সাবেক সংসদ সদস্য (এমপি) সাবিনা আক্তার তুহিনকে রাজধানীর শেরেবাংলা নগর থানার সন্ত্রাসবিরোধী আইনের মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়েছে গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)।
সোমবার (২৩ জুন) ডিবির যুগ্ম কমিশনার (উত্তর) মোহাম্মদ রবিউল হোসেন ভূঁইয়া এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
এর আগে রোববার (২২ জুন) ঢাকার নবাবগঞ্জ থেকে সাবেক সংসদ সদস্য (এমপি) সাবিনা আক্তার তুহিনকে গ্রেপ্তার করেছে ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) গোয়েন্দা শাখা (ডিবি)। এদিন মধ্যরাতে ঢাকা জেলার নবাবগঞ্জ ষোল্লা ইউনিয়নের গ্রামের বাড়ি থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। আজ ঢাকা মহানগর আদালতে ওঠানো হবে।
তুহিনকে গ্রেপ্তারের একটি ভিডিও ছড়িয়ে পেড়েছে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে। তাতে দেখা যায়, ডিবি পুলিশ গ্রেপ্তার করতে গেলে স্থানীয় এলাকার নারী-পুরুষের বাধার মুখে পড়ে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। সাবিনা আক্তার তুহিনকে সাধারণ মানুষ ঘিরে রাখে এবং তিনি নির্দোষ দাবি করে গ্রেপ্তার না করার অনুরোধ করা হয়। এ সময় সাবিনা আক্তার তুহিনকে তার সমর্থক ও সাধারণ মানুষকে বাধা না দেওয়ার অনুরোধ করতে দেখা যায়।
তুহিনকে বলতে দেখা যায়, আইনশৃঙ্খলা বাহিনী আমাকে নিয়ে যাক কেউ বাধা দিয়েন না। আমি জেলে গেলে নিরাপদ এবং আমার সন্তানরাও নিরাপদ। কিন্তু তারপর তুহিনের সমর্থকরা বাধা দেয়। পুলিশ তাদের বারবার সরে যাওয়ার অনুরোধ করলেও তুহিনের সর্মথকরা তা মানতে নারাজ। এক পর্যায়ে তার সমর্থকরা ‘জয় বাংলা জয় বঙ্গবন্ধু’ বলে স্লোগান দেয়। একপর্যায়ে তুহিন তার সমর্থকদের যেতে বলেন এবং পুলিশকে নিয়ে যেতে বলেন। তবে তিনি দাবি করেন, একজন রাজনৈতিক কর্মী হিসেবে কোনো অন্যায়ের সঙ্গে আপস করেননি। সাবিনা আক্তার তুহিনের নামে কয়েকটি হত্যা মামলা রয়েছে। তিনি ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগের মহিলাবিষয়ক সম্পাদক ছিলেন। এ ছাড়া তিনি সাবেক ছাত্রনেতা এবং যুব মহিলা লীগের ও নেতৃত্ব দেন।
তুহিনের পরিবার কালবেলাকে বলেন, সোমবার মধ্যরাতে সাবিনা আক্তার তুহিনকে গ্রেপ্তার করেছে মহানগর ডিবি পুলিশ। আজ তাকে কোর্টে ওঠানো হবে।
ডিবির যুগ্ম কমিশনার (উত্তর) মোহাম্মদ রবিউল হোসেন ভূঁইয়া বলেন, ‘সুনির্দিষ্ট অভিযোগে ডিবি ওয়ারী বিভাগের একটি দল তাকে গ্রেপ্তার করেছে।’
মন্তব্য করুন