কালবেলা প্রতিবেদক
প্রকাশ : ০৭ অক্টোবর ২০২৫, ১২:৪৫ পিএম
আপডেট : ০৭ অক্টোবর ২০২৫, ০২:১৬ পিএম
অনলাইন সংস্করণ

২০২৬ সালে বাংলাদেশের জিডিপি প্রবৃদ্ধি হবে ৪.৮ শতাংশ : বিশ্বব্যাংক

সংবাদ সম্মেলনে বিশ্বব্যাংকের কর্মকর্তারা। ছবি : কালবেলা
সংবাদ সম্মেলনে বিশ্বব্যাংকের কর্মকর্তারা। ছবি : কালবেলা

চলতি অর্থবছর শেষে বাংলাদেশের মোট দেশজ উৎপাদনের (জিডিপি) প্রবৃদ্ধি বাড়ার পূর্বাভাস দিয়েছে বিশ্বব্যাংক। উন্নয়ন সহযোগী সংস্থাটি জানিয়েছে, ২০২৬ সালে বাংলাদেশের জিডিপি প্রবৃদ্ধি হতে পারে ৪.৮ শতাংশ। ২০২৭ সালে সেটা আরও বেড়ে ৬.৩ শতাংশে উন্নীত হওয়ার পূর্বাভাস দিয়েছে। তবে বাংলাদেশের কর্মসংস্থান নিয়ে উদ্বেগ জানিয়েছে বিশ্বব্যাংক।

মঙ্গলবার (৭ অক্টোবর) বিশ্বব্যাংকের বাংলাদেশ অফিসে আয়োজিত বাংলাদেশ আপডেট শীর্ষক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানানো হয়।

বাংলাদেশ আপডেটে বলা হয়েছে, ২০২৫ অর্থবছরের প্রথম প্রান্তিকে মারাত্মক ব্যাঘাত সত্ত্বেও পরবর্তী প্রান্তিকগুলিতে জিডিপি প্রবৃদ্ধি বৃদ্ধি পেয়েছে। বহিরাগত খাতের চাপ হ্রাস পেয়েছে, রিজার্ভ হ্রাস স্থিতিশীল হয়েছে এবং মুদ্রাস্ফীতির চাপ হ্রাস পেয়েছে।

তবে উল্লেখযোগ্য চ্যালেঞ্জ রয়ে গেছে বলে মনে করে সংস্থাটি। বেসরকারি বিনিয়োগের প্রবৃদ্ধি তীব্রভাবে ধীর হয়ে গেছে এবং কর্মসংস্থান সৃষ্টি স্থবির হয়ে পড়েছে। ব্যাংকিং খাত এখনও ঝুঁকিপূর্ণ, উচ্চমাত্রার অনাদায়ি ঋণের কারণে। রাজস্ব আদায় এখনও দুর্বল।

বিশ্বব্যাংক বলছে, চলতি অর্থবছর নানা চ্যালেঞ্জের মধ্যেও বাংলাদেশের অর্থনীতি তুলনামূলকভাবে স্থিতিশীল থেকেছে। তবে গণ-আন্দোলনের কারণে প্রথম প্রান্তিকে বড় ধাক্কা খেয়ে পুরো অর্থবছরে প্রবৃদ্ধি সামান্য কমে ৪.২ শতাংশ থেকে ৪.০ শতাংশে দাঁড়ায়। এই মন্থরতার পেছনে মূল কারণ ছিল বিনিয়োগ স্থবিরতা, উচ্চ সুদের হার ও উৎপাদন ব্যয়ের বৃদ্ধি। বেসরকারি খাতে ঋণ প্রবৃদ্ধি ২২ বছরের মধ্যে সর্বনিম্নে নেমে আসে এবং মূলধনি পণ্যের আমদানি কমে যায়।

