কালবেলা প্রতিবেদক
প্রকাশ : ২৬ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ০৩:১০ পিএম
অনলাইন সংস্করণ

গভর্নরদের সূচকে ডি গ্রেড পেলেন আব্দুর রউফ তালুকদার

বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আব্দুর রউফ তালুকদার। ছবি : সংগৃহীত
বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আব্দুর রউফ তালুকদার। ছবি : সংগৃহীত

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কভিত্তিক গ্লোবাল ফাইন্যান্স ম্যাগাজিনের র‌্যাংকিংয়ে গভর্নর হিসেবে (ডি) গ্রেড পেয়েছেন বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আব্দুর রউফ তালুকদার। গত রোববার (২৪ সেপ্টেম্বর) ম্যাগাজিনটির ওয়েবসাইটে এ সংক্রান্ত একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়।

বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আব্দুর রউফ তালুকদার ‘ডি’ গ্রেড পেলেও মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণসহ সব সূচকে সাফল্য অর্জন করায় প্রতিবেশী দেশ ভারতের কেন্দ্রীয় ব্যাংকের গভর্নর শক্তিকান্ত দাশ পেয়েছেন ‘এ’ প্লাস। অন্যদিকে, শ্রীলঙ্কাকে দেউলিয়াত্ব ও ভয়াবহ মূল্যস্ফীতির পরিস্থিতি থেকে বের করে আনা গভর্নর নন্দলাল বীরাসিংহে পেয়েছেন ‘এ’ মাইনাস গ্রেড।

গভর্নর হিসেবে এ প্লাস পেয়েছেন মাত্র তিন জন গভর্নর। অন্য দু’জন হলেন- সুইজারল্যান্ডের কেন্দ্রীয় ব্যাংকের গভর্নর টমাস জর্ডান ও ভিয়েতনামের কেন্দ্রীয় ব্যাংকের গভর্নর নগুয়েন থি হোং।

১৯৯৪ সাল থেকে বিশ্বের বিভিন্ন দেশের গভর্নরদের গ্রেডিং করে আসছে গ্লোবাল ফাইন্যান্স ম্যাগাজিন। সাময়িকীটির বার্ষিক প্রকাশনা হিসেবে নিয়মিতভাবে প্রকাশ হচ্ছে ‘সেন্ট্রাল ব্যাংকার রিপোর্ট কার্ড’। ১০১টি গুরুত্বপূর্ণ দেশের কেন্দ্রীয় ব্যাংকের গভর্নরদের মূল্যায়নের ভিত্তিতে ২০২৩ সালের সবশেষ এই প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়েছে।

বাংলাদেশ প্রসঙ্গে প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, করোনা পরবর্তী সময়ে বাংলাদেশের জিডিপি প্রবৃদ্ধির হার ছিল ৫ দশমিক ৬ শতাংশ। মূল্যস্ফীতির হার কেন্দ্রীয় ব্যাংকের ৫ শতাংশ লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে কিছুটা বেশি হলেও মুদ্রার বিনিময় হার স্থিতিশীল ছিল। কিন্তু ২০২২ সালের মাঝামাঝি সময়ের মধ্যে টাকার ৯ দশমিক ৫ শতাংশ অবমূল্যায়ন হয়। কিন্তু দেশের বাজারে ডলার-সংকটের কারণে আমদানিকারকরা হিমশিম খেতে থাকেন। রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে জ্বালানি ও খাদ্যমূল্য অনেকটা বেড়ে মূল্যস্ফীতি লাগামহীন হয়ে পড়ে। এরপর কেন্দ্রীয় ব্যাংকের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ কমতে থাকায় আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) দ্বারস্থ হয় বাংলাদেশ।

গ্লোবাল ফাইন্যান্স ম্যাগাজিনের বিগত বছরগুলোয় প্রকাশিত ‘সেন্ট্রাল ব্যাংকার রিপোর্ট কার্ড’ প্রতিবেদনের তথ্য অনুযায়ী, বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর ড. আতিউর রহমানের ২০১২ থেকে ২০১৪ সাল পর্যন্ত সময়ে তার গ্রেড ছিল ‘সি’। ২০১৫ সালে তিনি ‘বি মাইনাস’ গ্রেডে উন্নীত হন। তারপরের গভর্নর ফজলে কবির ২০১৭ সালে ‘বি’ গ্রেড অর্জন করেন। তবে ২০১৮ ও ২০১৯ সালে তার গ্রেড ছিল নিম্নমুখী। ওই দু’বছর তিনি পান ‘ডি’ গ্রেড। ২০২০ ও ২০২১ সালের জন্য ফজলে কবিরকে ‘সি’ গ্রেড দেয় ম্যাগাজিনটি।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন
  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

কুমিল্লার সিনিয়র জেল সুপারকে গ্রেপ্তারের হুমকি এডিসির, অডিও ভাইরাল

জরুরি বৈঠকে উপদেষ্টা পরিষদ

বাংলাদেশ আজ দুই ভাগে বিভক্ত : হাসনাত

চট্টগ্রাম ওয়াসাকে ২৮ কোটি ডলার ঋণ দেবে বিশ্বব্যাংক

গণতন্ত্র যাতে কারও হাতে জিম্মি হতে না পারে : আমীর খসরু

ছাত্রদল নেতার বিরুদ্ধে ধর্ষণ মামলা তুলে নিতে বিএনপি নেতার হুমকি

‘নান অব আওয়ার বিজনেস’ বলেও মধ্যস্থতায় কেন যুক্তরাষ্ট্র?

সংবাদ সম্মেলন চলাকালে প্রেস ক্লাবে ছাত্রদল নেতার হামলা

জাতীয় টেলিভিশন বিতর্কে চ্যাম্পিয়ন ঢাবির জসীমউদদীন হল

একনজরে আজকের ভারত-পাকিস্তান ঘটনাপ্রবাহ

১০

বুদ্ধ পূর্ণিমা উপলক্ষে পূজা উদযাপন পরিষদের শুভেচ্ছা

১১

কেন জরুরি বৈঠক, জানালেন প্রেস সচিব

১২

ভারতীয় গণমাধ্যমগুলো বিনোদনে পরিণত হয়েছে : প্রেস সচিব

১৩

টাঙ্গাইলে সাপের কামড়ে স্কুলছাত্রীসহ ২ জনের মৃত্যু

১৪

আ.লীগকে নিষিদ্ধে গণঅধিকার পরিষদের স্মারকলিপি

১৫

আ.লীগ নিষিদ্ধে এক ঘণ্টা সময় দিলেন হাসনাত

১৬

গৃহবধূর চুল কাটার ঘটনায় মা ও মেয়ে গ্রেপ্তার

১৭

আ.লীগ নিষিদ্ধ না করলে কী হবে, জানালেন নুর

১৮

আইইবিকে ফ্যাসিস্টমুক্ত করে ভাবমূর্তি ফিরিয়ে আনার দাবি

১৯

বর্তমান সরকারকে আমরা সফল দেখতে চাই : তারেক রহমান

২০
X