চিত্রনায়িকা শাহনূর। পরিবার তার নাম রেখেছিল মৌসুমী। বিনোদন জগতে পা রেখেই পরিবর্তন করতে হয় সেই নাম। ১৯৯৯ সালে এমএ খালেক পরিচালিত ‘ফাঁসির আদেশ’ চলচ্চিত্রে অভিনয়ের মধ্য দিয়ে নায়িকা হিসেবে মৌসুমীর যাত্রা হয়। তবে সে সময় মৌসুমী নামেই শীর্ষ একজন নায়িকা থাকায় পারিবারিক নাম মৌসুমী বাদ দিয়ে পরিচালক খালেক তার নাম রাখেন শাহনূর। সেই থেকে মৌসুমী হয়ে গেলেন শাহনূর। তার পারিবারিক নাম সৈয়দা কামরুন্নাহার মৌসুমী। শাহনূর অভিনীত প্রথম চলচ্চিত্র ‘ফাঁসির আদেশ’ পরে আর মুক্তি পায়নি।
২০০০ সালের ৯ জানুয়ারি জিল্লুর রহমান ময়না পরিচালিত ‘জিদ্দি সন্তান’ চলচ্চিত্রের মাধ্যমে বড় পর্দায় তার অভিষেক ঘটে। সিনেমায় তার বিপরীতে ছিলেন সে সময়ের অন্যতম ব্যস্ত নায়ক রুবেল। দেখতে দেখতে চলচ্চিত্রে অভিনয়ের পথচলায় শাহনূর এরই মধ্যে দুই যুগ পার করেছেন। জিদ্দি সন্তানের পর নানা সময়ে তার অভিনীত মুক্তিপ্রাপ্ত উল্লেখযোগ্য সিনেমাগুলো হচ্ছে ‘স্বপ্নের বাসর’, ‘হাজার বছর ধরে’, ‘মায়ের জন্য যুদ্ধ’, ‘শেষ যুদ্ধ’, ‘রাজধানী’, ‘নয়ন ভরা জল’, ‘লাভ স্টেশন’, ‘প্রেম সংঘাত’, ‘কারাগার’, ‘ইন্দুবালা’ ইত্যাদি।
শাহনূর শিগগির নতুন কাজে অংশ নিতে যাচ্ছেন। এর মধ্যে রয়েছে নতুন সিনেমা, নতুন ধারাবাহিক নাটক। শাহনূর অভিনীত প্রথম নাটক ‘কুয়াশার শেষ চিঠি’। প্রথম ধারাবাহিক নাটক জাহাঙ্গীর আলম সুমন পরিচালিত ‘তামাদি’। ইন্ডাস্ট্রিতে দীর্ঘ যাত্রা নিয়ে শাহনূর বলেন, ‘আজ ফেলে আসা দিনের অনেক স্মৃতিই মনে পড়ছে। চলার পথে যারা শুরু থেকে অনুপ্রেরণা দিয়ে এসেছিলেন, তাদের কেউই আজ নেই। জীবনে অনেক মানুষ হারিয়েগেছে। মাঝেমধ্যে তাদের খুব মিস করি। সত্যি বলতে কি, আমাদের ছোট্ট একটা জীবন, অথচ কতশত চাওয়া। আমার কিন্তু জীবনে খুব বেশি চাওয়া নেই। এই এখন যেমন আছি, ভালোই আছি। বাবা নেই, খুব মিস করি। আম্মা সঙ্গে আছেন। মাকে নিয়েই আমার সুখের পৃথিবী। ধন্যবাদ কৃতজ্ঞতা আমার চলচ্চিত্র জীবনে যারা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছেন, ধন্যবাদ সব দর্শক ও সংবাদমাধ্যমের প্রতি।’
এ নায়িকার অভিনীত ৫০তম চলচ্চিত্র হচ্ছে বদিউল আলম খোকন পরিচালিত ‘রাজা বাবু’। এদিকে শাহনূর অভিনীত মুক্তি প্রতীক্ষিত চলচ্চিত্রগুলো হচ্ছে ‘জীবন যন্ত্রণা’, ‘অপহরণ’, ‘হবার তো হবেই প্রেম’, ‘কে আমার শত্রু’ ও ‘কাকতাড়ুয়া’।