চট্টগ্রাম মহানগরীতে নিরাপদ, নির্ভরযোগ্য এবং জলবায়ু সহনশীল পানি সরবরাহ বৃদ্ধি এবং উন্নত স্যানিটেশন ব্যবস্থার জন্য চট্টগ্রাম ওয়াসাকে ২৮ কোটি ডলার ঋণ দেবে বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় উন্নয়ন সহযোগী বিশ্বব্যাংক।
শনিবার (১০ মে) অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের (ইআরডি) পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
শনিবার বাংলাদেশ সরকার এবং বিশ্বব্যাংকের আন্তর্জাতিক উন্নয়ন সংস্থার (আইডিএ) মধ্যে ‘চট্টগ্রাম ওয়াসা ওয়াটার সাপ্লাই ইমপ্রুভমেন্ট প্রজেক্ট (সিডব্লিউিএসআইপি)’ শীর্ষক প্রকল্প বাস্তবায়নের জন্য ২৮ কোটি ডলার ঋণের অর্থায়ন চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়। বাংলাদেশ সরকারের পক্ষে ইআরডির সচিব মো. শাহ্রিয়ার কাদের ছিদ্দিকী এবং আইডিএর পক্ষে বিশ্বব্যাংকের অন্তর্বর্তী কান্ট্রি ডিরেক্টর মার্টিন গেইল অর্থায়ন চুক্তি স্বাক্ষর করেন।
স্থানীয় সরকার বিভাগের আওতাধীন চট্টগ্রাম ওয়াসা কর্তৃক বাস্তবায়িতব্য প্রকল্পটি ৩১ ডিসেম্বর ২০৩০ পর্যন্ত বাস্তবায়িত হবে। প্রকল্পের মাধ্যমে চট্টগ্রাম মহানগরীতে নিরাপদ, নির্ভরযোগ্য এবং জলবায়ু সহনশীল পানি সরবরাহ বৃদ্ধি এবং উন্নত স্যানিটেশন ব্যবস্থার উন্নতি এবং চট্টগ্রাম ওয়াসার পরিচালন দক্ষতা উন্নয়ন এবং আর্থিক ক্ষমতা টেকসইকরণ করা হবে।
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, প্রকল্পটির অনুকূলে বিশ্বব্যাংক থেকে পাওয়া ২৮ কোটি ডলার ঋণের শর্তাবলির মধ্যে রয়েছে, বিশ্বব্যাংকের ১৪ কোটি ডলার (সমপরিমাণ ১০৫.২০ মিলিয়ন এসডিআর) প্রদান করা হবে। ঋণ পরিশোধের মেয়াদ ৬ বছর গ্রেস পিরিয়ডসহ মোট ১২ বছর। এ ঋণের উত্তোলিত অর্থের ওপর কোনো সার্ভিস চার্জ, কমিটমেন্ট ফি এবং সুদ প্রদান করতে হবে না।
বিশ্বব্যাংকের অবশিষ্ট ১৪ কোটি ডলার সমপরিমাণ জাপানিজ ইয়েন প্রদান করা হবে। এক্ষেত্রে ফ্রন্ট অ্যান্ড ফি বাবদ ০.২৫% প্রদান করতে হবে। এ ঋণ পরিশোধের মেয়াদকাল ৫ বছর গ্রেস পিরিয়ডসহ ৩৫ বছর। গৃহীতব্য এ ঋণের অনুত্তোলিত অর্থের ওপর কমিটমেন্ট ফি বাবদ ০.২৫% প্রদেয় এবং এ ঋণের সুদের হার হবে টোকিও ওভারনাইট এভারেজ রেট (টোনা) ও ভেরিয়েবল স্প্রেড।
বিশ্বব্যাংক বাংলাদেশের বৃহত্তম বহুপাক্ষিক উন্নয়ন অংশীদার। স্বাধীনতার পর থেকে বিশ্বব্যাংক বাংলাদেশের জন্য ৪৩.৫০ বিলিয়ন ডলারেরও বেশি অর্থায়নের প্রতিশ্রুতি দিয়েছে যা বাংলাদেশ এবং বিশ্বব্যাংকের মধ্যে পারস্পরিক সহযোগিতা দৃঢ় করেছে।
বর্তমানে, বিশ্বব্যাংক অর্থনৈতিক ও সামাজিক উন্নয়ন, প্রাতিষ্ঠানিক সংস্কার, অবকাঠামো উন্নয়ন এবং জ্বালানি খাতের উন্নয়নসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রকে অন্তর্ভুক্ত করে ৪৭টি চলমান প্রকল্পের জন্য ১৩.১০ বিলিয়ন মার্কিন ডলার অর্থায়ন করছে।
মন্তব্য করুন