চট্টগ্রাম ব্যুরো
প্রকাশ : ১০ মে ২০২৫, ০৮:৫৮ পিএম
অনলাইন সংস্করণ

গণতন্ত্র যাতে কারও হাতে জিম্মি হতে না পারে : আমীর খসরু

তারুণ্যের সমাবেশে বক্তব্য রাখছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী। ছবি : কালবেলা
তারুণ্যের সমাবেশে বক্তব্য রাখছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী। ছবি : কালবেলা

দেশকে জিম্মি করে কারও স্বার্থ আদায় করতে দেওয়া হবে না জানিয়ে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেছেন, আমরা ৩১ দফা নিয়ে বাংলাদেশের প্রতিটি জেলায় গিয়েছি। কিন্তু কোনো দলকে তো তাদের কোনো সংস্কার প্রস্তাব নিয়ে যেতে দেখিনি। অনেক নতুন দল দেখছি সংস্কারের কথা বলছে। তারুণ্যের সমাবেশে আজকে ক্রিকেটার তামিমকে দেখে বলতে হচ্ছে, চট্টগ্রামের তরুণরা আজ ছক্কা মেরেছে।

শনিবার (১০ মে) চট্টগ্রাম নগরীর পলোগ্রাউন্ড মাঠে যুবদল, স্বেচ্ছাসেবক দল ও ছাত্রদলের যৌথ উদ্যোগে আয়োজিত তারুণ্যের সমাবেশে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন স্বেচ্ছাসেবক দলের সাধারণ সম্পাদক রাজিব আহসান ও ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক নাসির উদ্দিন নাসির।

তরুণরা বড় শক্তি দাবি করে আমীর খসরু বলেন, বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় শক্তি তরুণরা। ফ্যাসিস্ট স্বৈরাচার পতনের মূল শক্তি ছিলেন তরুণরা। আন্দোলনের কৃতিত্ব তরুণদের দিতে হবে। সেদিন সব নেতাকর্মী প্রাণ দিতে বুক পেতে দিয়েছে। বাংলাদেশের মালিকানা ফিরিয়ে দেওয়ার লড়াই করেছেন। অধিকারের লড়াই করেছেন। কিন্তু আজ গণতন্ত্র জিম্মি হওয়ার লক্ষণ দেখা যাচ্ছে।

তিনি আরও বলেন, গণতন্ত্র ফিরে পাওয়ার জন্য আমাদের হাজার হাজার নেতাকর্মী খুন হয়েছে। মামলায় গ্রেপ্তার এড়াতে পুলিশের ভয়ে ঘরবাড়ি ছেড়ে মাঠে-ঘাটে রাতের পর রাত থেকেছে। মিথ্যা এবং গায়েবি মামলায় জেল খেটেছে. বিনা চিকিৎসায় মারা গেছে; তবুও আন্দোলন থেমে ছিল না। আর সেই গণতন্ত্র যাতে কারও হাতে জিম্মি হতে না পারে সেদিকে তরুণদের সোচ্চার হতে হবে।

বিএনপির এ নেতা বলেন, স্বৈরাচার পালিয়ে যাওয়ার পর বাংলাদেশের যে পরিবর্তন এসেছে তা ধরে রাখতে হবে। গোঁজামিলের কোনো কথা নেই, দিনের আলোর মতো সব পরিষ্কার। বাংলাদেশের মানুষকে জিম্মি করে কারও স্বার্থ আদায় করা সম্ভব হবে না। দেশকে জিম্মি করে কারও স্বার্থ আদায় করতে দেওয়া যাবে না।

আমীর খসরু আরও বলেন, বাংলাদেশে নির্বাচনের হাওয়া বইতে শুরু করেছে। গণতন্ত্রের পথ কেউ যাতে রুদ্ধ করতে না পারে সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে। আমাদের আরও সহনশীল হতে হবে। তারেক রহমানের ৩১ দফা বাস্তবায়নের চিন্তা করতে হবে। এ ৩১ দফার মাধ্যমে আমরা সবার মেনডেট চাইব। আমরা বাংলাদেশে নতুন সংস্কৃতি করতে চাই।

