জনবল রাজস্ব খাতে স্থানান্তর ও কর্তৃককৃত বেতন ফেরতের দাবিতে গত ২৮ মে থেকে জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে অবস্থান কর্মসূচি পালন করছে তথ্য আপা প্রকল্পের কর্মীরা। কর্মসূচি চলমান থাকাকালীন গত ২২ ফেব্রুয়ারি মহিলা ও শিশুবিষয়ক উপদেষ্টা শারমীন এস মুরশিদ আন্দোলনরত কর্মীদের সঙ্গে এক মতবিনিময় সভায় বসেন। তারপরও কোনো সমাধান আসেনি।
বৃহস্পতিবার (১৯ মে) আবারও আন্দোলনরত কর্মীদের ১০ জন প্রতিনিধির সঙ্গে বৈঠক করে মহিলা ও শিশুবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা। তবে এবারও কোনো সিদ্ধান্ত পাওয়া যায়নি।
তথ্য আপা প্রকল্পের প্রতিনিধির সঙ্গে বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন মহিলা ও শিশুবিষয়ক উপদেষ্টা, মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব ও প্রকল্পের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা। তবে বৈঠকে তথ্য আপা কর্মীদের রাজস্ব খাতে স্থানান্তর ও বেতন ফেরত দেওয়ার বিষয়ে কোনো সিদ্ধান্ত দেওয়া হয়নি।
সূত্র জানায়, বৈঠকে উপদেষ্টা প্রকল্প আর ৯ মাস চলবে বলে মৌখিকভাবে জানিয়েছেন। তবে তারপর এই জনবলের কী হবে সে ব্যাপারে স্পষ্ট কিছু জানাননি। প্রকল্পের কর্মকর্তারা বৈঠকে ৩য় পর্যায় শুরুর বিষয়টিও জানান।
আন্দোলনরত কর্মীরা অভিযোগ করেন, এটা কোনো দ্বিপাক্ষিক বৈঠক হয়নি, সম্পূর্ণ একপাক্ষিক হয়েছে। তারা তাদের আগের সিদ্ধান্তে অটল আছেন। এটা তাদের সঙ্গে সম্পূর্ণ একটি প্রহসন।
প্রকল্পের পরিচালক শাহনাজ বেগম নীনা কালবেলাকে বলেন, উপদেষ্টা মহোদয়ের পক্ষ থেকে প্রকল্পের মেয়াদ আরও এক বছর বাড়ানো প্রক্রিয়া চলছে বলে জানানো হয়েছে। এ সময় তাদের কাজে ফিরে যেতে অনুরোধ করা হয়েছে। কিন্তু তারা রাজস্ব খাতে স্থানান্তরের দাবিতে অটল। এভাবেতো সবকিছু হয় না, নিয়োগের একটা বিধিমালা আছে। এর বাইরে কিছু করার সুযোগ নেই।
প্রকল্পের এক কর্মকর্তা জানান, আগামী ১ জুলাই থেকে আগামী বছেরের ৩০ জুন পর্যন্ত প্রকল্পের মেয়াদ বাড়ানোর কাজ চলছে। আর রাজস্ব খাতে অন্তর্ভুক্তি নিয়ে সরকারের নিজস্ব বিধিমালা আছে। এর বাহিরে যাওয়ার কোনো সুযোগ নেই।
আন্দোলনরত কর্মীদের সমন্বয়ক সংগীতা সরকার কালবেলাকে বলেন, এভাবে কোনো বৈঠক হতে পারে না। উপদেষ্টা একটা সময় বলেছেন তারপর আমরা কী করবো? আবার রাস্তায় নামবো? আবার পুলিশের মাইর খাবো? তারা আমাদের কোনো কথা শোনেনি, নিজেদের কথা বলার জন্য ডেকেছে।
মন্তব্য করুন