ছোটবেলা থেকেই গানের সঙ্গে সম্পৃক্ত কানিজ খাদিজা তিন্নি। নারায়ণগঞ্জের মেয়েটি বাবার আগ্রহের কারণেই গানে হাতেখড়ি। রিয়্যালিটি শো ‘চ্যানেল আই সেরাকণ্ঠ ২০১৭’র সঙ্গে নিজেকে সম্পৃক্ত করেছিলেন তিন্নি। একের পর এক ধাপ পেরিয়ে তিনি আয়োজনে ‘গ্র্যান্ড ফিনালে’তে চলে আসেন। এর পর থেকেই তিন্নির গানের ভুবনে একটু একটু করে ব্যস্ততা বেড়ে যায়। স্টেজ শোতে যেমন তিনি একটু একটু করে ব্যস্ত হয়ে ওঠেন। ঠিক তেমনি মৌলিক গান প্রকাশেও তিনি মনোযোগী হয়ে ওঠেন। চলার পথে গানে গানে জীবনে প্রথম গানের জন্য সম্মাননাও চলে আসে ‘চ্যানেল আই মিউজিক অ্যাওয়ার্ড’। দেশের গান ‘শরৎ আমার স্নিগ্ধতা’ গানটির জন্য তিনি এ সম্মাননায় ভূষিত হয়েছিলেন। আবার ২০২২ সালেও ‘প্রজাপতি মন’ গানের জন্য ‘বিসিআরএ’ সম্মাননা প্রদান অনুষ্ঠানে সেরা গায়িকার স্বীকৃতিতে ভূষিত হন তিনি। তবে এই দুই পুরস্কারপ্রাপ্তির আগে পরে আরও কয়েকটি মৌলিক গান প্রকাশিত হয়েছে তার। ২০১৭ থেকে আজকের দিন পর্যন্ত গানের ভুবনে তিন্নির ব্যস্ততাও বেড়েছে অনেক। তবে তিন্নি সবসময়ই ধীর গতিতে চলায় বিশ্বাসী। অনেক মৌলিক গান করতে হবে এমনটায় বিশ্বাসী নন। মৌলিক গান শ্রোতাদের মনের মতো হওয়াটা জরুরি, ভালো গীতিকবিতার চমৎকার সুরের হওয়াটা জরুরি। তিন্নির প্রকাশিত শ্রোতাপ্রিয় মৌলিক গানগুলোর মধ্যে অন্যতম হচ্ছে ‘শরৎ আমার স্নিগ্ধতা’, ‘প্রজাপতি মন’, ‘মেঘমালা’, ‘শত শত রাত’, ‘চেয়েছি তোমায়’ ইত্যাদি। যে কোনো স্টেজ শোতে তিন্নি তার নিজের প্রকাশিত মৌলিক গানগুলো গেয়ে থাকেন। পাশাপাশি বাংলাদেশ ও ভারতের হারানো দিনের জনপ্রিয় গানগুলোও পরিবেশন করে থাকেন। তবে আজ তিন্নির যে অবস্থান সেজন্য তিনি কৃতজ্ঞ কার কাছে? জানতে চাওয়া হলে তিন্নি বলেন, ‘মহান আল্লাহর কাছে অসীম কৃতজ্ঞতা, কৃতজ্ঞ আমি আমার পরিবারের কাছে। তবে সবচেয়ে বেশি কৃতজ্ঞ আমি চ্যানেল আই পরিবারের কাছে। কারণ চ্যানেল আই আমাকে একজন শিল্পী হিসেবে প্রতিষ্ঠা পাওয়ার ক্ষেত্রে চ্যানেল আই সেরাকণ্ঠ ২০১৭- নামে একটি প্ল্যাটফর্ম দিয়েছে। এই প্ল্যাটফর্মের কারণেই আমি আজকের তিন্নি।’