নাটক মানেই কেবল বিনোদন নয়—এটা সমাজের আয়না। যেখানে গল্পের ছলে ধরা পড়ে অসংগতি, অন্যায় ও অবক্ষয়ের বাস্তব রূপ। এমনই এক বাস্তবতাকে ভিন্ন আঙ্গিকে তুলে এনেছেন নির্মাতা মজুমদার সিমুল তার নতুন নাটক ‘এলিয়েন বেবি’-তে।
নামেই আলাদা, গল্পেও অন্যরকম। নাটকের প্লট ঘিরে রয়েছে একটি ভিন্নমাত্রার সামাজিক চিত্র। বেকারত্ব, ঘুষ, হতাশা, মানসিক অবক্ষয় এবং পারিবারিক বন্ধনের টানাপোড়েন—সব মিলিয়ে নির্মাতা ফুটিয়ে তুলেছেন এক ব্যর্থ সমাজের গল্প। একপর্যায়ে দেখা যায়, নেশাগ্রস্ত এক বাবা নিজের সন্তানকে এলিয়েন বলে ভাবতে শুরু করে। কিন্তু কেন? এখানেই গল্প নেয় মোড়। সেই রহস্য উন্মোচনের মধ্যেই ধরা পড়ে নির্মাতার সৃজনশীলতা ও নির্মাণ-দক্ষতা।
নির্মাতা মজুমদার সিমুল বলেন, “আমি একটি ব্যর্থ সমাজের প্রতিচ্ছবি তুলে ধরার চেষ্টা করেছি ‘এলিয়েন বেবি’তে। এখানে যা যা দেখানো হয়েছে, সবই আমাদের সামাজিক জীবনের ব্যর্থতার প্রতিচ্ছবি। এটা কেবল মানবিক নয়, সামাজিক অবক্ষয়েরও দলিল।”
সম্প্রতি নাটকটি বাংলাভিশনে প্রচারিত হয় এবং প্রচারের পর থেকেই দর্শকমহলে ব্যাপক সাড়া ফেলেছে। সামাজিক মাধ্যমে নাটকটির গল্প, নির্মাণশৈলী ও অভিনয় নিয়ে চলছে প্রশংসার ঝড়। অভিনয়ে ছিলেন ফারহান আহমেদ জোভান, তানজিম সাইরা তটিনী, প্রয়াত শাহবাজ সানী, ইকবাল হোসে, আল আমিন দুরানী, রিয়াজ রাজ, এবং শিশুশিল্পী আইরাসহ আরও অনেকে। বিশেষ করে জোভান ও তটিনীর পাল্লা দিয়ে অভিনয় নাটকটিকে এনে দিয়েছে এক নতুন মাত্রা। অন্যান্য চরিত্রের অভিনয়ও ছিল প্রশংসনীয়।
‘এলিয়েন বেবি’ নিছক একটি নাটক নয়—এটি এক অদ্ভুত ও গভীর বাস্তবতার রূপক উপস্থাপন। একটি সমাজ কোথায় গিয়ে দাঁড়ালে একজন বাবা তার সন্তানকে এলিয়েন ভাবে—এই ভাবনাই প্রশ্ন তোলে দর্শকের মনে। আর সেই প্রশ্ন থেকেই উঠে আসে আত্মবিশ্লেষণের আহ্বান।
মন্তব্য করুন