বেসরকারি বিনিয়োগ কমে যাওয়ার কারণ উল্লেখ করে তারা বলছে, দুর্বল বিনিয়োগের কারণে প্রবৃদ্ধির মন্দা দেখা দিয়েছে, যা মাত্র ০.৮ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। রাজনৈতিক অনিশ্চয়তা এবং ব্যবসা পরিচালনার উচ্চব্যয়ের কারণে বেসরকারি বিনিয়োগ কম ছিল।

তাছাড়া সরকারি বিনিয়োগও হ্রাস পেয়েছে। বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচির ব্যয় এবং মূলধনি পণ্যের আমদানি যথাক্রমে ২৫.৫ শতাংশ এবং ১০.২ শতাংশ কমেছে। চাহিদা স্থিতিশীল থাকার কারণে রপ্তানিতে প্রত্যাবর্তন ঘটেছে। শক্তিশালী রেমিট্যান্সপ্রবাহ ভোগকে সমর্থন করেছে।

সংস্থাটি জানিয়েছে, মূল্যস্ফীতি কিছুটা কমলেও পুরো বছর উচ্চ ছিল। তবে তৈরি পোশাক খাতের রপ্তানি প্রবৃদ্ধি জিডিপিতে বড় ভূমিকা রাখে। শিল্প খাতে সামান্য উন্নতি দেখা গেলেও নির্মাণ খাতে বড় পতন ঘটে। বন্যার ধকল কাটিয়ে কৃষিখাত বছরের শেষার্ধে ঘুরে দাঁড়ায়, কিন্তু বাণিজ্য, পরিবহন ও রিয়েল এস্টেট খাতের ধীরগতি সেবা খাতকে চাপে রাখে।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

এবার আরেক অপ্রতিরোধ্য সক্ষমতা অর্জনের পথে পাকিস্তান

কুমিল্লায় গৃহবধূকে ধর্ষণ, ২ যুবক গ্রেপ্তার

মেঘনায় অভিযানিক দল ও জেলেদের সংঘর্ষ

হংকংয়ের বিপক্ষে জয় নিয়ে আশাবাদী হামজা

যে ৬ সমস্যায় কখনোই এআইয়ের পরামর্শ নেওয়া যাবে না

গিয়াস উদ্দিন কাদের চৌধুরীর অনুসারীকে প্রকাশ্যে গুলি করে হত্যা

চাঁদাবাজদের উপযুক্ত জবাব দেওয়া হবে : কফিল উদ্দিন

ডাকসুর জিএস ফরহাদ হোসেনকে রাঙামাটিতে সংবর্ধনা

পুলিশ সদস্যদের হামলা ও অপদস্তের প্রতিবাদ দুই সংগঠনের 

ফুটপাতে পাওয়া সেই নবজাতককে নিতে চান ২৩ দম্পতি

১০

আগামী বছর থেকে ফুটবল ক্যালেন্ডারে আসছে বড় পরিবর্তন

১১

ট্রাম্পের জন্মদিনে হোয়াইট হাউসে ইতিহাস রচনা করবে ইউএফসি লড়াই

১২

বিএনপি ক্ষমতায় গেলে শিক্ষা সংস্কার কমিশন করা হবে : তারেক রহমান

১৩

আধুনিক যন্ত্রেই নিশ্চিত হবে নিরাপদ খাদ্য : মেয়র শাহাদাত

১৪

শিপিং এজেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের নির্বাচন স্থগিত

১৫

একযোগে গণঅধিকার পরিষদের ৩৬ নেতার পদত্যাগ

১৬

মেঘনা নদীতে নৌযানে চাঁদাবাজি, সংঘর্ষে পুলিশসহ আহত ৫

১৭

ইরাক থেকে প্রচুর তেল নিচ্ছে চীন-ভারত

১৮

‘রোহিত-বিরাটের বিদায়ের পিছনে দায় গম্ভীরের’

১৯

৫ কোটি টাকার অবৈধ সম্পদ, এনবিআরের সদস্য বেলালের নামে দুদকের মামলা

২০
X