জুলাই গণঅভ্যুত্থানের গৌরবময় অর্জন রক্ষা, শহীদদের স্মরণ এবং ইসলামপন্থিদের প্রতি চলমান বৈষম্যের প্রতিবাদে রাজধানীর শাপলা চত্বরে অনুষ্ঠিত হয়েছে ইন্তিফাদা বাংলাদেশ আয়োজিত গণসমাবেশ। ইন্তিফাদা বাংলাদেশের গণসমাবেশে অংশ নেন জুলাই আন্দোলনের সক্রিয় অংশগ্রহণকারী নেতা, ওলামায়ে কেরাম, পেশাজীবী, বুদ্ধিজীবী, কবি-সাহিত্যিকসহ সমাজের নানা শ্রেণিপেশার প্রতিনিধিরা।
মঙ্গলবার (৫ আগস্ট) সকাল ১১টায় শুরু হয় এ গণসমাবেশ। সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন ইন্তিফাদা বাংলাদেশের প্রেসিডিয়াম সদস্য মাওলানা মীর ইদরিস। বক্তব্য রাখেন, প্রেসিডিয়াম সদস্য আহমাদ রফিক, মুফতি তারেকুজ্জামান, আসিফ আদনান, ডা. মেহেদী হাসান, ডা. শামসুল আরেফীন শক্তি, জাকারিয়া মাসউদ।
সমাবেশে বক্তারা বলেন, ব্রিটিশবিরোধী আন্দোলন থেকে শুরু করে এ ভূখণ্ডের সকল গণআন্দোলনে ইসলামপন্থি জনতা রক্ত দিয়েছে। এরই ধারাবাহিকতায় ’২৪-এর গণঅভ্যুত্থানেও ইসলামপন্থিরা ব্যাপক অবদান রেখেছিল। কিন্তু আফসোসের বিষয় গণঅভ্যুত্থান পরবর্তী বাংলাদেশে জনপরিসর থেকে ইসলামকে বাদ দেওয়ার একটা সচেতন প্রচেষ্টা পরিরক্ষিত হচ্ছে। সংস্কার কমিশনগুলোও ধর্মীয় ও সামাজিক মূল্যবোধবিরোধী নানা এজেন্ডা নিয়ে হাজির হয়েছে।
জাতিসংঘের মানবাধিকার কার্যালয় প্রতিষ্ঠার বিরুদ্ধে শক্ত প্রতিবাদ জানান বক্তারা। তাছাড়া, গণঅভ্যুত্থানের স্টেকহোল্ডারদের নামে মিথ্যা জঙ্গি মামলা সাজানোর প্রতিবাদ জানান তারা।
সমাবেশ থেকে ৫িটি দাবি জানানো হয়। দাবিগুলো হলো আওয়ামী লীগের খুনিদের বিচার প্রক্রিয়া বেগবান করতে হবে, আলেমসহ প্রশাসনের সব খুনি ও ধর্ষকদের বিচার করতে হবে, ইসলামপন্থিদের হয়রানি মূলক জঙ্গি নাটকের সাজানো বন্ধ করতে হবে, ইসলামবিরোধী সংস্কার বাতিল করতে হবে, জাতিসংঘের মানবাধিকার কার্যালয় অবিলম্বে বন্ধ করতে হবে।
গণসমাবেশ আরও বক্তব্য রাখেন- আলেম মুফতি জসিমুদ্দীন রাহমানী, মুফতি ফখরুল ইসলাম, হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের সহপ্রচার সম্পাদক মুফতি শরিফুল্লাহ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. মুস্তাফা মনজুর, ড. সরোয়ার, মাওলানা তানজিল আরেফিন আদনান, মাওলানা নজরুল ইসলাম, মাওলানা ইমরান রায়হান, রাফিউজ্জমান, মাওলানা ইনামুল হাসান ফারুকী, মাওলানা ফুআদ ও সৈয়দ মুহাম্মাদ আমীর।
মন্তব্য করুন