্তা-ভাবনা পরিপুষ্ট একটি ধারা পরিলক্ষিত হয়। ধারাটি ছিল হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী ও আবুল হাশিমের আশীর্বাদপুষ্ট। খাজা নাজিমুদ্দিনের জমিদারতন্ত্রের বিরুদ্ধে এটি ছিল বাঙালি মধ্যবিত্ত ও ছাত্র-তরুণদের নিয়ে গঠিত এক বিশাল কর্মী বাহিনী। যারা মুসলিম লীগের পশ্চাৎপদ নীতি ও কৌশলের বিপরীতে প্রগতিশীলতাকে ধারণ করেছিল। মুসলিম লীগের ভেতরে নতুন এ ধারা প্রতিষ্ঠিত হওয়ায় শত শত ছাত্র-যুবক সার্বক্ষণিক কর্মী হিসেবে নিজেদের আত্মনিবেদিত রেখেছিল। শতভাগ উদ্যমী ও উদ্দীপ্ত তরুণরাই সময়ের প্রয়োজনে আওয়ামী লীগ প্রতিষ্ঠায় অগ্রণী ভূমিকা পালন করে। আর এই তারুণ্যের কেন্দ্রবিন্দু ছিলেন জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। শুরু থেকেই আওয়ামী লীগের পথচলা ছিল প্রবীণ ও নবীনের মেলবন্ধনের সমন্বয়ে। মওলানা আবদুল হামিদ খান ভাসানীর মতো অভিজ্ঞতাসম্পন্ন ও প্রজ্ঞাবান নেতাকে সভাপতি ও তরুণ নেতা শামসুল হককে সাধারণ সম্পাদক করে আওয়ামী লীগ প্রতিষ্ঠিত হয়, যা তখন ছিল পূর্ব পাকিস্তান আওয়ামী মুসলীম লীগ। তবে এই কর্মীবাহিনীর ওপর তরুণ-যুবা নেতা শেখ মুজিবের অনেক প্রভাব ছিল। যে কারণে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব জেলে থাকার পরও তাঁকে যুগ্ম সম্পাদক হিসেবে নির্বাচিত করা হয়। অল্প কিছুদিনের মধ্যেই দলের নেতাকর্মীদের ওপর বঙ্গবন্ধুর প্রভাব আরও বৃদ্ধি পায়। দলের সভাপতি মওলানা আবদুল হামিদ খান ভাসানী থাকলেও এর সাংগঠনিক ভিত্তি দাঁড়ায় তরুণ শেখ মুজিবের নেতৃত্ব ও কর্ম-উদ্দীপনার মধ্য দিয়ে। বঙ্গবন্ধু তার ‘অসমাপ্ত আত্মজীবনী’তে লিখেছেন, ‘ … … দেশের প্রায় শতকরা সত্তরটি ইউনিয়নে আওয়ামী লীগ প্রতিষ্ঠান গড়ে তুলতে সক্ষম হলাম। যুবক কর্মীরা আমার দিকে ঝুঁকে পড়ল। কারণ আমিও তখন যুবক ছিলাম।’

জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান উপলব্ধি করতে পেরেছিলেন তরুণরাই একটি জাতির নিয়ামক শক্তি। তাই তিনি গণতান্ত্রিক আন্দোলনসহ বাঙালির সব আন্দোলন-সংগ্রামে তরুণদের সম্পৃক্ত করার কথা চিন্তা করতেন। তরুণরা কী ভাবে? তরুণরা কী বলতে চায়? এগুলো তিনি জানা বা বোঝার চেষ্টা করতেন। আবার প্রয়োজনবোধে ছাত্র-যুবক-তরুণদের দিকনির্দেশনা দিতেন। ছয় দফা দাবি আদায়ের আন্দোলন নিয়ে যখন আওয়ামী লীগের নেতাদের মধ্যে দ্বিধাদ্বন্দ্ব দেখা গেল, অনেকে ছয় দফার প্রশ্নে দল ত্যাগ করেছিলেন, তখনো বঙ্গবন্ধু ছয় দফার প্রশ্নে অনড় ছিলেন। তিনি ছয় দফা দাবি আদায়ে ছাত্রসমাজকে উদ্বুদ্ধ করেছিলেন। তিনি তারুণ্যের শক্তির ওপর নির্ভর করেছিলেন। ফলে ১৯৬৯ সালে ছাত্র-জনতার সম্মিলিত শক্তিতে ঐতিহাসিক গণঅভ্যুত্থানের সৃষ্টি হয়। ছয় দফার আন্দোলনে বিজয়ের মাধ্যমে আওয়ামী লীগ পাকিস্তানি শাসকগোষ্ঠীকে নির্বাচন দিতে বাধ্য করে। এই নির্বাচনে আওয়ামী লীগের বিজয়ে ছাত্র ও তরুণসমাজ অগ্রণী ভূমিকা পালন করে। ১৯৭০ সালের নির্বাচনের আগে প্রদত্ত ভাষণে বঙ্গবন্ধু বলেছিলেন, ‘সুষ্ঠু সমাজব্যবস্থা গড়িয়া তোলার জন্য শিক্ষা খাতে পুঁজি বিনিয়োগের চাইতে উৎকৃষ্ট বিনিয়োগ আর কিছু হইতে পারে না।’ তারুণ্যের শক্তিকে অপরিমেয় সম্ভাবনার উৎস হিসেবে গণ্য করতেন বঙ্গবন্ধু। তারুণ্যের এই জাগরণ বাঙালিকে স্বাধীনতা অর্জনের বন্দরে নিয়ে যায়। ১৯৭১ সালে দীর্ঘ ৯ মাসের রক্তক্ষয়ী মহান মুক্তিযুদ্ধের মধ্য দিয়ে বাঙালি জাতি স্বাধীনতা লাভ করে। স্বাধীনতা লাভের পর দেশ পুনর্গঠনে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ভরসার জায়গা ছিল তারুণ্যের শক্তি। তিনি দেশ গঠনে ছাত্র-যুবকদের আত্মনিবেদিত হয়ে কাজ করার আহ্বান জানিয়েছিলেন। ১৯৭৩ সালে ছাত্রলীগের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে বক্তৃতায় বঙ্গবন্ধু বলেছিলেন, ‘বাংলার মানুষ, বিশেষ করে তরুণ সম্প্রদায়কে আমাদের ইতিহাস জানতে হবে। বাংলার যে ছেলে তার অতীত বংশধরদের ঐতিহ্য সম্পর্কে জানতে পারে না, সে ছেলে সত্যিকারের বাঙালি হতে পারে না।’

আবার ১৯৭৩ সালের ১৯ আগস্ট ছাত্র ও যুবসমাজের উদ্দেশে বঙ্গবন্ধু বলেছিলেন, ‘বাবারা একটু লেখাপড়া শেখো। যতই জিন্দাবাদ আর মুর্দাবাদ করো, ঠিকমতো লেখাপড়া না শিখলে কোনো লাভ নেই। আর লেখাপড়া শিখে যে সময়টুকু পাবে বাবা-মাকে সাহায্য করবে। প্যান্ট পরা শিখছ বলে বাবার সাথে হাল ধরতে লজ্জা করো না। দুনিয়ার দিকে চেয়ে দেখো। গ্রামে গ্রামে বাড়ির পাশে বেগুনগাছ লাগাও, কয়টা মরিচগাছ লাগাও, কয়টা লাউগাছ লাগাও ও কয়টা নারকেলের চারা লাগাও। বাপ-মাকে একটু সাহায্য কোরো। শুধু বিএ-এমএ পাস করে লাভ নেই। দেশের মানুষের কল্যাণে কাজ করতে হবে।’

