কালবেলা প্রতিবেদক
প্রকাশ : ১৪ নভেম্বর ২০২৩, ০৯:১৩ পিএম
আপডেট : ১৪ নভেম্বর ২০২৩, ১১:৩১ পিএম
অনলাইন সংস্করণ

বুধবার থেকে সব পোশাক কারখানা চালুর সিদ্ধান্ত

ছবি : সংগৃহীত
ছবি : সংগৃহীত

চলমান পোশাক শ্রমিকদের আন্দোলনে বন্ধ হওয়া সব পোশাক কারখানা চালুর সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাংলাদেশ পোশাক প্রস্তুতকারক ও রপ্তানিকারক সমিতি (বিজিএমইএ)। ন্যূনতম মজুরি বাড়ানোর দাবিতে পোশাক শ্রমিকদের আন্দোলনে বিদ্যমান অস্থিতিশীল পরিবেশ শান্ত হয়ে এসেছে দাবি করে বুধবার (১৫ নভেম্বর) থেকে চালুর কথা জানিয়েছেন বিজিএমইএর সভাপতি ফারুক হাসান।

মঙ্গলবার (১৪ নভেম্বর) বিজিএমইএ সভাপতি জানান, শ্রম আইনের ১৩/১ ধারায় বন্ধ হওয়া সব পোশাক কারখানা আগামীকাল (বুধবার) থেকে চালুর সিদ্ধান্ত হয়েছে। যারা কাজে আসবেন তাদের কাজ করার সুযোগ দেওয়া হবে।

এর আগে রোববার (১২ নভেম্বর) পোশাক কারখানায় কর্মচারী ও শ্রমিকদের নিরাপত্তা এবং কারখানার সম্পত্তি রক্ষার স্বার্থে ১৩০টি পোশাক কারখানার সব কার্যক্রম অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ রাখা হয়েছে বলে জানিয়েছিলেন বিজিএমইএ সভাপতি ফারুক হাসান।

তিনি বলেন, সংবাদ সম্মেলনে বিজিএমইএ সভাপতি বলেন, মজুরি বৃদ্ধির পরও আন্দোলনের নামে বিভিন্ন জায়গায় কারখানা ভাঙচুর করা হচ্ছে। উদ্ভূত পরিস্থিতিতে আশুলিয়া, কাশিমপুর, মিরপুর ও কোনাবাড়ী এলাকার প্রায় ১৩০টি পোশাক কারখানা ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষ বাধ্য হয়ে অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেয়। এসব কারখানার মালিকরা মূলত কর্মকর্তা, কর্মচারী ও শ্রমিকদের নিরাপত্তা এবং কারখানার সম্পত্তি রক্ষার স্বার্থে কারখানার সব বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।

তবে যেসব কারখানা শ্রমিকরা কাজ করতে আগ্রহী, সেগুলোতে কাজ চলছে। তাদের কাজ চলমান থাকবে বলেও জানিয়েছেন তিনি।

লিখিত বক্তব্যে বিজিএমইএ সভাপতি বলেন, করোনা মহামারির কারণে দেশের মধ্যে ২০২০-২১ সালে বন্ধ হওয়া কারখানার সংখ্যা ৩১৭। আর করোনাপরবর্তী সময়ে অন্যান্য কারণে প্রতিযোগী সক্ষমতা ধরে রাখতে না পারার কারণে ২৬০টি কারখানা বন্ধ হয়েছে।

এ পর্যন্ত প্রায় ৬৮৮৫টি পোশাক কারখানা বিজিএমইএ’র সদস্যপদ গ্রহণ করলেও কালের পরিক্রমায় ৩৯৬৪টি সদস্য কারখানা বিভিন্ন কারণে বন্ধ হয়ে গেছে। শুধু করোনা মহামারির কারণে ২০২০-২১ সালে বন্ধ হওয়া কারখানার সংখ্যা ৩১৭ এবং পরবর্তীতে অন্যান্য কারণে প্রতিযোগী সক্ষমতা ধরে রাখতে না পারার কারণে ২৬০টি কারখানা বন্ধ হয়েছে।