তারুণ্যের রাজনৈতিক অধিকার প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে আয়োজিত এ সমাবেশে চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, রাঙামাটি, খাগড়াছড়ি, বান্দরবান, নোয়াখালী, লক্ষ্মীপুর, চাঁদপুর, ফেনী, কুমিল্লা ও ব্রাহ্মণবাড়ীয়া জেলার নেতাকর্মীরা মিছিল নিয়ে সমাবেশে সমবেত হয়েছেন। সমাবেশে চট্টগ্রাম মহানগরসহ বিভাগের ৯৯টি উপজেলার নেতাকর্মীরা মিছিল নিয়ে অংশ নিয়েছেন।

সমাবেশে আরও উপস্থিত ছিলেন বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানি, প্রচার সম্পাদক সুলতান সালাউদ্দিন টুকু, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক ব্যারিস্টার মীর হেলাল, যুবদল সভাপতি আবদুল মোনায়েম মুন্না, সাধারণ সম্পাদক নুরুল ইসলাম নয়ন, স্বেচ্ছাসেবক দল সভাপতি এস এম জিলানী, ছাত্রদল সভাপতি রাকিবুল ইসলাম রাকিব, চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক মো. এরশাদুল্লাহ, সদস্য সচিব নাজিমুর রহমান নাজিম, চসিক মেয়র ডা. শাহাদাত হোসেন প্রমুখ।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

ছলচাতুরি না করে আ.লীগের বিচার ত্বরান্বিত করতে হবে : জামায়াতে আমির

জিয়াউর রহমান বাংলাদেশে বহুদলীয় গণতন্ত্র উপহার দিয়েছিলেন: নয়ন

রাজপথেই রয়েছেন আন্দোলনকারীরা

জুলাই ঘোষণাপত্র ছাড়া ঘরে না ফেরার সিদ্ধান্ত আন্দোলনকারীদের 

তিন দফার একটি বাকি থাকতেও রাস্তা ছাড়বো না : হাসনাত

তারেক রহমানের মা ও শাশুড়ির আরোগ্য কামনায় দোয়া মাহফিল

আইইউবিএটি’র প্রতিষ্ঠাতা অধ্যাপক ড. এম. আলিমউল্যা মিয়ানের অষ্টম মৃত্যুবার্ষিকী পালিত

৫ হাজার বৌদ্ধ বিহারে উদযাপিত হবে বুদ্ধপূর্ণিমা 

দল হিসেবে আ.লীগকে বিচারের আওতায় আনতে হবে : সাকি

আরও কমানো হলো সোনার দাম

১০

আ.লীগের সব কার্যক্রম নিষিদ্ধের ঘোষণায় শাহবাগে ছাত্র-জনতার উল্লাস

১১

মধ্যপ্রাচ্য ইস্যুতে নেতানিয়াহু-ট্রাম্পের দূরত্ব বাড়ছে : ইসরায়েলি মিডিয়া

১২

বিএনপিপন্থি প্রকৌশলীদের ওপর আওয়ামীপন্থিদের হামলা

১৩

জুলাই ঘোষণাপত্র নিয়ে যে সিদ্ধান্ত এলো

১৪

যুদ্ধবিরতি কার্যকর / ভারত এখনো স্থগিত রেখেছে পাক-ভারত সিন্ধু জলচুক্তি

১৫

সিএনজি ফিলিং স্টেশনের কমিশন ৫ টাকা ১০ পয়সা বাড়ানোর দাবি

১৬

বিচার শেষ না হওয়া পর্যন্ত আওয়ামী লীগের কার্যক্রম নিষিদ্ধ

১৭

ভারতের রাফাল ধ্বংসকারী সেই যুদ্ধবিমান কিনছে বাংলাদেশ

১৮

ফেনীতে বিশ্ববিদ্যালয়, মেডিকেল কলেজ ও সেনা ব্রিগেড দাবি

১৯

পারিবারিক অনুষ্ঠানে ছোট ভাইয়ের বাসায় গেলেন খালেদা জিয়া

২০
X