১৯৭৫ সালের ১১ জুন এক বক্তৃতায় বঙ্গবন্ধু বলেন, ‘দেশের ভাগ্য ও ভবিষ্যৎ ছাত্রসমাজের ওপর নির্ভর করে।’ পিতার মতো বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনা সামরিক স্বৈরাচারের পদাঘাতে পিষ্ট হওয়া মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও মূল্যবোধ এবং গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠার আন্দোলনে তরুণ ও যুবসমাজকে উদ্দীপ্ত করে সম্পৃক্ত করেছিলেন। বঙ্গবন্ধুর মতো শেখ হাসিনাও তরুণ বয়সে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে আসীন হয়েছিলেন। দলকে নেতৃত্ব দিতে গিয়ে তাঁকে অনেক ঘাত-প্রতিঘাতের মধ্য দিয়ে যেতে হয়েছে। দলের সিনিয়র নেতার অনেকেই শেখ হাসিনার প্রতি বিমাতাসুলভ আচরণ করেছেন, বিশ্বাসঘাতকতা করেছেন। কিন্তু শেখ হাসিনা অবিচল থেকে তার পথ চলেছেন। সারা বাংলাদেশে দলকে সুসংগঠিত করার কাজ করে গেছেন। আর তরুণ প্রজন্ম শেখ হাসিনার নেতৃত্বকে গ্রহণ করেছে। সুতরাং শত বাধা-বিপত্তি সত্ত্বেও বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আওয়ামী লীগ ঘুরে দাঁড়িয়েছে; ২১ বছর বিরতির পর ফের সরকার গঠন করতে সক্ষম হয়েছে।

