ডিম আমদানির আবারও অনুমোদন দিয়েছে বাণিজ্য মন্ত্রণালায়। এবার পাঁচ প্রতিষ্ঠানকে এক কোটি করে পাঁচ কোটি ডিম আমদানির অনুমতি দেওয়া হয়েছে। ডিমের বাজার স্থিতিশীল করতে এ সিদ্ধান্ত বলে জানিয়েছেন বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের জনসংযোগ কর্মকর্তা মো. হায়দার আলী।
রোববার (৮ অক্টোবর) হায়দার আলী জানান, প্রতিষ্ঠানগুলোকে ডিম আমদানির ক্ষেত্রে পাঁচটি শর্ত দেওয়া হয়েছে। এর আগে পাঁচটি প্রতিষ্ঠান আমদানির অনুমোদন চেয়ে আবেদন করে। প্রতিষ্ঠানগুলো হলো মেসার্স লাকি এন্টারপ্রাইজ, ইউনিয়ন ভেনচার লিমিটেড, জে এফ জে প্যারাডাইজ কানেকশন, মেসার্স পিংকি ট্রেডার্স ও লায়েক এন্টারপ্রাইজ।
তিনি আরও জানান, বাজার পরিস্থিতি বিবেচনা করে পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। আমদানি করা ডিম খুচরা পর্যায়ে সরকার নির্ধারিত দাম অর্থাৎ প্রতিটি ১২ টাকায় বিক্রি হবে।
এদিকে আমদানির ক্ষেত্রে পাঁচটি শর্ত নির্ধারণ করে দিয়েছে সরকার। সেগুলো হলো— অ্যাভিয়ান ইনফ্লুয়েঞ্জা বা বার্ড ফ্লুমুক্ত দেশ থেকে ডিম আমদানি করতে হবে। আমদানিকৃত ডিমের প্রতিটি চালানের জন্য রপ্তানিকারক দেশের সরকারের মাধ্যমে নির্ধারিত কিংবা ক্ষমতাপ্রাপ্ত উপযুক্ত কর্তৃপক্ষ প্রদত্ত অ্যাভিয়েন ইনফ্লুয়েঞ্জা বা বার্ড ফ্লুর ক্ষতিকর ব্যাকটেরিয়ামুক্ত সনদ দাখিল করতে হবে। সরকার নির্ধারিত শুল্ক বা কর পরিশোধ করতে হবে। নিষিদ্ধ পণ্য আমদানি করা যাবে না। সরকারের অন্যান্য বিধিবিধান মেনে চলতে হবে।
এর আগে ১৮ সেপ্টেম্বর চার প্রতিষ্ঠানকে চার কোটি ডিম আমদানির অনুমোদন দেওয়া হয়। পরে ২১ সেপ্টেম্বর আরও ৬ কোটি ডিম আমদানির অনুমোদন দেয় বাণিজ্য মন্ত্রণালয়। দেশে প্রতিদিন চার কোটি ডিমের প্রয়োজন হয়। সম্প্রতি ডিমের বাজারে অস্থিরতা দেখা দিলে সরকার দাম নির্ধারণ করে দেয়। উৎপাদনের সঙ্গে চাহিদার সামঞ্জস্য না হওয়ায় এ ঘাটতি দেখা দিয়েছে বলে দাবি ব্যবসায়ীদের।
মন্তব্য করুন