রাজধানীতে সর্বসাধারণের জন্য খুলে দেওয়া হয়েছে ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে। আজ রোববার (৩ সেপ্টেম্বর) সকাল ৬টা থেকে এই এক্সপ্রেসওয়ে দিয়ে যান চলাচল শুরু হয়। এরপর বিকেল ৪টা পর্যন্ত ১০ ঘণ্টায় এক্সপ্রেসওয়েতে মোট ৯ হাজার ৪৪০টি গাড়ি পার হয়েছে। এসময় টোল আদায় হয়েছে ৭ লাখ ৬৭ হাজার ৮৪০ টাকা।
রোববার (৩ সেপ্টেম্বর) বিকেলে সংবাদমাধ্যমকে এ তথ্য জানিয়েছেন ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের প্রকল্প পরিচালক এ এইচ এম এস আখতার।
তিনি বলেন, এক্সপ্রেসওয়ের কাওলা প্রান্তের টোল প্লাজা দিয়ে ৫ হাজার ৮০০টি গাড়ি, কুড়িল টোল প্লাজা দিয়ে এক হাজার ১৩টি গাড়ি, বনানী টোল প্লাজা দিয়ে ৯৩২টি গাড়ি এবং তেজগাঁও টোল প্লাজা দিয়ে এক হাজার ৬৯৫টি গাড়ি ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে পার হয়েছে। এর মাধ্যমে মোট ৯ হাজার ৪৪০টি গাড়ি থেকে ৭ লাখ ৬৭ হাজার ৮৪০ টাকা টোল আদায় করা হয়েছে।
এর আগে শনিবার (২ সেপ্টেম্বর) বিকেলে এ উড়াল পথের উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। প্রধানমন্ত্রী বিমানবন্দরের কাছে উড়াল সড়কের কাওলা প্রান্তের টোল প্লাজায় টোল দিয়ে ফলক উন্মোচন মঞ্চে ওঠেন। এরপর বোতাম চেপে ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের উদ্বোধন করেন তিনি।
উড়ালসড়কের টোল নির্ধারণ করে কয়েকদিন আগে প্রজ্ঞাপন জারি করে সেতু বিভাগ। এ টোল শুধু প্রথম ফেজের জন্য প্রযোজ্য হবে। এ অংশ ব্যবহারের জন্য যানবাহনগুলোকে চারটি শ্রেণিতে ভাগ করে টোল দিতে হবে। সর্বনিম্ন টোল ৮০ টাকা এবং সর্বোচ্চ ৪০০ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।
এ ছাড়াও এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে ব্যবহার করতে হলে কী কী নিয়ম মানতে হবে সে বিষয়ে শুক্রবার (১ সেপ্টেম্বর) একটি গণবিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে বাংলাদেশ সেতু কর্তৃপক্ষ।
বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী, নির্ধারিত টোল পরিশোধ করে নির্দিষ্ট স্থানগুলো থেকে ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়েতে ওঠা-নামা করা যাবে।
ঢাকা উত্তর থেকে দক্ষিণ অভিমুখী যানবাহনগুলো হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের দক্ষিণে কাওলা এবং প্রগতি সরণি ও বিমানবন্দর সড়কের আর্মি গলফ ক্লাব থেকে এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়েতে উঠতে পারবে। আর নামতে পারবেন বনানীর কামাল আতাতুর্ক অ্যাভিনিউ, মহাখালী বাস টার্মিনালের সামনে এবং ফার্মগেট প্রান্তে ইন্দিরা রোডের পাশে।
অন্যদিকে, ঢাকা দক্ষিণ থেকে উত্তর অভিমুখী যানবাহনগুলো বিজয় সরণি ওভারপাসের উত্তর এবং দক্ষিণ লেন এবং বনানী রেল স্টেশনের সামনে থেকে এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়েতে উঠতে পারবে।
আর এখান থেকে নামার স্থান হলো– মহাখালী বাস টার্মিনালের সামনে, বনানী কামাল আতাতুর্ক অ্যাভিনিউয়ের সামনে বিমানবন্দর সড়ক, কুড়িল বিশ্বরোড এবং বিমানবন্দরের তৃতীয় টার্মিনালের সামনে।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়েছে, এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়েতে ২ এবং ৩ চাকার যানবাহন এবং পথচারীরা হেঁটে চলাচল করতে পারবেন না।
এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের ওপর যে কোনো ধরনের যানবাহন দাঁড়ানো ও যানবাহন থেকে নেমে দাঁড়িয়ে ছবি তোলাও সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ করা হয়েছে।
এ ছাড়া, এক্সপ্রেসওয়ের মূল সড়কে সর্বোচ্চ গতিসীমা ঘণ্টায় ৬০ কিমি এবং উঠানামার র্যাম্পের জন্য সর্বোচ্চ গতিসীমা ঘণ্টায় ৪০ কিমি নির্ধারণ করা হয়েছে।
মন্তব্য করুন