জননেত্রী শেখ হাসিনা দেশের তারুণ্যকে ধারণকারী নেতৃত্ব। শেখ হাসিনা যখনই রাষ্ট্র পরিচালনার সুযোগ পেয়েছেন, তখনই তরুণ প্রজন্মকে এগিয়ে নিতে কাজ করেছেন। বঙ্গবন্ধুর পর অন্য যেসব নেতৃত্ব ক্ষমতায় এসেছেন, তারা তারুণ্যের শক্তিকে ধ্বংস করার কাজ করেছেন। ছাত্র ও তরুণ সমাজকে বিপথে পরিচালিত করেছেন। আবার যে দুয়ার খুলে দিলে তারুণ্যের শক্তি ও সম্ভাবনা বৃদ্ধি পাবে, তা বন্ধ রেখেছেন। রাষ্ট্রনায়ক হিসেবে শেখ হাসিনা এ জায়গায় ব্যতিক্রম। যখনই দেখেছেন কোনো অনিরুদ্ধ দ্বার খুলে দিলে তরুণ প্রজন্ম এগিয়ে যাবে, তখনই তিনি সেটা করেছেন। ২০০৮ সালের নির্বাচনের আগে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের ইশতেহার ছিল—দিন বদলের সনদ। যেখানে ডিজিটাল বাংলাদেশের রূপকল্প তুলে ধরা হয়েছিল। তরুণ প্রজন্ম তথ্য ও প্রযুক্তি ব্যবহারের মাধ্যমে সমগ্র পৃথিবীর সঙ্গে পরিচিত হওয়ার সুযোগ পায়। তরুণ প্রজন্মকে সময়োপযোগী তথ্যপ্রযুক্তির সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দেওয়ায় তারা নতুন নতুন দিগন্তে বিচরণের সক্ষমতা অর্জন করতে পেরেছে। তারুণ্যের এই অবারিত শক্তিকে ধারণ করা শেখ হাসিনার মতো গতিশীল নেতৃত্বের পক্ষেই সম্ভব। সফল রাষ্ট্রনায়ক শেখ হাসিনা তারুণ্যের শক্তির ওপর নির্ভর করেই দেশকে এগিয়ে নিয়ে যেতে চান। তাই তিনি ২০১৮ সালে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের ইশতেহারে স্লোগান তুলেছিলেন ‘তারুণ্যের শক্তি—বাংলাদেশের সমৃদ্ধি’। সেখানে তুলে ধরা হয়েছিল, বাংলাদেশের মোট জনসংখ্যার এক-তৃতীয়াংশ যুবসমাজ, যা প্রায় ৫ কোটি। ‘সোনার বাংলা’র স্বপ্ন বাস্তবায়ন ও ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার প্রধানতম শক্তি হচ্ছে যুবশক্তি। দেশের এই যুবগোষ্ঠীকে সুসংগঠিত, সুশৃঙ্খল এবং উৎপাদনমুখী শক্তিতে রূপান্তরের লক্ষ্য অর্জনে আওয়ামী লীগ প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। ১৫ বছর ধরে গণতান্ত্রিক ধারাবাহিকতা বজায় থাকায় বাংলাদেশ উন্নয়ন-অগ্রগতিতে অভূতপূর্ব সাফল্য অর্জন করেছে। দেশের অবকাঠামোগত উন্নয়ন আজ দৃশ্যমান। এখন সময় তরুণ প্রজন্মকে এই অর্থনৈতিক অগ্রযাত্রার সঙ্গে সম্পৃক্ত করা। তরুণ প্রজন্মের জন্য কর্মসংস্থান সৃষ্টি এখন সরকারের প্রধান লক্ষ্য। যে কারণে ২০২৪ সালের ইশতেহারে স্লোগান নির্ধারণ করা হয়েছে, ‘স্মার্ট বাংলাদেশ—উন্নয়ন দৃশ্যমান, বাড়বে এবার কর্মসংস্থান’। এটা নিঃসন্দেহে প্রমাণিত যে, আগামীর বাংলাদেশ বিনির্মাণ হবে তরুণ প্রজন্মের হাতে। সরকার তরুণ প্রজন্মকে অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডে সম্পৃক্ত করার নির্দিষ্ট পরিকল্পনা ও নীতি গ্রহণ করেছে। সারা দেশে ১০০টি অর্থনৈতিক অঞ্চল প্রতিষ্ঠা করার লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছে সরকার। এরই মধ্যে ১০টি অর্থনৈতিক অঞ্চলে উৎপাদন শুরু হয়েছে। এসব জায়গায় তরুণদের জন্য কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি হবে। স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণের মধ্য দিয়ে সব কিছুতে গতিশীলতা বৃদ্ধি পাবে, তরুণ প্রজন্মের উদ্ভাবনী শক্তির নবদিগন্ত নবতর রূপে উন্মোচিত হবে। সরকার পরিচালনায় অধিকতর স্বচ্ছতা ও জবাবদিহি প্রতিষ্ঠিত হবে।

আজকের তরুণ প্রজন্মকে জেড জেনারেশন বা মিলেনিয়াম জেনারেশন হিসেবে অভিহিত করা হয়। তারা যে কোনো বিষয়ে প্রশ্ন করতে আগ্রহী। তাদের এই প্রবণতা দুর্নীতির বিরুদ্ধে প্রশ্ন তুলতে এবং স্বচ্ছতা ও জবাবদিহি প্রতিষ্ঠায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে। তরুণরা ভুল নীতি ও ভুল নেতৃত্বের সঙ্গে পথ চলতে চায় না। তারুণ্য কুসংস্কারের ওপর ভিত্তি করে প্রতিষ্ঠিত অচলায়তনের ক্রীড়নক হতে চায় না। তারুণ্যের এই ধর্মকে ধারণ করে জননেত্রী শেখ হাসিনা তাদের জন্য সময়ের প্রয়োজনে কর্মপরিকল্পনা নির্ধারণ করেন।

বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ চির তারুণ্যদীপ্ত সংগঠন। গৌরব, ইতিহাস, ঐতিহ্য ও সংগ্রামের পথ বেয়ে আওয়ামী লীগ আজ ৭৫ বছরের মহিরুহ। আওয়ামী লীগ গৌরবোজ্জ্বল ইতিহাস ও ঐতিহ্যকে ধারণ করে শুধু সামনের দিকে এগিয়ে চলতে জানে। পশ্চাৎমুখী বাংলাদেশের রূপ বদলে দিয়ে আধুনিক বাংলাদেশের রূপকার আওয়ামী লীগ। আওয়ামী লীগ ভবিষ্যৎমুখী দৃষ্টিভঙ্গি, যুগোপযোগী কর্মসূচি, স্বল্প-মধ্য ও দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা, বাস্তবায়নযোগ্য পদক্ষেপ এবং সময়োপযোগী রাজনৈতিক দর্শনকে ধারণ করে পথ চলে আসছে। আওয়ামী লীগের প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে শুরু করে বঙ্গবন্ধু হয়ে জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বর্তমানেও এ ধারা অব্যাহত রয়েছে। সময়ের সঙ্গে গতিশীল নীতি ও পরিকল্পনা নিয়ে পথ চলে বলে প্রতিনিয়ত আওয়ামী লীগের কলেবর বৃদ্ধি পাচ্ছে এবং জনগণের মাঝে আওয়ামী লীগের আবেদন কখনো ফুরিয়ে যায়নি। নতুন প্রজন্ম নতুনভাবে আওয়ামী লীগকে জানতে পারছে; আওয়ামী লীগের সঙ্গে যুক্ত হচ্ছে। তাই ৭৫ বছর পেরিয়েও বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ একটি রাজনৈতিক দল হিসেবে এর তারুণ্য ধরে রাখতে পেরেছে।

লেখক: উপ-দপ্তর সম্পাদক, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন
  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

পারিশ্রমিক বাড়ালেন জাহ্নবী

পিআর পদ্ধতিতে নির্বাচন হলে সরকার স্ট্যাবল হবে না : মুশফিকুর রহমান

মিশরের কাছে আধুনিক ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবস্থা বিক্রি করছে যুক্তরাষ্ট্র 

আ.লীগের ২ নেতা গ্রেপ্তার, বিএনপি অফিসে ককটেল বিস্ফোরণ

কেন ভেঙে যায় আহান-সুহানার প্রেম?

চাপাতির কোপে বড় ভাই নিহত, ছোট ভাই হাসপাতালে

ফিলিস্তিনকে স্বীকৃতি দিতে চাপে পড়েছেন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী

থানায় ঢুকে এএসআইকে ছুরিকাঘাত, পুকুরে লাফিয়ে উধাও দুর্বৃত্ত

আজ ১১ ঘণ্টা গ্যাস থাকবে না যেসব এলাকায়

সমুদ্র উত্তাল, শূন্য হাতে ফিরেছে শত শত ট্রলার

১০

ঢাকায় বৃষ্টি নিয়ে আবহাওয়া অফিসের বার্তা

১১

শুক্রবার রাজধানীর যেসব মার্কেট বন্ধ

১২

২৫ জুলাই : কী ঘটেছিল ইতিহাসের এই দিনে

১৩

জি-৭ দেশগুলোর মধ্যে ফিলিস্তিনকে প্রথম স্বীকৃতি দিচ্ছে ফ্রান্স

১৪

২৫ জুলাই : আজকের নামাজের সময়সূচি

১৫

সাগরে মাছ শিকারে গিয়ে ১১ জেলে অপহৃত

১৬

ভারতে পালানোর সময় সাবেক শ্রমিক লীগ নেতা গ্রেপ্তার

১৭

মধ্যরাতে বিএসএফের গুলিতে বাংলাদেশি যুবক নিহত

১৮

বিপিসির দুই মহাব্যবস্থাপকের পদোন্নতি

১৯

ত্রিভুজ প্রেমের বলি প্রবাসী ফিরোজ

২০
X