পুরান ঢাকার গেণ্ডারিয়ায় শত বছরের পুরোনো ডিআইটি পুকুরটি পর্চা অনুযায়ী সীমানা নির্ধারণ করে দখলমুক্ত করা হবে বলে জানিয়েছেন ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস। আজ বুধবার রাজধানীতে এক অনুষ্ঠানে সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান তিনি।
এর আগে গত ৩ জুন দৈনিক কালবেলায় ‘পুকুর দখল করে মার্কেট, কাউন্সিলরের অফিস’ শিরোনামে একটি প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়।
ওই প্রতিবেদন প্রকাশের পরদিন সোমবার পুকুরটি রক্ষায় উচ্চ আদালতে যান আইনজীবী মনজিল মোরসেদ।
পুকুরটি ভরাট-দখল ও অবকাঠামো নির্মাণের ওপর স্থিতাবস্থা জারির নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। অর্থাৎ এখন পুকুরটি যেমন আছে, আপাতত সেই অবস্থায়ই রাখতে হবে।
মানবাধিকার সংগঠন হিউম্যান রাইটস অ্যান্ড পিস ফর বাংলাদেশের করা রিট আবেদনে প্রাথমিক শুনানি নিয়ে একটি রুলও দিয়েছেন আদালত।
পুকুরটি দখল কেন বেআইনি ঘোষণা করা হবে না এবং এসএ ও সিএস অনুসারে পুকুর রক্ষার জন্য কেন নির্দেশ দেওয়া হবে না, তা জানাতে বলা হয়েছে রুলে। পরিবেশ সচিব, স্থানীয় সরকার সচিব, পরিবেশ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক, রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (রাজউক) চেয়ারম্যান, ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা, ঢাকা মহানগর পুলিশের কমিশনার, ঢাকা জেলা প্রশাসক, শ্যামপুর ও গেণ্ডারিয়া থানার ওসি, শ্যামপুরের ৪৭ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর শাহানা আক্তার, সাবেক কাউন্সিলর সাইদুর রহমান শহীদসহ ১১ জনকে এই রুলের জবাব দিতে হবে।
মন্তব্য করুন