ফারুক হাসান বলেন, শিল্পের অভ্যন্তরের গভীরতম সংকটের বিষয়টি গণমাধ্যমে সেভাবে প্রকাশিত উঠে আসছে না। কতখানি সংকটের মধ্যে থেকে, কতখানি অনিশ্চয়তা সঙ্গে নিয়ে কারখানাগুলো চলছে তা বন্ধ হওয়ার কারখানার পরিসংখ্যানই বলে দেয়। কোনো উদ্যোক্তাই চান না, তার অক্লান্ত কষ্টে তিলে তিলে গড়া ওঠা শিল্পকারখানা বন্ধ হয়ে যাক। কিন্তু বাহ্যিক নিয়ন্ত্রণবহির্ভূত কিছু বিষয় আছে যার প্রভাব থেকে শিল্প চাইলেও বের হতে পারে না, শিল্পকে তা গ্রহণ করতেই হয়। এটাই এ শিল্পের কঠিন বাস্তবতা।

অত্যন্ত দুঃখজনক যে, আমরা যখন ‘বৈশ্বিক ও আর্থিক’-এ দ্বিমুখী চাপের মধ্যে থেকেই টিকে থাকার সংগ্রামে লিপ্ত রয়েছি, ঠিক তখন শিল্পকে নিয়ে শুরু হয়েছে নানা অপতৎপরতা। বিশেষ করে আমাদের শান্ত শ্রমিক গোষ্ঠীকে উসকানি দিয়ে অশান্ত করা হচ্ছে।

প্রসঙ্গত, গত কিছুদিন ধরে বেতন বৃদ্ধির দাবিতে বিক্ষোভ করে যাচ্ছেন পোশাক শ্রমিকরা। তাদের দাবি, ন্যূনতম বেতন বাড়ানোর যে ঘোষণা এসেছে, তাতে তারা সন্তুষ্ট নন। সরকার ৫৬ শতাংশ বেতন বাড়ানোর ঘোষণা দিলেও, শ্রমিকদের মধ্যে সামান্য একটি অংশের এই হারে বেতন বাড়ানো হয়েছে। বিশেষ করে যারা অভিজ্ঞ শ্রমিক তাদের বেতন বেড়েছে ২০-৩০ শতাংশ।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

ভারতীয় হাইকমিশনার প্রণয় ভার্মাকে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের তলব

হাদির ওপর গুলি, কুষ্টিয়া সীমান্তে বিজিবির কড়া টহল

ব্যাটারিচালিত রিকশা উচ্ছেদ না করতে হাইকোর্টের রুল

সব রাজনৈতিক দলকে নিরাপত্তা প্রটোকল দেবে সরকার

তারেক রহমানকে যেভাবে সংবর্ধনা দেবে বিএনপি

‘একটাই ছল হামার, তাকেও মারি ফেলল’

ইতালিতে কোচ কোম্পানির মিলনমেলায় প্রবাসী বাংলাদেশিরাও সম্মানিত

সেই বাইক চালকের ঘনিষ্ঠ ২ সহযোগী আটক 

মেয়ের কথায় কীভাবে ১৮ কেজি কমালেন বাঁধন!

জামায়াতের পথসভায় গান গাইলেন পুলিশ কর্মকর্তা

১০

আরও এক বাসে আগুন

১১

টি-টোয়েন্টিতে প্রায় ৯ হাজার রান করা মারকুটে ব্যাটার এবার বিপিএলে

১২

হাদিকে হত্যাচেষ্টা / মির্জা আব্বাসকে নিয়ে ‘মিথ্যা সংবাদ’ প্রচারের অভিযোগে মামলা

১৩

অগ্নিকাণ্ডে ক্ষতিগ্রস্তদের পাশে দাঁড়ালেন লায়ন খোরশেদ আলম

১৪

এআইইউবির ২৩তম সমাবর্তন অনুষ্ঠিত

১৫

অস্ট্রেলিয়া সমুদ্র সৈকতে বন্দুক হামলা, বহু হতাহতের আশঙ্কা

১৬

শিক্ষাবিদ কাজী আজহার আলীর ১৬তম মৃত্যুবার্ষিকী সোমবার

১৭

হাদিকে গুলির ঘটনায় যেভাবে আটক হলেন হান্নান

১৮

হাসিনা শাসনামলে বুদ্ধিজীবীদের দাবিয়ে রাখা হয়েছিল : রাশেদ প্রধান

১৯

থাইল্যান্ডের সীমান্তবর্তী উপকূলীয় অঞ্চলে কারফিউ জারি

২০
X