অস্ট্রেলিয়ায় সংগীত পরিবেশন করেছেন বাংলাদেশের জনপ্রিয় শিল্পী তাহসান খান ও তার ব্যান্ড। গত শনিবার সিডনির নিউ সাউথ ওয়েলস ইউনিভার্সিটির সায়েন্স থিয়েটারে অনুষ্ঠিত হয় ‘তাহসান খান লাইভ ইন সিডনি’ শীর্ষক মনোজ্ঞ এ সংগীত সন্ধ্যা। রেমিয়ানস অস্ট্রেলিয়ার আয়োজনে সিডনির সংগীতপ্রেমী মানুষের ঢল নামে সায়েন্স থিয়েটারে। মোম মজিদের উপস্থাপনায় অনুষ্ঠানটি ছিল এক কথায় অসাধারণ। এ আয়োজনের প্রধান পৃষ্ঠপোষক বাংলাদেশের ফ্যাশন ডিজাইনের অন্যতম খ্যাতনামা পথিকৃৎ aarong.com। দক্ষিণ গোলার্ধে দিনটি ছিল শীতকালের প্রথম দিন। আবহাওয়া কিছুটা বৈরী। অনুষ্ঠানে অবিরাম বৃষ্টি উপেক্ষা করে তরুণ-তরুণীরা উপস্থিত হয়েছিল। তাহসানের গানে উন্মত্ত হয়ে উঠেছিল সংগীতপ্রেমী মানুষরা। সিডনির দর্শকরা প্রত্যক্ষ সাক্ষী হয়ে রইল জনপ্রিয়তম তারকার অনন্য পরিবেশনা। তার কণ্ঠের জাদুতে বিমোহিত দর্শক-শ্রোতামণ্ডলী স্মৃতিকাতর হয়ে উঠেছিল বারবার। প্রতিটি গানের সঙ্গে তারা গলা মিলিয়ে গান গেয়েছে, নেচে উঠেছে সুরের তালে। দূর-দূরান্তের শহরগুলো থেকেও ফ্যানরা এসে মুগ্ধ হয়ে ফিরে গেছে নিজ আলয়ে। তারা গুনগুন সুরে তাহসানের গান গাইতে গাইতে ঘরে ফেরার পথে মনের অলিন্দে সঞ্চিত করেছে মার্জিত ও সফল এক আয়োজনের অভিজ্ঞতাকে।
স্মরণীয় সন্ধ্যার শুরুতেই সংগীত পরিবেশন করে স্থানীয় ব্যান্ড ‘রকাহন’, যা ছিল দর্শকদের জন্য বাড়তি পাওনা। এমন উপলক্ষকে কাজে লাগিয়ে বাংলাদেশের গৌরব ও সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য জামদানি শাড়িকে বিশ্বের দরবারে উপস্থাপনের তরে তাহসানের গানের আগে ফ্যাশন শোর আয়োজন করা হয়। বাংলাদেশের অহংকার জামদানি শাড়িই ছিল ফ্যাশন শোর মূল থিম।
ছোট্ট অথচ পরিশীলিত এ অংশটিও দর্শকদের প্রশংসা কুড়ায়।
‘তাহসান খান লাইভ ইন সিডনি’ অনুষ্ঠানের আয়োজকরা দর্শক-শ্রোতার উচ্ছ্বাসকে আশীর্বাদরূপে গ্রহণ করেছেন। আরও কয়েক শতাধিক আগ্রহী দর্শকের স্থান সংকুলান (টিকিট সরবরাহ) করতে না পারার জন্য তারা গভীর দুঃখ প্রকাশ করেছেন। আয়োজকদের পক্ষে রেমিয়ানস অস্ট্রেলিয়ার প্রেসিডেন্ট সালেহ আহমেদ জামী উপস্থিত সব দর্শক-শ্রোতা, যন্ত্রশিল্পী, কলাকুশলী, আয়োজক-পৃষ্ঠপোষক, ব্যবস্থাপক, তরুণ ভলান্টিয়ার দল এবং নেপথ্যের কারিগরদের ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানান।